Monday, April 18, 2011

'ওপেনিং বা ওয়ানডাউনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি'

সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন_ সবকিছুকে সঙ্গী করেই বহতা নদীর মতো বয়ে চলে জীবন। সৃষ্টির শুরু থেকে প্রতিটি মানুষের জীবনেই চলছে আলো-আঁধারের অদৃশ্য খেলা। আলোর নিচে যেমন লুকিয়ে থাকে অন্ধকার, ঠিক তেমনি দুঃখের পরেই অপেক্ষা করে সীমাহীন সুখ। তাই তো সাহসীরা জীবনের উত্থান-পতনকে খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা বলেই মেনে নেন। কষ্টের সময় তারা কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হন না। প্রকৃত সাহসীরা কখনো পরাজয় বরণও করেন না। আত্মবিশ্বাসই তাদের সম্বল। এমনি একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ছয় বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন এসেছে। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। কিন্তু নাফিস তার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। তাই তো 'আইসিএল' নামক ঝড় তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে দুই বছর কেড়ে নিলেও ঠিকই আবার দলে জায়গা করে নিয়েছেন স্বীয় প্রতিভায়। কিন্তু দলে তার সেই আগের অবস্থান (ওপেনিং) এখনো ফিরে পাননি। এখন তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তিন অথবা চার নম্বরে। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই তার। দলের জন্য পারফরম্যান্স করতে পেরেই দারুণ খুশি নাফিস। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'ব্যাটিং পজিসন নিয়ে সমস্যা নেই। আমি ওপেনার হলেও গত দুই বছর ঘরোয়া লিগে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। আবার বিশ্বকাপে চার নম্বরে খেলেছি। তাছাড়া আমার কাছে এক এবং তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে আমি ওপেনিং অথবা ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।'
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে শাহরিয়ার নাফিস ছিলেন হাবিবুল বাশারের ডেপুটি। সে আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে না পারলেও এবার ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল অনেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ইচ্ছা ছিল অনেক ভালো করার। কিন্তু আমি সুযোগ পেয়েছি শেষ দুটি ম্যাচে খেলার। তার মধ্যে একটি ম্যাচে ভালো করেছি। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে দলও জয় পেয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমি ভালো করতে পারিনি। দলও মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাই খুব খারাপ লেগেছে।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে দর্শকদের অসন্তুষ্টি থাকলেও নাফিস তা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'টার্গেট অনুযায়ী তিনটি জয় তো আমরা পেয়েছি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার দুটি খুব বাজে হয়েছে এটা সত্য।'
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে বাংলাদেশ 'হোয়াইটওয়াশ' হওয়ার লজ্জা পেলেও শেষ দুটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাফিস। তাই বাতাসে গুঞ্জরিত হচ্ছে এবার নাফিসের কাঁধেই আসছে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি ওসব নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। আমার টার্গেট ভালো খেলা। আপাতত আমার সব চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে, ক্যারিয়ারের উন্নতি নিয়ে। কিভাবে ব্যাটিং করলে আরও উন্নতি করা যাবে, কিভাবে ফিল্ডিং করলে আরও ভালো ফিল্ডার হতে পারব এ নিয়েই আমি ব্যস্ত থাকতে চাই। তাছাড়া আমার দৃষ্টিতে সাকিব তো ভালোই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।'

