Sunday, April 24, 2011

রাজশাহী মেডিক্যালের দুই ছাত্রের হাতে বন্ধু খুন

মাহবুব আলম রাসেল, জ্যোতির্ময় জয় ও সাবি্বর হোসেন। তাঁরা একে অপরের বন্ধু। বন্ধুত্বের এই বন্ধন যে এভাবে ছিন্ন হবে তা ভাবতেও পারেননি রাসেলের বাবা মকবুল হোসেন। কিন্তু তা-ই সত্যি হলো। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের দুই ছাত্রবন্ধু জয় ও সাবি্বরের হাতেই খুন হলেন রাজশাহী কলেজের ছাত্র ও ব্যবসায়ী রাসেল (২৪)। পাওনা টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় রাসেলকে খুন করা হয় বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের পিছনের একটি ড্রেন থেকে রাসেলের গলিত লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। রাসেলের পরিবারের করা মামলায় এর আগে গতকাল ভোররাতে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জয়ের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই র‌্যাব সদস্যরা রাসেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। রাসেলের আরেক বন্ধু সাবি্বর পলাতক।
রাসেলদের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। জয় নাটোরের বাগাতিপাড়া গ্রামের জগদিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল
কলেজের পঞ্চম বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) ছাত্র। তাঁর সহপাঠী সাবি্বর গাজীপুর জেলার মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। তাঁদের পরিবার বর্তমানে ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকে।
জয়ের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে র‌্যাব জানায়, রাসেল আইপিএলের বাজি জিতে সাবি্বরের কাছে তিন লাখ টাকা পেতেন। তা ছাড়া ১৫ শতাংশ সুদে ধার নেওয়া দেড় লাখ টাকা পেতেন জয়ের কাছে। ওই টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় জয় ও সাবি্বর গত ৪ এপ্রিল রাসেলকে নাটোরের আবদুলপুর বাজারে তাঁর ইলেকট্রনিকসের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর ওই দিনই রাত ১২টার দিকে তাঁরা রাসেলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারু মামার ক্যান্টিনের সামনে নিয়ে যান। সেখানে ক্যান্টিনের সামনে বসে তাঁরা তিনজন তিনটি ফেনসিডিল পান করেন। রাসেলকে তাঁরা ফেনসিডিলের যে বোতলটি পান করতে দিয়েছিলেন তাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। এ কারণে রাসেল ফেনসিডিল পানের কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাসেলকে হত্যা করার জন্য তাঁর শরীরে সাবি্বর বিষজাতীয় ইনজেকশন পুশ করেন। ১০ মিনিট পরে রাসেল মারা যান। এরপর জয় ও সাবি্বর দুজনে মিলে রাসেলের লাশ চারু মামার ক্যান্টিনের পিছনে নিয়ে ড্রেনের স্লাব ও মাটি তুলে সেখানে ফেলে দেন। দ্রুত পচে যাওয়ার জন্য লাশের ওপর প্রথমে সিমেন্ট ও কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে কচুগাছ লাগানো হয়।
জয় র‌্যাবকে জানান, তিনি মানুষের কংকালের ব্যবসা করতেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে কংকাল কিনে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করতেন। এই ব্যবসার জন্য তিনি রাসেলের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। রাসেলকে হত্যা করার জন্য সাবি্বর ও জয় এক সপ্তাহ আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।
রাসেলের বাবা মকবুল হোসেন জানান, জয় হিন্দু সমপ্রদায়ের ছেলে হলেও প্রায় সাত বছর আগে নাটোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণীতে একসঙ্গে পড়ার সময় রাসেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর এইচএসসি পাস করে রাসেল রাজশাহী কলেজে অর্থনীতিতে এবং জয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। সেই সুবাদে মাঝে-মধ্যেই জয় তাঁদের বাসায় যাতায়াত করত। একপর্যায়ে জয়ের বন্ধু সাবি্বরের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে রাসেলের। মকবুল হোসেন জানান, জয় ও সাবি্বর ঠিকাদারি ব্যবসা এবং কোচিং সেন্টার খোলার নাম করে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাসেলের কাছ থেকে ধার নিয়েছিল। এই টাকা পরিশোধের জন্য রাসেল মাঝে-মধ্যেই তাদেরকে বলত।
