Wednesday, May 8, 2013

দ্রুতগতির ট্যাব ও স্মার্টফোন প্রসেসর আনছে ইনটেল

পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন প্রসেসর তৈরির অবকাঠামো ‘সিলভারমন্ট’ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইনটেল।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সিলভারমন্ট অবকাঠামো নির্ভর প্রসেসরগুলো উন্নত পারফরমেন্স দেখাবে। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মোবাইল প্রসেসরের বাজারে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান এআরএম এখন আধিপত্য ধরে রেখেছে। এআরএমের তৈরি প্রযুক্তিতে কোয়ালকম, এনভিডিয়া, মিডিয়াটেক, অ্যাপল ও স্যামসাং মোবাইল ফোনের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে। আর এই এআরএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতেই পরবর্তী প্রজন্মের ‘সিলভারমন্ট’ মোবাইল প্রসেসর আর্কিটেকচার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইনটেল।
সিলভারমন্ট আর্কিটেকচারের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাটম প্রসেসর ‘বে ট্রেইল’ ও ‘মেরিফিল্ড’ প্রসেসর তৈরি করতে পারে ইনটেল। এ প্রসেসরগুলো স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের উপযোগী হবে।
ইনটেল জানিয়েছে, ট্যাবলেটের জন্য তৈরি ‘বে ট্রেইল’ প্রসেসর চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসবে আর ২০১৪ সালে বাজারে আসবে স্মার্টফোনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ‘মেরিফিল্ড’ প্রসেসরটি।
বর্তমানে মুঠোফোনের জন্য তৈরি অ্যাটম প্রসেসরের কাঠামো ২০০৮ সালে উন্মুক্ত করেছিল ইনটেল। প্রায় পাঁচ বছর পর ৬ মে নতুন মোবাইল প্রসেসরের প্রযুক্তি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইনটেল।
ইনটেলের দাবি, নতুন প্রসেসরগুলো দক্ষতার দিক থেকে বর্তমানে বাজারে থাকা প্রসেসরের তুলনায় তিন গুণ কার্যক্ষম হবে এবং এটি পাঁচ গুণ শক্তি সাশ্রয়ী। নতুন প্রজন্মের এ প্রসেসরগুলো হবে আট কোরের বেশি। বর্তমানে অধিকাংশ স্মার্টফোনে ডুয়াল কোর আর ট্যাবলেটে কোয়াড কোরের প্রসেসরই ব্যবহূত হচ্ছে।

মৃতের সংখ্যা নিয়ে নানা আলোচনা

রাজধানীর শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে।
ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ব্লগগুলোতে বলা হচ্ছে, রোববার রাতের ওই অভিযানে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে হত্যার কথা বলা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামও দাবি করেছে, এই সংখ্যা আড়াই থেকে তিন হাজার। তবে কেউই সুনির্দিষ্ট সূত্রের উল্লেখ করেনি।
গতকাল গায়েবানা জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেছেন, বিদেশি সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ওই অভিযানে তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি ও সিএনএনের ওয়েবসাইট ঘেঁটে এ খবরের সত্যতা মেলেনি।
এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অভিযানটি হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে।’
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানে পুলিশের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। আর হেফাজতের মঞ্চের পাশ থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আর কোনো মৃতদেহ সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে আহত দু-একজন পরে হাসপাতালে মারা গেলেও যেতে পারেন।
অভিযানের আগে-পরে রোববার সারা দিন হতাহতের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, রোববার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই দফায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। দিন ও রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের লাশ শাপলা চত্বরে অভিযানের পর বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে নেওয়া হয়। অন্যরা দিনভর বিভিন্ন স্থানে নিহত হন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ৫৭৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭ জন পুলিশের সদস্য।
সূত্র জানায়, ওই দিনের আহত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও রাজারবাগে দ্য বারাকা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এসব হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার রাতের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঁচটি, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে একটি ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের হিমঘরে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তির লাশ ছিল। এ ছাড়া আর কোনো মৃতদেহের খবর কেউ বলতে পারেনি।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বারাকা জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর ছয়জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এর বাইরে তাঁরা আর কোনো খবর জানেন না।
নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিদেশি গণমাধ্যম
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা সোমবার জানায়, রোববার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে হেফাজতের প্রায় ৭০ হাজার কর্মী-সমর্থককে উচ্ছেদে অভিযান চালান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য। এ সময় সংঘর্ষে প্রায় ২২ জন নিহত হন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের অনেকেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া পরদিন সোমবার নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যসহ নিহত হন কমপক্ষে ১৮ জন।
বিবিসির সোমবারের খবরে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা থেকে হেফাজতের কর্মীদের সরিয়ে দিতে রোববার শব্দবোমা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর দুই দিনের সহিংসতায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হন।
ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল মঙ্গলবার জানায়, বাংলাদেশে গত তিন দিনের সহিংসতায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিএনপির মুখপাত্র খন্দকার মোশাররফ এএফপিকে জানান, সহিংসতায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ লাশ গুম করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনের গতকালের খবরে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ১৪ জন। তবে সিএনএন একটি মন্তব্য করেছে—নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা হয়তো কোনো দিন জানা যাবে না।
আর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস-এর সোমবারের খবরে দুই দিনে নিহতের সংখ্যা ২২ বলে জানানো হয়।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার সোমবারের খবরে বলা হয়, শুধু ওই দিনেই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ জন। এর আগে রোববার নিহত হন কমপক্ষে ১৪ জন।
একই দিনে ভারতের এনডিটিভির খবরে রোববার ও সোমবারের সহিংসতায় ৩২ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়। আর যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ পত্রিকার সোমবারের এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ২২ বলে উল্লেখ করা হয়।

বাসাবাড়িতে শিগগিরই গ্যাসের সংযোগ

অবশেষে বাসাবাড়িতে গ্যাসসংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিন বছর ঝুলিয়ে রাখার পর গ্রাহকেরা বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ পেতে যাচ্ছেন।
জ্বালানিসচিব মো. মোজাম্মেল হক আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ‘বাসাবাড়িতে গ্যাসসংযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন। খুব শিগগিরই জ্বালানি বিভাগ এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে।’ খবর ইউএনবির।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে শিল্প খাতে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ আছে। এর এক বছর পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে বাসাবাড়িসহ সব ধরনের খাতে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ওই সময় থেকে নতুনভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলোতে গ্যাসসংযোগ দেওয়া হচ্ছিল না।

এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা দেবাশিষ বাদী হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও মানহানির অভিযোগে এম কে আনোয়ারে বিরুদ্ধে মামলা করেন। মহানগর হাকিম হাসিবুল হক মামলাটি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, গত রোববার হেফাজতের সহিংসতার সময় শাপলা চত্বর ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং আশপাশের এলাকায় ভাঙচুর, ধর্মীয় গ্রন্থে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য দেবাশীষ নামের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে দায়ী করে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এম কে আনোয়ার।
আরজিতে আরও বলা হয়, এম কে আনোয়ার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এবং কথাবার্তার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেন। বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। তাই আদালতে মামলা করে এম কে আনোয়ারের বিচার দাবি করেন।

তিন মাসে ৫ কোটি

বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটি ট্যাবলেট কম্পিউটার বিক্রি হয়েছে। এ সংখ্যা গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় প্রায় ১৪২.৪ শতাংশ বেশি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির তথ্য মতে, ট্যাবলেট বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপলের আইপ্যাড। বছরের প্রথম তিন মাসে আইপ্যাড বিক্রি হয়েছে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ। ৮৮ লাখ ট্যাবলেট বিক্রি করে দ্বিতীয় স্থানে আছে স্যামসাং।
আইডিসির গবেষণা পরিচালক টম মেইনিলি জানান, আইপ্যাড মিনির অব্যাহত চাহিদার কারণেই বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে অ্যাপল।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ট্যাবলেট যুগের ইতি ঘটবে, সম্প্রতি এমন মন্তব্য করে প্রযুক্তি বাজারে শোরগোল ফেলে দেন ব্ল্যাকবেরির প্রধান নির্বাহী থ্রস্টেন হেইন্স। তবে আইডিসির এ প্রতিবেদন তাঁর এই অনুমানকে আপাতত নাকচই করে দিল।

Tuesday, May 7, 2013

বিদায় 'হটমেইল'

এককালের জনপ্রিয় ইমেইল সেবা 'হটমেইল' বন্ধ করে দিল মাইক্রোসফট। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন থেকে হটমেইল ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আউটলুকের ইমেইল সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে মাইক্রোসফট কর্মকর্তা ডিক ক্র্যাডক জানান, ইতিমধ্যে হটমেইলের সব তথ্য আউটলুকে সফলভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ জন্য প্রায় ৩০ কোটি হটমেইল ব্যবহারকারীর ১৫ কোটি গিগাবাইট তথ্য সরাতে হয়েছে। এসব ব্যবহারকারী আগের তুলনায় আরো উন্নত ইমেইল সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পর্যায়ক্রমে হটমেইল ব্যবহারকারীদের তথ্য আউটলুকে সরানোর কাজ শুরু করে মাইক্রোসফট।

কম্পিউটার হ্যাক করবে ডাচ্ পুলিশ!