বর্তমানে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কোচ নিয়ে। জেমি সিডন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন নতুন কে হচ্ছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোচ দেশি হোক বা বিদেশি কেউ হোক তা নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই নাফিসের। তিনি বলেন, 'কোনো কোচের সঙ্গে খেলতে আমার অসুবিধা হয়নি, আশা করছি হবেও না। তাই এ বিষয় নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কোচ যেই হোক না কেন আমার লক্ষ্য থাকে তার কাছ থেকে শতভাগ আদায় করে নেওয়া। আগেও আমি এই কাজটিই করেছি, ভবিষ্যতেও করব।'
বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ জুলাইয়ে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এর আগে প্রায় তিন মাস সময় পাবেন ক্রিকেটার। এই সময়টা কিভাবে অতিবাহিত করবেন? এ প্রশ্নে নাফিস বলেন, 'প্রথম এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। তারপর এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করব। তারপর বাকি সময়টা ব্যাটিং প্র্যাকটিস করব। তবে আমার মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই বিসিবি থেকে অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা দিতে পারে।'
বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮ রানের দুটি লজ্জা। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে 'হোয়াইটওয়াশ'_ সব মিলে একটা খারাপ সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। এমন সময় ক্রিকেটারদের কি করা উচিত? এ প্রশ্নে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র এ ক্রিকেটার বলেন, 'সবাই আমরা এমনিতেই কঠোর পরিশ্রম করি। তবে আমাদের পরিশ্রমের মাত্রা আরও অনেক বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি সুযোগ যতাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর তাহলে এমনিতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।' অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটা আগামী জিম্বাবুয়ে সফরে দারুণ কাজে আসবে বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস।

Sunday, April 17, 2011

টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের হার!

আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না টেন্ডুলকার!
‘আর কত বিস্ময় জমা রেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার’—এই প্রশ্নটাও এখন পুরোনো হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে ‘পুরোনো’ ক্রিকেটার রাঙিয়ে যাচ্ছেন খেলাটির নবতম সংস্করণও। তিন অঙ্কের দেখা কেন পাচ্ছিলেন না, এটাই ছিল বিস্ময়ের। অবশেষে পেলেন। তাঁর শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির অপেক্ষায় যখন পুরো ক্রিকেট-বিশ্ব, টেন্ডুলকার তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। দেখালেন বয়স ৩৮ ছুঁইছুঁই হতে পারে, কিন্তু এখনো শেখার ক্ষুধাটা মরে যায়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দিনে টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে বেরোলো প্রথম ‘হেলিকপ্টার শট’, দেখা গেল আরও কিছু আনঅর্থোডক্স শট।
তবে দিন শেষে তাঁর প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে দলের পরাজয়। টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়—ক্যারিয়ারজুড়েই এই অপবাদ তাঁর সঙ্গী। গত বছর দুয়েকের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে একটু চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুঞ্জনটা আবার উঠেছে বিশ্বকাপ থেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে হারতে হারতে টাই করল ভারত, হারল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরশু প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু সঙ্গী সেই হারের বেদনা। গুঞ্জনটা তাই আরেকটু জোরালো হচ্ছে—টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়।
দ্বিমত করার মতো কাউকে খুব একটা মনে হয় পাওয়া যাবে না। তবে প্রচলিত এই কথার সত্যতা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু এই দাবিকে খুব একটা সমর্থন করছে না। আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিগুলোর কথাই ধরুন। টেন্ডুলকারের ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির মাত্র ১১টিতেই হেরেছে ভারত, জিতেছে ২০টিতে। বাকি ২০টিতে ড্র। ‘টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেই দল হারে’—এই কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যায় ওয়ানডেতে। অথচ এই অপবাদটা কতটা অন্যায্য দেখুন, ৪৮ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩৩টিতেই কিন্তু জিতেছে ভারত! হার আছে ১৩টি, কিন্তু ৪৮ সেঞ্চুরির ১৩টিতে হার কি খুব বেশি কিছু! হয়তো টেন্ডুলকার বলেই ব্যাপারটা বেশি করে চোখে লাগে। হয়তো তাঁর অতিমানবীয় কীর্তিগুলো এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আলাদা কিছু মনে হয় না, বরং সামান্য ছিদ্রগুলোকেই বড় বলে মনে হয়!
এর চেয়েও বড় কথা, দল হারলে টেন্ডুলকারের কতটুকুই বা করার আছে, নিজের দায়িত্ব তো তিনি শতভাগই পালন করছেন! অবশ্য সংশয়বাদীরা এসব মানবেন কেন? পরশুর পর তাঁরা বরং পেয়ে গেছেন নতুন হাতিয়ার। টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি মানেই দলের হার, টি-টোয়েন্টিতে এই কথাটা তো শতভাগ সত্যি!
এই দিনেই অবশ্য একটা সুখবরও শুনেছেন টেন্ডুলকার। ভারতরত্নটা মনে হয় পেয়ে যাচ্ছেন ‘ভারতের রত্ন।’ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকান জানিয়েছেন, ভারতরত্ন পাওয়ার মানদণ্ডে ক্রীড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। সুপারিশ যদি মেনে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সবার আগে তো টেন্ডুলকারেরই পাওয়ার কথা!

রেল চলবে বিদ্যুতে

বদলে যাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তেল চুরি ঠেকাতে ভারতের মতো বাংলাদেশে বিদ্যুতের মাধ্যমে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামতের ওপর ভিত্তি করে রেলওয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ফলে রেল পরিচালনায় সরকারের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় এবং তেল চুরির ঘটনা বন্ধ হবে।

সড়ক ও রেলপথ বিভাগের উপসচিব শাহ মো. ইমাদাদুল হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ১১ এপ্রিল রেলের মহাপরিচালক তৌহিদুল আনোয়ারের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের তেল চুরি হচ্ছে। এ ছাড়া নানা ধরনের বিপত্তির কারণে যথাসময়ে রেল ছেড়ে যেতে ও নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেঁৗছতে পারে না। এসব বিবেচনা করে সরকার দেশব্যাপী রেলের নেটওয়ার্ক গতিশীল করার জন্য তেজগাঁও, আখাউড়া, পাহাড়তলী, নাভারণ, ঈশ্বরদী ও লালমনিরহাটে পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের প্রস্তাব করে। রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, ট্রেন চালাতে নির্ধারিত তেলের অতিরিক্ত এক লিটার জ্বালানি তেল খরচ হলে, চালকের বেতন থেকে কেটে নেওয়ার বিধান থাকার পরও তেল চুরি কমছে না। তেল চুরির অসংখ্য ঘটনা আইনশৃক্সখলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। ২৪টি জিআরপি থানায় এক বছরে ৫০০ মামলা হয়েছে। তার পরও কিছু হচ্ছে না। তেল চুরি বেড়েই চলেছে। বিদ্যুতের মাধ্যমে ট্রেন চালানো হলে তেল চুরি রোধ করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
রেলের মহাপরিচালক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিদ্যুতে রেল চালানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি। আমরা কারিগরি দিকগুলো বিবেচনা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করব। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিদ্যুতে রেল চালানো গেলে আর্থিক সাশ্রয় হবে। যথাসময়ে রেল চলাচল করবে। রেল ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব।

সুন্দরীদের পুকুর

জুয়াড়িদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের একটি হোটেলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি পুকুর স্থাপন করা হচ্ছে যেখানে শুধু নগ্ন মহিলারাই স্নান করাসহ শরীরচর্চা করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সুন্দরী হিসেবে খ্যাত মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এ পুকুরে সাঁতার কাটতে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুকুরের উদ্বোধন করা হচ্ছে আর্টিসান হোটেলে। নগ্ন মহিলার সাঁতার কাটাসহ দৈহিক কসরত দেখতে আগ্রহীদের টিকিটের মূল্য ১০ ডলার। দর্শকরা খালি গায়ে সেখানে যেতে পারবেন না কিংবা মহিলাদের মতো নগ্ন হওয়ার সুযোগও পাবেন না। উল্লেখ্য, আরেকটি পুকুরে একই ব্যবস্থা সমপ্রসারণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এ পুকুর দুটি এবং দর্শকরা পকেটের অর্থ ব্যয়ে নেশা করতে পারবেন যতটা সম্ভব এবং নগ্ন সুন্দরীদের দৈহিক কসরতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলবে মিউজিক। বিষয়টি ইতোমধ্যেই বিনোদন প্রিয় আমেরিকানদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।