মকবুল হোসেন আরো জানান, গত ৪ এপ্রিল দোকানের মালামাল কেনার নাম করে রাসেল তার বন্ধু জয় ও সাবি্বরের সঙ্গে নাটোরের আবদুলপুর রেলস্টেশন থেকে বিকেল ৫টার সময় পদ্মা ট্রেনে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় ছেলের সঙ্গে কথা হয় মকবুলের। রাত ১০টার দিকে রাসেলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিনও রাসেলের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি সাবি্বরকে ফোন করেন। তখন সাবি্বর তাঁকে জানিয়েছিলেন, রাসেল ভালো আছে, কোনো সমস্যা হয়নি। চার্জ না থাকায় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে আছে। সে খুব ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারছে না বলেও জয় মকবুল হোসেনকে জানিয়েছিলেন। এরপর মকবুল হোসেনের সঙ্গে জয় ও সাবি্বর এভাবে আরো কয়েকবার প্রতারণা করতে থাকেন। সর্বশেষ জয়ের সঙ্গে গত ৭ এপ্রিল কথা হয় মকবুল হোসেনের।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মকবুল হোসেন বলেন, 'রাসেলকে এভাবে কৌশলে অপহরণ করে হত্যা করা হবে, এটা কখনো চিন্তাই করতে পারিনি। আমি ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।' ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে রাসেলের মা রেহেনা খাতুন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন।
রাসেলের ভগি্নপতি মাজেদুর রহমান জানান, রাসেলের ফোন বন্ধ থাকার পর যখন জয় ও সাবি্বরের মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর রাসেলের পরিবারের লোকজন ধারণা করেন, তাঁকে জয় ও সাবি্বর অপহরণ করেছে। কোনোমতেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় গত ১৫ এপ্রিল রাসেলের বাবা লালপুর থানায় জয় ও সাবি্বরের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন।
রাজশাহী র‌্যাব-৫-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, জয় ও সাবি্বর দুজনই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পড়ে বলে মামলাটি হাতে পাওয়ার পর লালপুর থানা থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর মোবাইল ট্র্যাকারের মাধ্যমে জয়কে গতকাল ভোর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রাতে তাঁকে লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পলাতক সাবি্বরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
জয়ের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে র‌্যাব জানায়, রাসেলকে হত্যার পর গত ৯ এপ্রিল সাবি্বর ও ১০ এপ্রিল জয় রাজশাহী ছেড়ে পালিয়ে যান। মেজর রাকিবুল বলেন, 'জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জয় ও সাবি্বরই জড়িত ছিলেন। আর কেউ জড়িত আছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।'
গতকাল সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাঁর লাশ একঝলক দেখার জন্য এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে রাসেলের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
যেভাবে উদ্ধার হলো লাশ : জয়কে নিয়ে র‌্যাবের একটি দল গতকাল দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চারু মামার ক্যান্টিন এলাকায় আসে। এরপর যেখানে রাসেলকে পুঁতে রাখা হয়েছিল সেখানে র‌্যাব ও সাংবাদিকদের নিয়ে যান জয়। কলেজের মূল ভবন থেকে ১০ হাত দূরে উত্তর পাশে চারু মামার ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের পেছনে মাটি আর পানিতে ভরে যাওয়া একটি ড্রেন। সব সময় পানি জমে থাকে বলে এখানে কিছু কচুগাছও জন্ম নিয়েছে। এই কচুগাছের মধ্যে সামান্য একটু আলগা করা মাটি। তার ওপর চাপানো রয়েছে ছোট ভাঙা একটি স্লাব। জয় নিজে স্লাবটি টেনে তুলতেই লাশের পচা গন্ধ বের হতে থাকে। পরে ডোম ডেকে রাসেলের লাশ তোলা হয়।
রাসেলের পরিচিতি : নাটোরের লালপুর উপজেলার মকবুল হোসেনের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে রাসেল ছিলেন ছোট। ২০০৩ সালে নাটোরের করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে রাসেল নাটোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হন। এরপর সেখান থেকে ২০০৫ সালে এইচএসসি পাস করে অনার্স পড়ার জন্য রাজশাহী কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্র থাকা অবস্থায়ই ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর রাসেল এলাকায় ইলেকট্রনিকসের দোকান দেন। তাঁর আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।

