Monday, May 6, 2013

দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকারি সংস্থা। এটি দিগন্ত মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান। যার চেয়ারম্যন মীর কাশেম আলী যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। সোমবার ভোরের দিকে হঠাৎ করেই পুরানা পল্টনের ১৬৬, সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণীর আল-রাজী কমপ্লেক্সে দিগন্ত টেলিভিশনের অফিসে গিয়ে এর সম্পচার বন্ধ করে দেন বিটিআরসি’র কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দিগন্ত টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর ৪টার পর পুলিশ দিগন্ত টেলিভিশনের অফিসে এসে সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে কি কারণে এর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তা তারা কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। বন্ধ করে দেয়ার পর কিছু যন্ত্রপাতিও জব্দ করে নিয়ে যায়। একইভাবে গতরাতে ইসলামিক টিভির সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান বিএনপির

সরকারের নৈরাজ্য বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
আজ রোববার রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এম কে আনোয়ার জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর সরকার দলীয় কর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় নিন্দা এবং এর বিচার দাবি করেছে বিএনপি। এছাড়াও আজকে যে সব জায়গায় হামলা হয়েছে সেখানে বিএনপি, জামায়াতের কেউ জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, খালেদা জিয়া নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের ব্যাপারে সরকার দলীয় নেতাদের প্রত্যাখ্যানের বক্তব্যে সরকারের মনোভাব প্রকাশ করে দিয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়া বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার পরের কর্মসূচি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, রেল, নৌ ও স্থলপথ অবরোধ, একটানা কয়েকদিন হরতাল। তবে ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

Sunday, May 5, 2013

আবার লগি বৈঠার তান্ডব আওয়ামী হায়েনাদের










আওয়ামী হায়েনাদের চরিত্র এখনো বদলায় নাই। ফটিকছড়ি থেকে কোন শিক্ষাই নিতে পারে নি এই হায়েনারা। আবারো লগি বৈঠা নিয়ে তৌহিদী জনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে এই নাস্তিকদের দোসররা। এদের প্রতিরোধ করে বাংলার মাটিতে দাফন করে দেয়া ছাড়া উপায় নাই।

পল্টনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল, হামলা

পল্টন মোড়ে অবস্থান নেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর চারদিক থেকে হামলা চালাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। রোববার দুপুরে শুরু হওয়া পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থামেনি। অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পর পর ১৫-২০টি ককটেল ছুড়ে মারে। বিস্ফোরণে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পল্টন মোড়ে পুলিশ ও র‌্যাবের ওপর বিজয়নগর, বাইতুল মোকাররম ও জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও লাটিসোঁটা নিয়ে হামলা করছে হেফাজত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও শটগান থেকে গুলি নিক্ষেপ করছে। তবে হেফাজতের লোকজন কিছুটা পিছু হটে আবারও হামলা চালাচ্ছে।

টহলরত পুলিশের সাঁজোয়া যানে (এপিসি) ককটেল হামলা চালায় হেফাজত। তবে যানটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

সকাল থেকে ঢাকার চারপাশে মহাসড়কগুলো অবরোধ করে হেফাজত। এতে আন্তনগর বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাক কার্যত দেশের বাকি অংশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পল্টনে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ২, আহত শতাধিক

রাজধানীর পল্টন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ বৃষ্টির মতো শ’ শ’ রাউন্ড গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। একজনের নাম সিদ্দিকুর রহমান (২৮)। তিনি হানিফ পরিবহনের হেলপার বলে জানা গেছে। তবে অপরজন হেফাজত কর্মী বলে জানা গেছে। বিজয়নগর এলাকায় একটি পুলিশ বক্স আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় হেফাজত কর্মীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তখন পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এসময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। আমাদের মেডিকেল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আহত শতাধিক হেফাজত কর্মীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ জানিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যেতে চায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিক থেকেও লাঠি নিয়ে কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের দিকে আসলে চাইল মাঝ থেকে দুই পক্ষকে বাধা দেয়া হয়। এতে হেফাজতের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পুলিশ পল্টন মোড়ে অবস্থান করছে। তবে ওই এলাকায় হেফাজত কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ায় পুলিশ পিছু হটছে। হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেটে সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রাখা দুটি মোটর সাইকেলে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে যোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে হেফাজত কর্মীদের বের হতে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মসজিদের দক্ষিণ গেট দিয়ে হেফাজত কর্র্মীরা লাঠি নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ দেয়। অন্যদিকে হেফাজত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।  সব শেষে পাওয়া খবরে জানা গেছে, পল্টনে পুলিশকে দুই দিক থেকে হেফাজত কর্মীরা ঘিরে রেখেছেন।

