খুলনার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেন (৪৪) গল্প বলতে ভালোবাসেন। তিনি নিয়মিত তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাঠ্য বইয়ের বাইরে নানা গল্প শোনান। বিশেষ করে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীতে তার গল্প বলার প্রবণতা বেশি। কিন্তু তার গল্পের বিষয়বস্তু কোমলমতি ছাত্রীদের জন্য যেমন অশালীন, তেমনি বিব্রতকর ও ভয়ঙ্কর!
এ নিয়ে বিব্রত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অন্য শিক্ষকেরা। এ নিয়ে গত সোমবার ওই বিদ্যালয়ের ৪২ জন অভিভাবক প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছেন। ওই স্বারকলিপিতে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালিন কথাবার্তা ও আচরণ এবং দুর্ব্যবহারসহ কোচিং ব্যবসার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। স্বারকলিপি প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. জমসের আহাম্মদ খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্বারকলিপিতে অভিভাবকরা অসংখ্য অভিযোগ করেছেন।
অভিভাবক ও ছাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেন শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় বলেছেন, 'আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন ম্যাডামরা টি শার্ট পরে ক্লাস নিত। আর আমার স্কুলের ম্যাডামরা আদি আমলের দাদি-নানিদের মতো ঢেকেঢুকে ক্লাসে আসে।'
তিনি নিজেকে ভারতের নায়কদের সঙ্গে তুলনা করে শিক্ষার্থীদের বলেন, তার বডিও নায়কদের মতো। তিনি মাঝে মাঝে ক্লাসেই পেশি দেখানোর চেষ্টা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকর্মী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের আচরণে তারা বিব্রত। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেন বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গতকাল সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment