আমার স্বপ্ন...
এখন তো দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী—সবাই নারী। ইচ্ছা আছে, একসময় আমিও রাজনীতিতে যোগ দেব। দেশ
আর দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। আরও একটি স্বপ্ন আছে, অস্কার অনুষ্ঠানে
রেড কার্পেটে হাঁটব।
অস্কার অনুষ্ঠানের রেড কার্পেটে হাঁটার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি...
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ওপর আমি পড়াশোনা করেছি মস্কোতে। স্নাতক করার পর ২০০২
সালে আমি চলে আসি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ওখানে তখন অস্কার
অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। দেখি, সবাই খুব যত্ন করে রেড কার্পেট বসাচ্ছে।
সেই থেকে এই রেড কার্পেটে হাঁটার স্বপ্ন দেখছি।
প্রথম প্রেম...
তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ছিলেন আমার বাবা। আমি কলেজে পড়ি। কারও কারও
খুব ইচ্ছা হতো, কিন্তু বাবার ভয়ে বলতে পারেনি। একজন অবশ্য সাহস করে একদিন
বাসায় ফোন করেছিল। ফোনটা আমিই ধরেছিলাম। ও-প্রান্ত থেকে ছেলেটি বলল,
‘আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।’ কথাগুলো অন্য ফোন থেকে বাবা শুনতে পান। বাবা
তাকে বললেন, ‘আগে ভালো করে পড়াশোনাটা শেষ করো।...’ এরপর আর কোনো ফোন পাইনি।
ছেলেটি কে, তাও জানতে পারিনি। আমার বিয়ে হয় ২০০১ সালে, বাবার পছন্দেই। তখন
বাবা খুব অসুস্থ, ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
দর্শকের কাছে আমি ‘নিপুণ’ হয়েছি...
রিকশাওয়ালার প্রেম (২০০৭) ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। মান্না ভাইয়ের সঙ্গে
অভিনয় করেছিলাম। পরের বছর মুক্তি পায় শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রাণের
স্বামী।
নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র...
আনজাম মাসুদের পরিচালনায় রাজ নিটওয়্যারের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। সঙ্গে ছিলেন নোবেল।
চলচ্চিত্রে আমার খুব প্রিয় চরিত্র...
শাহ আলম কিরণের সাজঘর (২০০৭) ছবির ‘কুসুম’ আর মহম্মদ হোসেনের চাঁদের মত বউ
(২০০৯) ছবির মনোচিকিত্সক ‘প্রিয়া’। এই দুটি ছবির জন্য আমি দুবার জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি।
এ পর্যন্ত অভিনয় করেছি...
আমার প্রথম ছবি ছিল পিতার আসন (২০০৬)। এরপর মুক্তি পেয়েছে ৪৮টি ছবি। এখন
কাজ করছি ইসমত আরা চৌধুরীর পরিচালনায় মায়ানগর ছবিতে। এই ছবিতে আমি রাস্তার
ঝাড়ুদার। একসময় গ্ল্যামারজগতে চলে আসি।
আমার পরিবার...
স্বামী ব্যবসায়ী। মেয়ে তানিশা হোসেন। ওর বয়স ১০ বছর।