ত্রিশালে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় গতকাল শুক্রবার রাতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন আরিফ (২০) ও সুমন (১৮)। তাঁরা পেশায় রাজমিস্ত্রি। ধানীখোলা গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ত্রিশাল থানার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গতকাল রাত নয়টার দিকে ধানীখোলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাতেই বাড়ির পাশের একটি স্থান থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে এখন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগে চিকিত্সাধীন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি  জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মেয়েটি যে বিদ্যালয়ে পড়ে, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক  বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা খুব মর্মাহত। সে আমার স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান  বলেন, তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Saturday, May 4, 2013

‘আমি রাজনীতিতে যোগ দেব’

আমার স্বপ্ন...
এখন তো দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী—সবাই নারী। ইচ্ছা আছে, একসময় আমিও রাজনীতিতে যোগ দেব। দেশ আর দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। আরও একটি স্বপ্ন আছে, অস্কার অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটে হাঁটব।
অস্কার অনুষ্ঠানের রেড কার্পেটে হাঁটার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি...
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ওপর আমি পড়াশোনা করেছি মস্কোতে। স্নাতক করার পর ২০০২ সালে আমি চলে আসি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ওখানে তখন অস্কার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। দেখি, সবাই খুব যত্ন করে রেড কার্পেট বসাচ্ছে। সেই থেকে এই রেড কার্পেটে হাঁটার স্বপ্ন দেখছি।
প্রথম প্রেম...
তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ছিলেন আমার বাবা। আমি কলেজে পড়ি। কারও কারও খুব ইচ্ছা হতো, কিন্তু বাবার ভয়ে বলতে পারেনি। একজন অবশ্য সাহস করে একদিন বাসায় ফোন করেছিল। ফোনটা আমিই ধরেছিলাম। ও-প্রান্ত থেকে ছেলেটি বলল, ‘আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।’ কথাগুলো অন্য ফোন থেকে বাবা শুনতে পান। বাবা তাকে বললেন, ‘আগে ভালো করে পড়াশোনাটা শেষ করো।...’ এরপর আর কোনো ফোন পাইনি। ছেলেটি কে, তাও জানতে পারিনি। আমার বিয়ে হয় ২০০১ সালে, বাবার পছন্দেই। তখন বাবা খুব অসুস্থ, ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
দর্শকের কাছে আমি ‘নিপুণ’ হয়েছি...
রিকশাওয়ালার প্রেম (২০০৭) ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। মান্না ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। পরের বছর মুক্তি পায় শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রাণের স্বামী।
নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র...
আনজাম মাসুদের পরিচালনায় রাজ নিটওয়্যারের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। সঙ্গে ছিলেন নোবেল।
চলচ্চিত্রে আমার খুব প্রিয় চরিত্র...
শাহ আলম কিরণের সাজঘর (২০০৭) ছবির ‘কুসুম’ আর মহম্মদ হোসেনের চাঁদের মত বউ (২০০৯) ছবির মনোচিকিত্সক ‘প্রিয়া’। এই দুটি ছবির জন্য আমি দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি।
এ পর্যন্ত অভিনয় করেছি...
আমার প্রথম ছবি ছিল পিতার আসন (২০০৬)। এরপর মুক্তি পেয়েছে ৪৮টি ছবি। এখন কাজ করছি ইসমত আরা চৌধুরীর পরিচালনায় মায়ানগর ছবিতে। এই ছবিতে আমি রাস্তার ঝাড়ুদার। একসময় গ্ল্যামারজগতে চলে আসি।
আমার পরিবার...
স্বামী ব্যবসায়ী। মেয়ে তানিশা হোসেন। ওর বয়স ১০ বছর।