রাজধানীর পাঁচ স্থানে টাইমবোমার তথ্যে পুলিশে দৌড়ঝাঁপ

রাজধানীর পাঁচটি স্থানে টাইমবোমা পোঁতা হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। কাফরুল থানার ওসিকে ফোন করে এক তরুণী জানান এ সংবাদ। এমন খবরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী গলদঘর্ম হয় পুলিশ। কোথাও মেলেনি টাইমবোমার আলামত। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তথ্যদাতা তরুণীর মোবাইল ফোনের নম্বরটিও। তবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শনাক্ত করতে পেরেছে ওই তরুণীকে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে গত শুক্রবার রাতে কাফরুল এলাকা থেকে রোমানা বিনতে সাইফ (১৯) নামের ওই তরুণীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় রোমানার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে কোনো বিরতি না থাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পরীক্ষা স্থগিতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দেয় রোমানা। সে কাফরুলের একটি কলেজ থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তার বাবার নাম সাইফুল ইসলাম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল রাতে রোমানা কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফকে সরকারি মোবাইল ফোনে কল করে জানায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, রাইফেলস স্কয়ার ও আবাহনী মাঠসহ রাজধানীর পাঁচটি স্পটে টাইমবোমা পুঁতে রাখা হয়েছে। বোমাগুলো ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হবে বলেও জানায় রোমানা। কে বোমা ফাটাবে জানতে চাইলে রোমানা পুলিশকে জানায়, তার স্বামী এর সঙ্গে জড়িত। স্বামীকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে এর আগে রোমানা স্বামীর বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল বলেও জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রমাণ পায় রোমানা সম্পূর্ণ মিথ্য তথ্য দিয়েছে।
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে রোমানা জানায়, সে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পরীক্ষা স্থগিতের আশায় ওই মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। স্বামী-সংসার নিয়ে মিথ্যা নাটক করেছিল বলেও জানায় রোমানা। সে অবিবাহিত এবং তার কোনো সন্তান নেই। পুরো ঘটনাই বানোয়াট বলে স্বীকার করে রোমানা।

অফার

* নকিয়া : বাংলা নতুন বছরে নকিয়া উৎসব চলছে। এখন নকিয়ার ১৬১৬ অথবা ১২৮০ মডেলের যেকোনো একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট কিনে ক্রেতারা জিতে নিতে পারেন নানা উপহার।
* বসুন্ধরা সিটি : রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে স্বল্পসংখ্যক দোকান বরাদ্দ চলছে। বুকিং দিলেই ক্রেতারা পাবেন ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড় ও একটি এলসিডি টিভি।
* এলজি : এলজি-বাটারফ্লাই শো-রুম কিংবা অনুমোদিত ডিলার থেকে নূ্যনতম ১০ হাজার টাকা মূল্যের যেকোনো এলজি-বাটারফ্লাই পণ্য কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি ডিসকাউন্ট খাম। খুললেই পাবেন বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ডিসকাউন্ট।
* বাংলালিংক : এখন বাংলালিংক দেশ সংযোগের গ্রাহকরা বিনামূল্যে পাবেন ৩৫০ টাকার টকটাইম এবং ৫০০টি এসএমএস

হরভজন ঘূর্ণি-জাদুতে শীর্ষে মুম্বাই

ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেননি হরভজন সিং। কিন্তু আইপিএলে তাঁর ঘূর্ণি-জাদুতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জয়ের সোপান রচিত। তাও আবার ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দলের বিপক্ষে। ১৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়া হরভজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ের সুবাদে শচীন টেন্ডুলকারের দল আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের অবস্থান নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ নবম স্থানে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু 'টাইম' ম্যাগাজিনের বছরের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই করে নেওয়া 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর দিনটা ভালো কাটেনি। গতবার মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দ্বৈরথে টেন্ডুলকারের দলেরই জয়ের উল্লাস। 'লিটল জিনিয়াস' মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মার ৪৮ বলে ৮৭ রানের 'ঝড়' আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৪। জবাব দিতে নেমে ওপেনার মাইক হাসি (৪১) আর বদ্রিনাথ (৭১*) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।
ম্যাচশেষে ম্যাচের সেরা হরভজন জানিয়েছেন, 'ফিল্ডিং করতে নামার সময় ভেবেছিলাম চেন্নাইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের আরো ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল।' কিন্তু দারুণ ফিল্ডিং করে এই লক্ষ্যকেই চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন বানিয়ে তুলেছে টেন্ডুলকারের দল। বিশেষ করে তাদের ক্যাচিং ছিল অসাধারণ। হরভজনের বিশ্বাস দুটো দুর্দান্ত ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, '(কিয়েরন) পোলার্ড দারুণ একটা ক্যাচ নিয়ে হাসিকে ফিরিয়েছে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচের ভাগ্য আমাদের দিকে ঘুরে গেছে। এরপর রোহিতও চমৎকার ক্যাচে ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।' বল হাতে ফর্মে ফিরতে পেরেও 'ভাজ্জি' দারুণ খুশি, 'যেখানে একটা উইকেট পাওয়াই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল সেখানে পাঁচ উইকেট পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি ধীর-স্থির ছিলাম। জানতাম যে বল যেখানে ফেলছি ব্যাটসম্যান সে জায়গায় মারবেই। তবে একই সঙ্গে জানতাম সে (বলের লাইন) মিস করলেই আমি উইকেট পাব।' যদিও ভারতের সেরা স্পিনারের ধারণা, ওয়াংখেড়ের পিচ থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়েছেন তিনি, 'এই পিচটা ভারতের সেরা। লাল মাটি সিম বোলারদের সাহায্য করেছে, স্পিনারদের জন্য ভালো বাউন্স ছিল, আবার ব্যাটসম্যানদেরও শট খেলতে সমস্যা হয়নি।' হরভজনের অধিনায়ক টেন্ডুলকারও পুরো দলের ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে রোহিত শর্মা আর পোলার্ডের ক্যাচ দুটোর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠে। মাত্র ৩ রান করে রোহিতের দারুণ ক্যাচে পরিণত ধোনিরও ধারণা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিতে ফিল্ডিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি, 'আমাদের ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু ওই ফিল্ডিংই (দুই দলের মধ্যে) ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওরা দুটো অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছে।

