Friday, April 29, 2011

মোশাররফ-সারিকা জুটি

টিভি নাটকে প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে অভিনয় করতে যাচ্ছেন মোশাররফ করিম ও সারিকা। জিয়া উদ্দিন আলমের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটির নাম 'আমরা সিনেমা আর বানাবো না'। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে জিয়া জানান, নাটকটি সাজানো হয়েছে, সিনেমা জগতের নানা অনিয়ম, পাইরেসি, অশ্লীলতাসহ নানা দিক কেন্দ্র করে। নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে বলে আশাবাদী জিয়া।
নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, 'আমার অভিনীত অনেক নাটকে সারিকা অভিনয় করেছে। আর এই প্রথম আমি আর সারিকা জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করব। নাটকের গল্পটি আমার ভালো লেগেছে। কারণ, নাটকটি সাজানো হয়েছে সমসাময়িক সিনেমা জগতের নানা সমস্যাকে কেন্দ্র করে।' সারিকা বলেন, 'মোশাররফ ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে খুশি আমি'। আগামী ৪ ও ৫ মে গুলশান ও ধানমণ্ডিতে নাটকটির শুটিং হবে।

ফিরছেন লৌহমানব

হলিউডে ফিরছেন আর্নল্ড শোয়াজনেগার, এটি পুরনো খবর। নতুন খবর হলো, তার বহুদিনের 'টার্মিনেটর' ছবিতেই কামব্যাক করছেন এই লৌহমানব।
গত জানুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করেন ৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক কাম অভিনেতা। তারপর জানিয়েছিলেন, তার পুরনো জায়গা হলিউডে আবার ফিরছেন। তবে কিভাবে ফিরছেন সেটা এখন পর্যন্ত অজানা ছিল। সর্বশেষ গত বছরের 'দি এক্সপেন্ডেবল' ছবিতে এক ঝাঁক অ্যাকশন হিরোর সঙ্গে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকেও দেখা গিয়েছিল। তবে সেটি মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য। এবার 'টার্মিনেটর' ছবির পঞ্চম পর্বে তিনি ফিরছেন। তবে সেটিও 'দি এক্সপেন্ডেবল'র মতো ক্যামিও হাজিরা কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভক্তদের আশা, এবার স্বরূপেই ফিরবেন এই অভিনেতা।

ক্রোড়পতিতে বাবা-মেয়ে

'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র ভোজপুরির সংস্করণের উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আর ওই অনুষ্ঠানের হট সিটে বসছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সোনাক্ষী সিনহা সময় বের করতে পারলে আগামী মাসের শুরুর দিকেই অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিং হবে। এ প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, 'হ্যাঁ, সোনাক্ষী এবার হটসিটে বসছেন। এতে শেষ পর্যন্ত দর্শকরা পর্দায় বাবা-মেয়েকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন।' শত্রুঘ্ন আরও বলেছেন, 'এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সোনাক্ষীই প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তখন আমি সানন্দেই রাজি হয়েছি। এমন নয় যে, আমার মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে সহজ প্রশ্ন করা হবে। সে খুব মেধাবী। আমি নিশ্চিত, সে সহজেই তার জাত চেনাতে পারবে।' অন্যদিকে সোনাক্ষী জানিয়েছেন, 'এটা দারুণ একটা ব্যাপার! আমি এই শো'টি খুবই পছন্দ করি।'

মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় উইলিয়াম-কেট

প্রেম থেকে পরিণয় : গোটা লন্ডনই যেন বিয়ে বাড়ি
বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে। বর প্রিন্স উইলিয়াম ও কনে কেট মিডলটনের সময়টা সত্যি কেমন কাটছে তা শুধু তারাই বলতে পারবেন। তবে এ নিয়ে বিশ্বে হইচইয়ের কমতি নেই। বিশেষ করে ব্রিটেন যেন ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। প্রিন্স উইলিয়ামের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা হয়তো দূর থেকে ছেলের এই আনন্দের মুহূর্তগুলো দেখে তার সংসারজীবন নিয়ে আশীর্বাদই করছেন।
বিশ্বের সেরা বিয়েগুলোর মধ্যে অন্যতম উইলিয়াম-কেটের বিয়ে নিয়ে মুখরোচক গল্পের অভাব নেই। অনেকে বলছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের চেয়েও মহা ধুমধামে হতে যাচ্ছে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। কিন্তু যে যা-ই বলুন, ব্রিটিশরা এ কথা কখনোই মানতে নারাজ, চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে ছাড়িয়ে যাবে উইলিয়ামের বিয়ে। কারণ ডায়ানা যে আসন করে নিয়েছিলেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। দীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এগিয়েছে প্রযুক্তি। মানুষ বেড়েছে। তাই মহা ধুমধামে হতেই পারে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। তাই বলে চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে কখনোই ছাড়াতে পারবে না এ বিয়ে। কারণ পৃথিবী যে এখনো ডায়ানার শোকে শোকাচ্ছন্ন। প্রিন্সেসের কথা মনে হলেই এক আবেগ আচ্ছন্ন করে তোলে ব্রিটিশদের।
তবে এ কথা সত্য, উইলিয়াম-কেটের বিয়ের অপেক্ষায় বিশ্ব উন্মুখ। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হবে, ঠিক যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্য। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষ টিভির পর্দায় সরাসরি দেখতে পাবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান।
এরই মধ্যে বিয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাতে উইলিয়াম ও মিডলটন কেট উভয়ের পরিবারের সদস্যরা হবু দম্পতিকে নিয়ে অংশ নিয়েছেন বিয়ের মহড়ায়। উপস্থিত ছিলেন উইলিয়ামের একমাত্র ভাই প্রিন্স হ্যারি। গাঁটছড়া বাঁধার আগে সর্বশেষ স্বাধীন মুহূর্তগুলো উপভোগ করে নিচ্ছেন বর-কনে। এর অংশ হিসেবে উইলিয়াম গত রাতটা কাটিয়েছেন বাবা প্রিন্স চার্লস ও ভাই হ্যারির সঙ্গে রাজপ্রাসাদ ক্ল্যারেন্স হাউসে। এ বিয়ে নিয়ে খুশি দাদি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপও।
কেট মিডলটনের রাত কেটেছে পাঁচ তারকা গোরিং হোটেলে। এখানে তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মাইকেল, মা ক্যারোল, বোন পিপা ও ভাই জেমস। এরই মধ্যে হোটেলে আনা হয়েছে কনের বিয়ের পোশাক। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে হোটেল করিডর।
কনে কেটের বয়স ২৯ বছর, যেখানে বর উইলিয়ামের ২৮। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছে উভয় পরিবার। আজ বাবার হাত ধরে কেট আসবেন উইলিয়ামের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে। বিয়ে পড়াবেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ ড. রোয়ান উইলিয়ামস।
রাজদম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠান এক ঝলক দেখতে শত শত পর্যটক জড়ো হচ্ছেন ব্রিটেনে। এরই মধ্যে শুধু লন্ডনেই এসেছেন প্রায় ছয় লাখ লোক।
এদিকে বিয়ের দিনটি অ্যাবে থাকবে তাজা ফুলের এক রাজ্য। এ জন্য ব্যস্ত সেখানকার মালীরা। বিয়েতে রাজকীয় গাড়িবহরে থাকছে ঘোড়ার গাড়িও।
বিয়ের দিনকে সবার কাছে উপভোগ্য করে তুলতে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।

কারিশমার দ্বিতীয় ইনিংস

দীর্ঘ আট বছর বিরতির পর আবারও বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন কারিশমা কাপুর। বিয়ের পর ঘর-সংসার নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয় জগতে তার ফিরে আসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তিনি নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন। কারিশমা বলেছেন, ভক্তদের টানে ফিরে এলাম। নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ছবির প্রস্তাবও পেয়েছি। অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে দর্শকরা তাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

Thursday, April 28, 2011

অস্বীকার করলেন ইয়ানা গুপ্তা

ছয় মাসের বন্ধুত্বের অবসান ঘটালেন বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী আইটেম গার্ল ইয়ানা গুপ্তা। সম্প্রতি একটি রিয়ালেটি শোতে নৃত্য পরিচালক সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেক প্রজাতন্ত্রের এই মডেল। শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে প্রেম চলে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে তাদের। কিন্তু রিয়ালেটি শো শেষ হওয়ার পর ভেস্তে গেছে সে সম্পর্ক। খবরের সত্যতাও স্বীকার করেছেন ইয়ানা।

ক্যাটরিনার পথে বোন ইসাবেল

ক্যাটরিনা কাইফের পথে পা বাড়াচ্ছেন ছোট বোন ইসাবেল কাইফ। খুব শীঘ্রই তাকে বলিউডে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রযোজনায় হাত দিয়েছেন ক্যাট। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ইসাবেলকে নেওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। অনেকের মতে, ছোট বোনকে ব্রেক দিতেই ক্যাটের এই ছবি। ইসাবেলকে দর্শকরা কিভাবে নেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Wednesday, April 27, 2011