‘ব্যাটসম্যান’ থেকে বোলার জিয়া

কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট বলেই একটু বেশি হাসতে পারেন জিয়াউর রহমান। এই উইকেট বেশির ভাগ সময় ব্যাটসম্যানদের, কখনো কখনো স্পিনারদেরও। কিন্তু পেসারদের দিকে তাকিয়ে হেসেছে খুব কমই। অথচ জিয়া তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিলেন এখানেই! পেলেন প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।
খেলা শেষে কৃতিত্বের কিছুটা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকেও দিলেন বাংলাদেশ দলের এই পেসার, ‘আমি উইকেট টু উইকেটই বোলিং করেছি। অধিনায়ক আমাকে বলেছেন, “তুমি স্টাম্প সোজা বোলিং করো। আর কিছু করা লাগবে না। যা করার ব্যাটসম্যানরাই করবে।” বলেছেন, ওভারে দুটি ডট বল দেওয়ার চেষ্টা করতে। আমিও একই চিন্তা নিয়ে বোলিং করেছি।’ শুনতে যতটা সহজ, এক জায়গায় বল ফেলে যাওয়া ততটাই কঠিন। জিয়া সে কঠিন কাজটাই করে দেখালেন কাল, ‘আমি বুলাওয়েতে এই প্রথম খেললাম। এখানে বল একটু আস্তে আসে। ভালো জায়গায় ফেললে বল ছোট ছোট কাট করে। এটা করে যেতে পারলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে খেলা কঠিন।’
কাল আরেকটা পরিকল্পনাও ছিল জিয়ার। উইকেট পান আর না পান, রান দেবেন কম, ‘রান করতে না পারলে ব্যাটসম্যান এমনিতেই চাপে পড়ে যায়। উইকেট টু উইকেট বল করায় এখানেও তা-ই হয়েছে।’ পরের দুই ম্যাচেও একই পরিকল্পনা তাঁর, ‘১০ ওভারে ৩০ বা ৩৫ রান দেব, এই টার্গেট নিয়ে বল করলে সাফল্য আসবেই। এটা করতে পারলে ব্যাটসম্যানরাই আপনাকে উইকেট দিয়ে যাবে।’
জিয়া মূলত বোলারই। কিন্তু মাঝে বোলারের চেয়ে ব্যাটসম্যান জিয়ার সাফল্যই দেখেছে সবাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়েছে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করার অভিজ্ঞতাও। তবে জিয়া বলছেন, বোলিংটা কখনোই ছেড়ে দেননি তিনি, ‘আমি কিন্তু বোলিং ছেড়ে দিইনি। মাঝে ইনজুরির কারণেই মূলত ঠিকভাবে বোলিং করতে পারিনি। ওই সময়ে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে ব্যাটিংটা ভালো করেছি। একই সঙ্গে বোলিংও চালিয়ে গেছি। এখন দুটো নিয়েই কাজ করছি।’
জিয়া যেটাকে সাফল্যের চাবিকাঠি বললেন, জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের চোখেও সেটাই ডুবিয়েছে তাঁদের, ‘বাংলাদেশের বোলাররা ভালো জায়গায় বল ফেলে গেছে, উইকেট টু উইকেট বল করে গেছে। এ রকম বলে যে রকম ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করা উচিত ছিল, আমরা সেটা করিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ব্যাটসম্যানরা যে রকম ক্রস ব্যাটে খেলে আসছিল, এখনো তা থেকে বের হতে পারিনি আমরা।’
সমালোচনা করেছেন নিজ দলের বোলিংয়েরও। সবুজাভ উইকেট লোভ দেখিয়েছিল বোলারদের। কিন্তু সেই লোভের ফাঁদে পা দিয়েই বোলিংটা হয়েছে এলোমেলো। ‘বোলাররা একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল কি না, বলতে পারব না। তবে তারা ঠিক জায়গায় বল ফেলেনি। বোলিংয়ে ধারাবাহিকতাও ছিল না।’—বলেছেন টেলর।
সিরিজে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের আশা, তাঁরা সিরিজে ফিরবেন কালকের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই, ‘সিরিজ এখনো শেষ নয়। আমার বিশ্বাস, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই আমরা সিরিজে ফিরব। সে জন্য আজকের (গতকাল) ভুলগুলো শোধরাতে হবে। মাঝের এক দিনে আমরা সেটাই করব।’