এত দিনে হ্যাকারদের পিছু নিয়েছে পুলিশ। এবার সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডাচ্ পুলিশ বিভিন্ন সন্দেহভাজন ব্যক্তির কম্পিউটার হ্যাক করবে। এ বিষয়ে অনুমতি দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন এ আইনে তদন্তকারী পুলিশরা কম্পিউটার হ্যাক করার পাশাপাশি স্পাইওয়ার ইনস্টলও করতে পারবে। এমনকি ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাদের ই-মেইল পড়া ছাড়াও বিভিন্ন ফাইল নষ্ট করতে পারবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থাকা সার্ভারের সংযোগও ছিন্ন করা যাবে।
তবে শুরুতেই এ উদ্যোগ সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাদের দাবি, অপ্রয়োজনীয় এ আইন মানুষের বিপদের কারণ হতে পারে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকারের এ উদ্যোগ নাগরিকদের নতুন বিপদের মুখে ফেলবে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ ডাচ্ সরকার। শিশু পর্নোগ্রাফিসহ সন্ত্রাসবাদ ও তথ্য চুরির বিষয়ে আইনটি প্রয়োগ করা হতে পারে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে খসড়া আইনও তৈরি করেছে তারা। বছরের শেষ নাগাদ সংসদে আইনটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

সালমান-ইলুলিয়ার অভিসার!

ইদানীং স্বর্ণকেশী এক বিদেশিনির সঙ্গে সখ্য বেড়েছে বলিউডের অভিনেতা সালমান খানের। স্বর্ণকেশীর নাম ইলুলিয়া ভেঞ্চুর। তিনি রোমানিয়ার একজন প্রতিষ্ঠিত টিভি অভিনেত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতেই অবস্থান করছেন রোমানীয় এ টিভি সঞ্চালক ও অভিনেত্রী।
‘বিগ হার্ট লাভার বয়’খ্যাত সালমান এর আগেও একাধিক বিদেশিনির প্রেমে মজেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী ব্রুনা আবদুল্লাহ। ব্রুনার বাবা আরবের এবং মা ব্রাজিলের। আরও ছিলেন জার্মান মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা ক্লদিয়া সিজলা এবং ব্রিটিশ মডেল হ্যাজেল কিচ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ইলুলিয়ার নাম।
বিদেশ সফরে গিয়ে ইলুলিয়ার সঙ্গে সালমানের সাক্ষাত্ হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। সেই থেকে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘মিড-ডে’।
এক বছর আগেই অভিসার শুরু করেছিলেন সালমান ও ইলুলিয়া। সে সময় যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষা করে চললেও ইদানীং তাঁরা অনেকটা প্রকাশ্যেই মেলামেশা করছেন। কোনো ধরনের লুকোচুরির চেষ্টা না করায় তাঁদের সখ্য নজর কেড়েছে অনেকেরই। প্রায় প্রতিদিন বান্দ্রার একটি পাঁচতারকা হোটেলে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে এ জুটিকে।
সালমানের হাত ধরে এখন পর্যন্ত বলিউডে যাত্রা শুরু করেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় এবার যদি ইলুলিয়ার নাম যুক্ত হয়, তবে হয়তো অবাক হবেন না কেউই।

বুধ-বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল

আগামী ৮ ও ৯ তারিখ বুধ-বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্ত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। সোমবার বিএনপির সিনিয়র নেতা এবং ১৮ দলীয় জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠক থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, দেশব্যপী পুলিশের গণহত্যা বিশেষ করে রোববার রাতে মতিঝিলে হেফাজতকর্মীদের উপর গণহত্যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করা হয়।
এছাড়া মঙ্গলবার হেফাজত নেতাকর্মীদের গায়েবানা জানাজা পড়ারও ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠকে।
১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে অংশ নেন বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, খেলাফত মজলিত সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ এসাহাক প্রমুখ।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সারোয়ারি রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ড. ওসমান ফারুক, সাদেক হোসেন খোকা, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু প্রমুখ অংশ নেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষে এ ঘোষণা দেয়া হল।

বোমা ফাটালো এএইচআরসি: নিহতের সংখ্যা ২৫০০ এর বেশি


দেশের কোন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো সোচ্চার হয়ে উঠছে। ইখওয়ান অনলাইনের পর এবার বোমা ফাটালো এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন। তারা দাবি করেছে ৫মে রাতে মতিঝিলে হেফাজতের কর্মীদের সরাতে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে ২৫০০০এরও অধিক হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে।
তারা বলে, রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশের অবস্থা দেখেই বুঝা যায় লাশের সংখ্যা কত ব্যাপক হতে পারে।
প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশের টিভি ও নিউজপেপারের কঠোর সমালোচনা করে। তারা একটি ইংরেজি দৈনিকের দেয়া মাত্র ৭ জন লাশের কথা উল্লেখ করে। এছাড়া তারা বলে- দেশটির প্রায় সব টিভি চ্যানেলই নিরব।