ভারতের কোচ হওয়ার কথা ভাবছেন না ফ্লেমিং

গ্যারি কারস্টেনের উত্তরসূরি হিসেবে কদিন ধরেই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ডানকান ফ্লেচারের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথাও। কিন্তু ফ্লেমিং নিজেই জানিয়েছেন, ফুলটাইম কোচিং করানোর বিষয়টি নাকি তিনি ভাবার সময়ই পাচ্ছেন না, 'চেন্নাই সুপার কিংসকে কোচিং করানো বেশ উপভোগ করছি। হাতে এখন কাজের শেষ নেই। দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার। তবে কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে আমি এখনো খুব বেশি কিছু ভাবিনি। এটা (কোচিং ক্যারিয়ার) এমন একটা বিষয় যা পরেও ভাবা যাবে।'
২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছেন গ্যারি কারস্টেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে এখনো অবশ্য কোনো জাতীয় দলের কোচ হননি ফ্লেমিং। বর্তমানে তিনি চেন্নাইয়ের কোচ। এ পর্বও দুই মাসের বেশি নয়। তাই কোচ হিসেবেও নিজেকে শিক্ষানবিসই মনে করেন ফ্লেমিং।

গিলক্রিস্টের কাছে ক্লাব নয়, দেশই বড়

দেশ বড় না ক্লাব-প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এবারের আইপিএল। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্য লঙ্কান বোর্ড ৫ মে'র মধ্যে দেশে ফিরতে বলেছিল কুমার সাঙ্গাকারাদের। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। পরে ভারতীয় বোর্ডের চাপে ৫-এর বদলে ১৮ মে দেশে ফিরতে বলা হয় সাঙ্গাকারাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিয়েরন পোলার্ডও আইপিএলের জন্য খেলছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। আর সাবেক ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রিস গেইল প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ না পেয়ে চলে এসেছেন আইপিএল খেলতে। তাই তাঁর ওপর খেপেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। এমন সময়ই সর্বকালের সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট জানালেন, তাঁর মতে ক্লাব নয়, সবার কাছে দেশের গুরুত্বই বেশি হওয়া উচিত, 'আমি বিশ্বাস করি সব ক্রিকেটারেরই সবার আগে দেশকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আইপিএলে খেলার আমন্ত্রণ পাওয়াটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কিন্তু আমরা এই সুযোগটা পেয়েছি দেশের হয়ে ভালো খেলার কারণেই।' অবশ্য দেশ আর ক্লাবের মধ্যে কোনো একটাকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারটি যে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মতো নয় সে কথাও স্বীকার করেছেন আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক, 'শেষ পর্যন্ত এটা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আর সে দেশের বোর্ডের সমঝোতার ব্যাপার।' পিটিআই

শ্বশুরের গানে সালমার কণ্ঠ

সালমার সর্বশেষ একক 'বৃন্দাবন' প্রকাশিত হয়েছে গত বছর। অ্যালবামের গানগুলো পছন্দ করেন শ্রোতা। আসছে ঈদে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত এই গায়িকা। এটি হবে সালমার ষষ্ঠ একক। সালমা জানান, তাঁর প্রথম একক অ্যালবামের সুরকার-সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন এ অ্যালবামেও সংগীত করবেন। গানের কথা থাকবে বিভিন্ন গীতিকারের। তবে এবারের অ্যালবামের একটি বিষয় সালমার কাছে একেবারেই আলাদা। এ অ্যালবামে সালমা গাইবেন তাঁর শ্বশুর মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর লেখা গান।
সালমা বলেন, 'আমার শ্বশুর অনেক গান লিখে গেছেন। কিছু গান আমি হাতে পেয়েছি। গানগুলোর কথা আমার বেশ মনে ধরেছে। আর তাই সেখান থেকে দু-একটি গান আমার অ্যালবামেও রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