ক্যাটের নতুন চমক

'শিলা'র পর এবার নতুন আইটেম ধামাকা নিয়ে আসছেন ক্যাটরিনা কাইফ। 'মেরে ব্রাদার কি দুলহান' ছবির একটি আইটেম গানে আবার নিজের নাচের ঝলক দেখাবেন ক্যাট। 'শিলা কি জাওয়ানি'-এর মতো নয়, এবারের আইটেম গানটি তৈরি হচ্ছে 'তেজাব' ছবিতে করা মাধুরী দীক্ষিতের 'এক দো তিন' গানটির মতো। দেখা যাবে, আশপাশে হৈচৈ করতে থাকা মাতালদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নাচছেন ক্যাট। যশরাজ স্টুডিওতে চলছে চিত্রায়ণের কাজ। সোহেল খানের সংগীত পরিচালনায় এই গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন বস্কো সিজার। ক্যাটরিনা বললেন, 'অন্য রকম একটা আইটেম গানে নাচছি। পথের পাশের মদের দোকানের মতো সেটে কাজ চলছে। আশা করছি, গানটি শিলার চেয়েও চমকদার হবে।

তিন চাকার সুপারসনিক

আগামী দশকের গাড়ি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তিন চাকার একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির নকশা তৈরি করে এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কারটি বগলদাবা করেছেন সার্বিয়ার এক নকশাবিদ। আগামী দশকের গাড়ির সেরা সেই নকশাবিদের নাম মার্কো লুকোভিচ। তিনি টেনথ মিশিগান চ্যালেঞ্জ ডিজাইন ২০১১ প্রতিযোগিতায় সেরা ঘোষিত হয়েছেন। লুকোভিচ তার নকশা করা গাড়িটির নাম দিয়েছেন 'সুপারসনিক'। তবে, নাম সুপারসনিক হলেও তিন চাকার এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি শব্দের গতি অতিক্রম করতে পারবে না। গাড়িটির নকশার সঙ্গে সুপারসনিক প্লেনের মিল রয়েছে। গাড়িটির পেছনের দুটি চাকার সঙ্গেই আলাদা আলাদা বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, রকেটের আদলে তৈরি এই গাড়িটিতে সামনে চালক ছাড়াও পেছনে একজন আরোহীর বসার ব্যবস্থা থাকছে। আগামীতে গাড়িটিতে ক্ষুদ্রাকৃতির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে যার মাধ্যমে একে সেলফোনের মতোই সহজে চার্জ দেওয়া যাবে। গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটির অটোমেটিক পাইলট মোড, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ থেকেই চলতে পারে এটি। ২০২১ সালেই হয়তো লুকোভিচের নকশা করা এই তিন চাকার 'সুপারসনিক'-এর দেখা মিলতে পারে।

হাতঘড়িতেও ফেসবুক!

এবার হাতঘড়িতেও ব্যবহার করা যাবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক। ফলে হাতঘড়ি এখন আর কেবল সময় দেখানোর কাজেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন ফেসবুকের আপডেট জানা, এমনকি চ্যাটিংও করা যাবে হাতের ঘড়িটি ব্যবহার করেই। যে কোনো জায়গা থেকেই ফেসবুক প্রোফাইলের আফডেট খোঁজ-খবর নেওয়া যাবে। আর এমনই একটি ঘড়ি তৈরি করেছে কানাডার একটি কোম্পানি। ফেসবুক আপডেট করা যায় এমন হাতঘড়ি তৈরি করেছে কানাডিয়ান কোম্পানি ইনপ্লাস। এই হাতঘড়িটিতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার সংযোগ দিয়ে প্রোগ্রামের আওতায় আনা যায় এবং এর ফলে ইনস্ট্যান্ট নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ট দেখা যায়। ইনপ্লাসের পক্ষ থেকে এই ঘড়িটিকে বলা হচ্ছে 'হ্যাকারের নিখুঁত যন্ত্র' যার পুরোটাই প্রোগ্রাম করা সম্ভব। ডেভেলপাররা ঘড়িটির ১.৩ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে, ভাইব্রেটিং মোটর, বাটন, টাইমার, অ্যালার্টসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এ ঘড়িটিতে থাকছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সুবিধা। ঘড়িটি খুব শীঘ্রই মানুষের হাতে হাতে পেঁৗছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি