Saturday, April 23, 2011

গেইল ঝড়ে বিধ্বস্ত কলকাতা

ক্রিস গেইল এসেই যেন নিজের রূপটা দেখিয়ে নিলেন আইপিএলকে। মাত্র ৫৪ বল থেকে ৭টি ছয় ও ৯টি চার মেরে করলেন ৯৮ রান। এরপর? অনেকক্ষণ ঠেকে ছিলেন তিনি ৯৮ রানে। বিরাট কোহলি চাইলে গেইলের সেঞ্চুরিটা আটকে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সহযাত্রীর এই বিরল সম্মান থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নিতে চাইলেন না। কোহলি ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে নিজেদের স্কোর নিয়ে গেলেন ১৭০ রানে। এর আগে কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৭১ রান। গেইলের ৯৮। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ২ রান। ইকবাল আব্দুল্লার চারটি বল ঠেকিয়ে দিলেন কোহলি। কিন্তু ইকবাল পঞ্চম বলটি হোয়াইট দিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন সবার মনে। এমনকি কোহলি নিজেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন বার বার। তবে শেষ বলটি হলো কোন রান ছাড়াই। উনিশতম ওভারটি করতে এলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই স্ট্রাইকে থাকা ক্রিস গেইল চার মারলেন। সেই সঙ্গে গ্যালারি যেন নতুন করে জেগে উঠল। ৫৫ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেললেন ক্রিস গেইল। সঙ্গে থাকা কোহলি করেছেন ২৩ বলে ৩০ এবং এর আগে দিলশান করেছেন ৩১ বলে ৩৮ রান। শচীন টেন্ডুলকার কিছুদিন আগেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন শেষ বলে। ক্রিস গেইলও অনেকটা তাই করলেন। দেশ থেকে একরকম অভিমান করে চলে আসার ক্যারিবীয় এই তারকা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে খেলতে নেমেই প্রমাণ করলেন নিজেকে। সেই সঙ্গে আইপিএল জমিয়েও তুললেন। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচ থেকে ২ জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে বাঙ্গালুরু। শীর্ষে থাকা কলকাতা নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। তারা ৬ ম্যাচ থেকে জয় পেয়েছে ৩টিতে।
গেইল ঝড় শুরু হওয়ার আগে গৌতম গাম্ভীরের ৩৮ বলে ৪৮ এবং ক্যালিসের ৪২ বলে ৪০ রান কলকাতাকে মোটামুটি নিরাপদ সংগ্রহই এনে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিস গেইল যে তার স্বভাবসুলভ ঝড় নিয়ে মাঠে উপস্থিত হবেন তা কে জানতো? জানেনি বলেই গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরে গেল ৯ উইকেটে। আরবিন্দ ২ এবং সাঈদ ও ভেট্টরি একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে। কলাকাতার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন বালাজি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি কেকেআরের। শাহরুখ খান মাঠে দাঁড়িয়ে দেখলেন নিজের দলের পরাজয়। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইল।

নতুন প্রেমে মন মজাইয়া...

জন আব্রাহামের সঙ্গে বিপাশা বসুর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেস্তে গেছে খুব বেশিদিন হয়নি। খবর রটেছে, এই বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে বিপাশা নাকি এবার 'সিঙ্গুলারিটি' ছবিতে তার সহ-তারকা জশ হার্নেটের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন। ছবিটির শুটিংয়ের বাইরেও প্রচুর সময় তারা একসঙ্গেই কাটাচ্ছেন। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হলিউডি ছবি 'সিঙ্গুলারিটি'তে একসঙ্গে অভিনয় করছেন বিপাশা ও জশ। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ছবিটির শুটিং করছেন তারা। শুটিংয়ের সময় তো বটেই, শুটিং শেষেও প্রচুর সময় তারা একে অপরের সানি্নধ্যেই থাকছেন।

কৃষ্ণচূড়ায় লেগেছে আগুন

সময়টা বৈশাখ। কাঠফাটা রোদ, অসহনীয় গরম, আবার হঠাৎ কালবৈশাখী। সবমিলিয়ে একটা বিরক্তিকর প্রকৃতি। এত কষ্টের মাঝেও একটাই সান্ত্বনা, সময়টা এখন কৃষ্ণচূড়ার। চারদিকে যেন রঙের আগুন ধরেছে। সে আগুন নেভানোর কোনো দমকলও নেই। ব্যস্ত এই শহরের এদিক-সেদিক একটু চোখ ফেললেই চোখে পড়বে লাল রঙা কৃষ্ণচূড়া। লাল রঙা এ ফুলগুলোর দিকে একবার তাকালে চোখ ফেরানো দায়।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া (Delonix regia)। চমৎকার পত্রপল্লব আর আগুন লাল ফুল ছাড়ানো ছাড়া এর যেন আর কোনো কাজ নেই। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত। গুলমোহর নামেও এর বেশ পরিচিতি রয়েছে। একটা সময় ছিল এটা শুধু মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝড়া জঙ্গলে পাওয়া যেত এদের। কিন্তু এর সৌন্দর্য একে জঙ্গল থেকে তুলে নিয়ে এসেছে ইট-কাঠের শক্ত শহরেও। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় সড়কের পাশেও এদের শক্ত অবস্থান।
কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা একে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সৌন্দর্য ছড়ানো ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় শীতল ছায়া দিয়ে থাকে। এরা উচ্চতায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এর উচ্চতা অনেক। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে এর পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙ উজ্জ্বল লাল। আমাদের দেশে বসন্তকালে এ ফুল ফোটা শুরু করে। গ্রীষ্মের কিছুটা সময়ও তাদের যৌবন টিকে থাকে। এর ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি দিয়ে মোড়া। পাপড়িগুলো প্রায় ৪ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। এর পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০টি উপপত্রবিশিষ্ট।
কৃষ্ণচূড়া জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। বাংলাদেশ ছাড়াও আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি জন্মে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও কিছু কিছু উপত্যকায় এদের দেখা যায়। তবে এসব অঞ্চলে ফুল ফোটার সময় ভিন্ন।

ভ্যাটিকান সিটি

পৃথিবীতে সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি। যার আয়তন মাত্র ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার। ভ্যাটিকান সিটির লোকসংখ্যা প্রায় ৯২০ জন। ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র ইতালির রাজধানী রোমের পাশেই এই রাষ্ট্রের অবস্থান। ১৯২৯ সালের দিকে ইতালির ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান বিনেটো মুসোলিনির সময়ে পিটরো গ্যাসপারি নামক একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুসোলিনির অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যাটিক্যান সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। রহস্যঘেরা এ ছোট্ট দেশটিকে নিয়ে লোকমুখে নানা কথা প্রচলিত আছে। ভ্যাটিকান সিটিটি সবসময় থাকে শান্ত_ এর চারপাশে বিরাজ করে সুনসান নীরবতা, দেশটিতে কোনো রমণী বসবাস করে না বলেই ধরে নেওয়া হয়। যারা ভ্যাটিকান সিটিতে বসবাস করে সবাই ক্যাথলিক পোপ। তারা সারা পৃথিবীতে খ্রিস্টধর্মের শান্তির বার্তা প্রচার করেন। প্রথম শতাব্দী থেকেই ভ্যাটিকান সিটিতে খ্রিস্টধর্মের সাধু বা পোপরা বসবাস শুরু করেন। তখন ভ্যাটিকান সিটি স্বাধীন-সার্বভৌম কোনো রাষ্ট্র ছিল না। শুধু ইতালির অধীনে ছোট শহর বলে পরিচিত ছিল। ১৯২৯ সালে ভ্যাটিকান স্বাধীনতা লাভ করলেও এখনো জাতিসংঘের সদস্য হতে পারেনি। সাধারণ জনগণ ইতালি ও ল্যাটিন উভয় ভাষাই ব্যবহার করে। দেশটির সাক্ষরতার হার ৯৯.২%। বার্ষিক গড় আয় ১৬০০ মার্কিন ডলার। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ভ্যাটিকান সিটির যেসব নাগরিক বৃদ্ধ হয়ে যায় তাদের ইতালিতে প্রেরণ করা হয় বাকি জীবন অতিবাহিত করার জন্য। আর এতে বৃদ্ধদের পরিবর্তে আনা হয় তরুণ সাধু-সন্ন্যাসীদের। প্রথম শতক থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ পোপ এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তবে অন্যান্য দেশের মতো এখানেও রয়েছে সরকার পদ্ধতি_ মন্ত্রী-এমপি, যারা সুন্দর ও সুচারুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। ভ্যাটিকান সিটির চতুর্দিকে শুধু সবুজ আর সবুজ, নানা গাছ-গাছালিতে এই ছোট্ট রাষ্ট্রটি পরিবেষ্টিত। ভ্যাটিকান সিটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো সেনাবাহিনী নেই, তবে ইতালির সরকার এই দেশটিকে নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিয়োগ করেছে কয়েকশ নিরাপত্তাকর্মী। পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত রয়েছে বিশ্বের অন্যতম নামকরা নিরাপত্তা প্রাতিষ্ঠান সুইজ গার্ড (Swiss Gurd) সাংবিধানিক নিময় অনুযায়ী পোপই রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রটি পরিচালনা করেন। সারা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান বলে ঘোষিত ভ্যাটিকান সিটিকে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ 'বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান' হিসেবে ঘোষণা করে_ বর্তমানে রাষ্ট্রটি খ্রিস্টান ধর্মের অন্যতম প্রধান স্থান হিসেবে বিবেচিত।

ভয়ঙ্কর ইয়াবা আগ্রাসনে ঢাকা

প্রথমে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া-দাওয়া কমে যাওয়া, রাতজাগা, চড়া মেজাজ_ এ সবই হলো ভয়ঙ্কর ইয়াবা সেবনকারীর প্রাথমিক আলামত। পরে এক সময় ফুসফুস, কিডনি বিকল হতে হতে শরীর অকার্যকর হয়ে চলে যায় মৃত্যুর দিকে। সেই ইয়াবার সাম্রাজ্য এখন ঢাকায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ঢাকা নগরীতেই প্রতিদিন ১৪ লাখ ইয়াবার চাহিদা। চার গ্রেডের মিলে ব্যবসায়ী সংখ্যা ১৫ হাজার। উঠতি টিনএজ ছেলেমেয়ে এখন ইয়াবা আগ্রাসনের শিকার। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও উত্তরার অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ। আপনাদের ছেলেমেয়ের হাতের নাগালেই এখন ইয়াবা। ইয়াবা ভাসছে অলিতে-গলিতে। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী প্রতি ওয়ার্ডে ২০০'র বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। জানা যায়, হাতে খরচের টাকা বেশি পাওয়া ছেলেমেয়েরাই এখন ইয়াবার নেশায় আসক্ত। এমনকি ডাক্তার, প্রকৌশলী ও তরুণ ব্যাংকার ব্যবসায়ীদের কাছেও ইয়াবা ভীষণ প্রিয়। এ ভয়াবহ মাদক 'ইয়াবা' নিয়ে সরকারসহ দেশবাসী উদ্বিগ্ন হলেইবা কি আসে যায়। আইনশৃক্সখলা বাহিনীর চোখের সামনে চলছে অলিগলিতে বেচাকেনা। এমন লাভজনক ব্যবসায় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শেষ হলেইবা কি! এর বিরুদ্ধে কোথাও সাঁড়াশি অভিযান নেই। কারণ এটা বন্ধ হলেই যে বখরা বা চাঁদার মোটা অংক আদায় হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা নামলেই গুলশান, ধানমন্ডি, বনানী ও উত্তরার বিস্তীর্ণ এলাকার অলিগলিতে উঠতি ছেলেমেয়েরা যেখানেই জড়ো হচ্ছে সেখানেই চলছে ইয়াবা সরবরাহ। মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে এক সময় হেরোইনসেবীদের সংখ্যা বাড়ত। এখন ইয়াবা আসক্তদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। শাড়ির আঁচলে অসহায় মায়েরা অশ্রুতে চোখ মোছেন নীরবে। বাবার বুকে গভীর বেদনা- দীর্ঘশ্বাস। সন্তানকে নিয়ে দেখা বড় বড় স্বপ্ন এখন ইয়াবার কারণে দুঃস্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, রাজধানীতে এমএলএম (মাল্টিলেভেল মার্কেটিং) পদ্ধতিতেই চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। চারটি গ্রেডে বিভক্ত হয়ে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে গডফাদাররা। সবচেয়ে নিচের গ্রেডের ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিক্রির টার্গেট থাকে প্রতিদিন ৪০-৫০টি। ওই গ্রেডের একেক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে ১০-১২ জনের সেবক গ্রুপ থাকে।
তবে প্রতিদিন লাখ পিসের অধিক ব্যবসা করে এমন মাদক ব্যবসায়ীর (প্রথম গ্রেড) সংখ্যাও বর্তমানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অর্ধেকের বেশি সারা দেশে ইয়াবা সরবরাহ করে। এদের অনেকেই অন্য ব্যবসার আড়ালে দেদারসে ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর এমন কোনো গলি বাদ নেই যেখানে ইয়াবা ব্যবসায়ী নেই। র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা জানান, অবিশ্বাস্য রকমভাবে ইয়াবার বিস্তার ঘটছে সারা দেশে। প্রতি গলিতেই রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, ইয়াবা সেবক ও ব্যবসায়ীর তালিকায় ডাক্তার-প্রকৌশলী থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত প্রায় সব পেশার মানুষই রয়েছেন। তবে এর নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে খোদ রাজধানীতেই তৈরি হচ্ছে নকল ইয়াবা। ১৭ এপ্রিল মীরহাজিরবাগের ৪২৮/১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এমনই নকল ইয়াবা কারখানার সন্ধান পায়। এ সময় কারখানা থেকে দুই রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও নকল ইয়াবা তৈরির বিভিন্ন উপকরণসহ জাকির হাসান ওরফে জুয়েল (৩০) ও নাসির উদ্দিন (৩৭) নামের দুজনকে গ্রেফতার করে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা রাজধানীতে আরও নকল কারখানা থাকতে পারে।
ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন জানান, সাবানের গুঁড়া, মোমের গুঁড়া, হেরোইন, বিশেষ ফ্লেভার মিশিয়ে ওই কারখানায় নকল ইয়াবা তৈরি হচ্ছিল। তবে বর্তমানে এমএলএম পদ্ধতিতে ইয়াবার ব্যবসা হওয়ার কারণে এর বিস্তার রোধ করা খুব কঠিন হচ্ছে। একই সঙ্গে কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ব্যবসা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্রথমে তার পরিচিতজনদের কাছে একটি ইয়াবা বড়ি ফ্রি দিচ্ছে। প্রথমবার খাওয়ার পরই ওই ব্যক্তি অন্য রকম সতেজতা, একই সঙ্গে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে। দুই-একদিন এর থেকে বিরত থাকলেও ওই অনুভূতি ভুলতে পারে না। ওই সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছে গেলে সে কম মূল্যে তাকে আবার আরেকটি ইয়াবা পিল দেয়। এক পর্যায়ে সে আসক্ত হয়ে পড়ে ইয়াবাতে। প্রথমদিকে একটিতে অভ্যস্ত থাকলেও ক্রমান্বয়ে কারও কারও সেবনের মাত্রা সর্বোচ্চ ৬-৮টিতে গিয়ে ঠেকে। ওই সময় ইয়াবা ব্যবসায়ী সেবনকারীকে বিক্রেতা হিসেবে বেছে নেয়। টার্গেট দেয় দৈনিক ৪০-৫০টি। ওই ইয়াবা বিক্রির ফলে তার সেবনের খরচ অনেকটাই উঠে যাচ্ছে। একটি ইয়াবার দাম ৩০০-৪০০ টাকা। তাই সেবনকারীরা ২৫০ টাকায় এনে বিক্রি করতে উৎসাহবোধ করে। এতে তার সেবন বাবদ খরচের টাকা উঠে যায়। তবে পরিচিতজনদের বাইরে ইয়াবা বিক্রি করে না ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা স্কুল-কলেজ বিশেষ করে ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীদের এখন টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, ইয়াবার আগ্রাসন ঠেকাতে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০টি অভিযান চালানো হচ্ছে। এর সাফল্যও আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা মেট্রো অঞ্চলে গত বছর ৬৬টি মামলার বিপরীতে ইয়াবা উদ্ধার হয় মোট ৫ হাজার ৫৪৭টি। গ্রেফতারের সংখ্যা ৯০। তবে গত চার মাসে ১২৩টি মামলার বিপরীতে ইয়াবা উদ্ধার হয় ৭ হাজার ৭৯৫টি। গ্রেফতারের সংখ্যা ১৩১।
র‌্যাব সূত্র জানায়, গত বছর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ৭৫ হাজার ৮৫৪টি ইয়াবা উদ্ধারসহ ৫৭১ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তবে চলতি বছর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯৩৬টি ইয়াবা উদ্ধারসহ ২১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, র‌্যাব শুরু থেকেই ইয়াবার ব্যাপারে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছে। তবে সীমান্ত এলাকা অনেক দীর্ঘ হওয়ার কারণে পুরো সীমান্ত এলাকা র‌্যাবের মাধ্যমে কাভার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও গভীরভাবে ভাবা উচিত।

Thursday, April 21, 2011

হৃত্ত্বিকে মনে পড়ে

মেক্সিকান অভিনেত্রী বারবারা মোরির বলিউডে যাত্রা শুরু হয়েছিল হৃতি্বকের হাত ধরে 'কাইটস' ছবির মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি বলিউডের আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। 'ফিভার' শিরোনামের এ ছবিটি প্রযোজনা করছেন রবি আগারওয়াল আর পরিচালনা করবেন রাজীব জাভেরি। ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় সংবাদ সম্মেলনে বারবারা মোরি বলেন, আমি হৃতি্বককে মিস করছি। সে আমার বলিউডে অভিনয় জীবনের প্রথম বন্ধু। আমার প্রথম ছবিটির কথা কখনো ভুলতে পারব না। ছবিটির কাজ আগামী মাস থেকে শুরু হওয়ার কথা আছে।

ভয়ঙ্কর হন্তারক

মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। আর তাই পৃথিবীর সব প্রাণীকেই মানুষ কোনো না কোনো কৌশলে বশ করতে পারে। বিষাক্ত সাপ থেকে শুরু করে পানির কুমির-হাঙ্গরকেও মানুষ ধরে ধরে চিড়িয়াখানায় রেখেছে। ক্ষেত্রবিশেষে বিষাক্ত ও ভয়ঙ্কর সব প্রাণীকেও বানাচ্ছে পোষ্য। সব প্রাণীকে মানুষ বশে আনতে পারলেও কিছু কিছু প্রাণী প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সে প্রাণীগুলোর কিছু আছে ভয়ঙ্কর কিছু একেবারেই নিপাট নিরীহ। যেসব প্রাণীর কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় তেমনি কিছু ভয়ঙ্কর হন্তারক প্রাণীর কথা জানাচ্ছেন_ নবাব আমিন

মশা : দেখতে শুনতে অন্য প্রাণীদের মতো ভয়ঙ্কর নয়। নেহায়েতই গোবেচারা টাইপের প্রাণী মশার কামড়ে আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ব্যথা লাগে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রতি বছর বিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় এই ক্ষুদ্র জীবাণু বাহকের কামড়ে। সব মশার কামড়ে মানুষ না মরলেও অ্যানোফিলিস স্ত্রী মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহন করে। এই মশা কামড়ালে মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে জীবাণু রক্তের হিমোগ্লোবিন ধ্বংস করে ফেলে। ফলে মানুষ প্রাণ হারায়। আবার সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশার দাপটে ডেঙ্গু জ্বরে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। এর বাইরেও মশা বহু রোগের প্রধান কারণ।
এশিয়ান গোখরা
: একে বলা হয় কিং কোবরা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্কর সাপ। এশিয়ান গোখরার মতো বিষ আফ্রিকার গহিন জঙ্গলের সাপেরও নেই। এশিয়ান গোখরার ছোবলে মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রতি বছর এই গোখরার ছোবলে মারা যায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ : দেখতে শুনতে তুলতুলে এবং বেশ নান্দনিক। সাগরের বুকে যখন এঁকেবেঁকে চলে তখন এর রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কিন্তু সাগর-নর্তকী নামে জেলিফিশের খ্যাতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বক্স জেলিফিশের পরিচিতিটা নান্দনিকতার চেয়ে ভয়াবহতার কারণেই বেশি। অস্ট্রেলিয়ান এই বক্স জেলিফিশের প্রতিটি বিষাক্ত রজ্জুতে আছে ৫০ হাজার কাঁটা। আর ৬০ জন মানুষ মারা যেতে পারে এমন বিষ বহন করে একেকটি জেলিফিশ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় এই বিষাক্ত মাছ। সাধারণত ডুবুরি ও শৌখিন সমুদ্রচারী কিংবা জাহাজডুবিতে আক্রান্তরা এর শিকার হয়।
শ্বেত হাঙ্গর : এরা এমনিতেই ভয়ঙ্কর। মশা কিংবা জেলিফিশের মতো গোবেচারা টাইপ ভয়ঙ্কর নয়, এরা চরিত্রগতভাবেই বিশাল, ধ্বংসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর। মাথার খুলিতে ঘ্রাণ ক্যাপসুল থাকায় অনেক দূর থেকে মানুষের রক্তের গন্ধ পায়। এদের আছে তিন হাজার বিষাক্ত দাঁত। মানুষখেকো প্রাণীর তালিকায় এরা তাই চার নম্বরে। এ ধরনের প্রাণীদের আক্রমণের শিকার হলে কোনোমতেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। রীতিমতো হাড়গোড় গুঁড়ো করে গিলে ফেলে এরা।
আফ্রিকান সিংহ : আফ্রিকান সিংহের রাজ্যে মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এ সিংহের সামনে পড়ে কেউ বেঁচে এসেছে, এমন রেকর্ড নেই।
লোনাজলের কুমির : পানিতে বসবাসকারী আরেক ভয়ঙ্কর প্রাণী হচ্ছে কুমির। লোনা পানিতে ভয়ানক দাপটে শাসন করা এ কুমির পানির সমান্তরালে ভেসে থাকতে পারে। শিকার কোনোভাবেই বুঝতে পারে না তার উপস্থিতি। ফলে সহজেই তাকে হজম করে ফেলে কুমির।
হাতি : হাতিকে পোষ মানানো গেলেও সব হাতিকেই পোষ মানানো যায় না। আর আকৃতির বিশালতার কারণে হাতি সবসময়ই ধ্বংসলীলার কারণ হয়। আর বন্যহাতি মানুষসহ অন্য প্রাণী হত্যায় দারুণ ভয়ঙ্কর।
শ্বেত ভল্লুক : বরফ অঞ্চলের প্রাণীবৈচিত্র্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম হচ্ছে শ্বেত ভল্লুক। এ ধরনের ভল্লুকরা সবচেয়ে বেশি হিংস্র আর রক্তপিপাসু হয়ে থাকে। মেরু অঞ্চলের প্রাণীর মধ্যে এদের সবচেয়ে বেশি ভয়ানক মনে করা হয়। এরা মানুষের রক্তের গন্ধে যেন পাগল হয়ে যায়।
সোনা ব্যাঙ : হন্তারক প্রাণীর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে সোনা ব্যাঙ। দেখতে যতটা সুন্দর তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বিষাক্ত এই প্রাণীটি। তেলতেলে এ ছোট্ট প্রাণীর গায়ে থাকে বিষ, যা অন্তত ১০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

প্রেমের বিয়েই কাল হয়েছিল সুহেলের!

সিলেটে হত্যাকান্ডের তিনদিনেও ব্যবসায়ী সুহেলের খণ্ডিত মস্তকের সন্ধান পায়নি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর-শ্যালকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রীকে মারধর ও প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুহেলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে শরীর থেকে মস্তক আলাদা করে গুম করে দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালী থানার এসআই আবদুর রহিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রেমের বিয়ে মেনে না নিতে পেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ খুনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। গ্রেপ্তারকৃত সুুহেলের শ্বশুর ও অন্যান্যদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যা রহস্য উদঘাটন হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে শহরতলীর কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের ডালুয়া বিল থেকে সুহেলের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

এক পলক

ভারতীয় নাগরিক আটক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করার দায়ে মুন্সীপুর বিজিবি সদস্যরা এক ভারতীয়কে আটক করেছে। গতকাল তাকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের এরশাদ হালসানা (২৮) উপজেলার মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। গতকাল সকালে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ তাকে কোর্টে চালান করে।
 
গণধোলাই

টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি ইয়াকুব আলী মার্কেটে চুরি করে পালানোর সময় আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তার নাম বিপ্লব। জানা গেছে ,গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় টঙ্গী কালীগঞ্জ সড়কের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় আল মদিনা সু স্টোরে ঢুকে একটি মোবাইল ও ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করে পালানোর সময় সন্দেহ হলে পাশের দোকানদার শাহাদাত ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা মালামালসহ তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