গরমের বলিউড

যতই চরম হোক গরম, থাকতে হবে ঠাণ্ডা। দেখতে যেন তাজাই লাগে। দেখা যাক, বলিউডের নায়িকারা কেমন সাজ পোশাক নিচ্ছেন এই গরমে
কারিনা কাপুর
পোশাকটার রং উপচে পড়ছে। ম্যাঙ্ইি তো বলে পোশাকটাকে। ছিমছাম লাগছে খুব। নজরও কাড়ছে।

ক্যাটরিনা কাইফ
বার্বি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাট এই সময়ে। দেখতে বাচ্চা বাচ্চা লাগে। গরমের এত ভালো আর হয় না। কী আরামেই না বসে আছে গোল গলা টি-শার্ট আর খাটো চেক স্কার্ট পরে! পায়ে গলিয়েছে স্নিকার। আর চুলের হলুদ ব্যান্ডটা তো ওকে রীতিমতো আদুরী করে তুলেছে।

শিল্পা শেঠি
পা দেখাতে ভালোবাসেন শিল্পা। মানতেই হবে দেখতে ভালো। ফ্রকটার রং যেমন ভালো, আরামও পাচ্ছেন মনে হয়।

সোনম কাপুর
দীর্ঘাঙ্গী, মায়াবী চেহারার মেয়েটা পরেছে অ্যাংলোদের মতো একটা পোশাক। আবার মনে হয় সম্ভ্রান্ত ব্রিটিশ রমণী।

ট্যাক্সি চালিয়ে বিখ্যাত বাংলাদেশের শামীম

নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দূরত্ব দুই হাজার ৭৪০ মাইল। এই পথে টানা ছয় দিন গাড়ি চালিয়ে ইতিহাসের অংশ হলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক মোহাম্মদ আলম ওরফে শামীম। আর এ ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করেছেন জন বেলিটস্কি ও ড্যান উইবেন নামের যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিকের জন্য। ঘটনাটি গোটা আমেরিকায় ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার শুরু ড্যান উইবেন (৩২) কিভাবে তাঁর জন্মদিন কাটাবেন তা নিয়ে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর সিদ্ধান্ত নেন নিউইয়র্ক থেকে ট্যাক্সিতে করে তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলেস ভ্রমণের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদ্যাপন করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। তাঁরা পাঁচ হাজার ডলারে ভাড়া করেন শামীমের ট্যাক্সি তবে জ্বালানি ও পথের সব ধরনের ব্যয়ও তাঁরা বহন করবেন বলে জানান। এ প্রস্তাবে রাজি হন শামীম। ১৬ এপ্রিল রাত ১১টায় লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু হয়। ছয় দিন পর ২২ এপ্রিল লস অ্যাঞ্জেলেস সিটিতে গিয়ে পৌঁছেন তাঁরা। টিভি, রেডিও ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাঁদের এ চ্যালেঞ্জিং যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান। সেটি ফলাও করে প্রচারও হয়।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম শামীম ১৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যান ডিভি লটারি জিতে। ১২ বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটিতে তিনি ট্যাক্সি চালাচ্ছেন। শামীম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'বিষয়টিকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছি তখন সে এক লঙ্কাকাণ্ড ব্যাপার। মিডিয়াকর্মীরা ঘিরে ধরেন আমাদের।' তিনি বলেন, জিপিএসের (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) নির্দেশে গাড়ি চালিয়েছেন বিধায় কোনো অসুবিধা হয়নি।
জন বেলিটস্কি বলেন, 'বন্ধুর জন্মদিন এমনভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম, যা হবে মজার, ঝুঁকিপূর্ণ এবং চমকপ্রদ। এবং সেটি ঘটল।'
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির ৪৪ হাজার ক্যাবচালকের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি। এর আগে যাত্রীর ফেলে যাওয়া বিপুল অর্থ ও স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশি ওসমান চৌধুরীসহ বেশ কজন যে সততার পরিচয় দেন, তা গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত হয়।

NEW WAY TO EARN MONEY IN ONLINE