Monday, April 15, 2013

কলকাতার জয়



ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) খেলায় আজ রোববার সানরাইজারস হায়দরাবাদকে ৪৮ রানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৮০ রান তোলে কলকাতা। জবাবে শেষ পর্যন্ত লড়ে ৭ উইকেটে ১৩২ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয়ের সুবাদে চার ম্যাচে কলকাতার অর্জন ৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হায়দরাবাদের। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবার ওপরে আছে রিকি পন্টিংয়ের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
আজ কলকাতার শুরুটাই হয় দুর্দান্ত। মানবিন্দর বিসলা ও গৌতম গম্ভীরের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ রান। বিসলা আউট হন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। অধিনায়ক গম্ভীর ফেরেন ৫৩ রান করে। কলকাতার বড় সংগ্রহটা নিশ্চিত করেন জ্যাক ক্যালিস ও এউইন মরগান। ২৭ বলে ৪১ রান করে রানআউট হন ক্যালিস। মরগান ছিলেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক। মাত্র ২১ বলে ৪৭ রান করেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। মরগানের ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে। হায়দরাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন করণ শর্মা ও আশীষ র্যাডি।
১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। পার্থিব প্যাটেল ও ক্যামেরন হোয়াইটের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৭ রান। প্যাটেল করেন ২৭ রান। হোয়াইট ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। তবে এরপর থিসারা পেরেরা ছাড়া হায়দরাবাদের কোনো ব্যাটসম্যানই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৫ বলে ৩৪ রান করেন শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটসম্যান। কলকাতার হয়ে জ্যাক ক্যালিস তিনটি ও রজত ভাটিয়া দুটি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন সাচিত্র সেনানায়েকে ও সুনীল নারাইন।

Friday, April 12, 2013

আইপিএলে কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্ব

ভারতের জাতীয় দলের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে দেখা যায় গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলিকে। তবে আইপিএলে তাঁরা চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। উত্তেজনাপূর্ণ এই টি-টোয়েন্টি লিগে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে ভারতের এই দুই তারকা ব্যাটসম্যানকে। গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছুড়ে দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিলেন বেঙ্গালুরুর ওপেনার ক্রিস গেইল ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দশম ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে আউট করে কলকাতা শিবিরে স্বস্তি ফেরান বালাজি। সেসময় উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন কলকাতার ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাঁদের এই উদযাপনের ভঙ্গিটা ঠিক মেনে নিতে পারেননি সাজঘরের দিকে হাঁটতে থাকা বিরাট কোহলি। মাঝপথে থেমে গিয়ে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে কিছু একটা বলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর পরপরই কলকাতার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন কোহলি। ঘটনাটা হয়তো আরও কুিসত দিকে মোড় নিতে পারত। কিন্তু কলকাতার অলরাউন্ডার রজত ভাটিয়া ও আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয় দুই পক্ষ। তবে কোহলি ও গম্ভীরের দ্বন্দ্বটার অবসান যে এখনো হয়নি, তা বোঝা গেছে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে গৌতম গম্ভীরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। বলেছেন, ‘কোহলি যখন সংবাদ সম্মেলনে আসবে, তখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন।’
আইপিএলে এ ধরনের ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। পাঁচ বছর আগে আইপিএলের প্রথম আসরেই এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন হরভজন সিং। সেবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পেসার শ্রীশান্তকে থাপড়ই মেরে বসেছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হরভজন সিং।
CLICK THIS ADD