জরিমানা

নারায়ণগঞ্জে দুটি মিষ্টির দোকান ও একটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদা খন্দকার ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন।

ঘেরাও

সিদ্ধিরগঞ্জে একটি সমিতির ৫ হাজার গ্রাহক আন্দোলনে নেমেছে। ওই সমিতির কাছে তাদের জমা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। সমিতির টাকা আত্মসাৎকারী সোবাহান ফকিরের পক্ষ নিয়ে একটি কুচক্রি মহল সদস্যদের নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় আদামজীর কদমতলী মধ্যপাড়ার সোবাহান ফকিরের বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ির সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে সমিতির সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

কাগজ না থাকা, দক্ষ জনবল সংকট, নোংরা পরিবেশসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিবচর পৌর এলাকার ৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালায়।

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা

আখাউড়ায় র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা চাইতে গেলে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে রেলওয়ে পূর্ব কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম বশির আহমদ। তার বাড়ি ভৈরবের ভৈরবপুর গ্রামে।

প্রতারণার অভিযোগে আটক

পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে কামরুজ্জামান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের পরীক্ষা চলছিল।

স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে মাদকদ্রব্য তৈরির অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলাহাট থানা পুলিশ ২ নম্বর গোহালবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ঝগড়ুর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের (৫৪) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোলাইমদ তৈরির সময় কাসেম ও তার স্ত্রী সরিফুনকে (৪০) ৩০ লিটার মদ ও উপকরণসহ গ্রেফতার করে।

জামায়াত নেতা গ্রেফতার


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করাসহ নির্বাচিত মহাজোট সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাতক্ষীরার শীর্ষ জামায়াত নেতা মাওলানা মনিরুল ইসলাম বেল্লালীকে (৪০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি মাওলানা বেল্লালী সদর উপজেলার ধুলিহরে জামায়াত কর্তৃক একটি ওয়াজ মাহফিলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য ও প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

ডিসি অফিস ঘেরাও

যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে বিচারসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্যোগে গতকাল শহরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসি অফিস ঘেরাও করে। বিক্ষোভকারীরা ১৫ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার


গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পশ্চিম কলাগাছিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারকে ওয়ান শুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে। র‌্যাব জানায়, রাজ্জাক তাদের কাছে স্বীকার করেছে সে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ব্যবসা করে আসছে। সে সমপ্রতি পটুয়াখালীর কেওড়াবুনিয়া গ্রামের নুরুল হকের কাছে একটি পিস্তল বিক্রি করেছে।

পুঁজিবাজার ছেড়ে এবার আইপিএল 'বাজি'তে

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহীর কিছু ব্যবসায়ী মেতে উঠেছেন আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) বাজিতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখন জমজমাট এ বাজির আসর।
শেয়ারবাজারে বড় অংকের বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শেয়ারবাজারের অবস্থা যেহেতু ভালো নয়, তাই তার এখন আগ্রহ 'বাজি'র দিকে। তার ভাষায় 'এটি বিনা পুঁজির' বিজনেস। এক সাবেক ক্রিকেটারের মাধ্যমে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন এই বিনা পুঁজির ব্যবসায়। সাহেববাজার এলাকার মিলন নামের এক তরুণ জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। গত ডিসেম্বরে শেয়ারবাজারের চড়াই-উৎরাইয়ের পর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় ঝুঁকে পড়েন বাজির দিকে। আইপিএল শুরু হওয়ার পর এখন পুরোপুরি ঝুঁকে পড়েছেন ক্রিকেট বাজিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার দিলি্ল ডেয়ারডেভিলস বনাম ডেকান চার্জাসের খেলায় বাজির দর ওঠে এক হাজার টাকার বিপরীতে দেড় হাজার টাকা। পরের খেলা ব্যাঙ্গালুরু বনাম রাজস্থানের মধ্যকার বাজির দর ওঠে এক হাজারের বিপরীতে ১ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতিটি খেলায় এ ধরনের বাজি উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ধরনের বাজির কোনো খবর তার জানা নেই। থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।