কিং কোবরা

ভারতীয় কোবরাকে বলা হয় সর্প জাতির রাজা। কারণ এর মেজাজ-মর্জি, আকার, চলাফেরা, আক্রমণের ভঙ্গি এবং বিষের পরিমাণ সত্যিই তাকে দিয়েছে রাজা হওয়ার যোগ্যতা। দীর্ঘদিন তাই সে রাজা হয়েই আছে। কিন্তু এবার বুঝি আর সে আসন আর থাকল না। কারণ কেনিয়ায় এমন এক প্রজাতির কোবরা আবিষ্কৃত হয়েছে যা সাধারণ কোবরার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিষ উৎপাদন করতে পারে এবং আকারেও বড়। এ কোবরার ক্রমাগত ছোবলে ২০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। সাপটি লম্বায় ২ দশমিক ৬ মিটার। ২০০৪ সালের জুনে কেনিয়ার ওয়াটামু সমুদ্র এলাকার বায়োকিন সাপের খামার থেকে সর্পবিদ জেমস অ্যাশ এ সাপটি শনাক্ত করেন। এর গায়ের রং বাদামি, যা কিছুটা কালো গলা কোবরার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কালো গলা কোবরাগুলো বড় জোর দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, নতুন আবিষ্কৃত সাপটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোবরা সাপ। জেমস অ্যাশের নামানুসারে সাপটির নাম রাখা হয়েছে 'নাজা অ্যাশেই'। সাপটির বিষ থলিতে জমা থাকে ৬.২ মিলি লিটার বিষ। সর্প বিশেষজ্ঞ উলফগ্যাং উস্টার ও ডোনাল্ড জি ব্রাডলি বলেন, এ নতুন প্রজাতি উত্তর ও দক্ষিণ কেনিয়ার শুষ্ক নিচু ভূমিতে, উত্তর উগান্ডা, দক্ষিণ ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ সোমালিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। বায়োকিন সাপ খামারের মালিক রয়জান টেলর বলেন, কেনিয়ার উপকূলে এ ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, এ সাপের আবিষ্কার পশ্চিম ও উত্তর আফ্রিকার প্রজাতিগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আফ্রিকান কোবরা নিয়ে এতদিন কৌতূহলের শেষ ছিল না_ বিশ শতকে এসে এগুলোকে বিশেষভাবে শনাক্ত করা হলেও পাওয়া যায়নি আসল পরিচয়। আক্রমণাত্মক ও বিষাক্ত নাজা অ্যাশেই উৎপাদন করতে পারে প্রায় এক ডজন কোবরার মতো বিষ। এর অনুপাত প্রকৃতির সবচেয়ে বড় কিং কোবরার চেয়েও বেশি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ নতুন প্রজাতিটি একটি খরগোশকে নির্দ্বিধায় গিলে ফেলতে পারে। এছাড়া আড়াই ফুট লম্বা গিরগিটি ও ৫ ফুট লম্বা বিষধর সাপ খেতে পারে। খামারের মালিক টেলর বিবিসিকে বলেন, সর্প দংশনের চিকিৎসায় অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের জন্য সর্প বিষয়ের ওপর আরও অধিক গবেষণা করা দরকার। টেলর একজন প্রকৃতিবিদ, যার অবদান নতুন উদ্ভাবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত সংরক্ষক রিচার্ড লিকি বলেছেন, 'বৃহৎ প্রজাতির ওপর এ আবিষ্কার সত্যি উত্তেজনাকর।'

আফ্রিদির পরবর্তী টার্গেট

নানা বিতর্কিত ইস্যু পাড়ি দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের সঙ্গে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। এবার অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির চোখ পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। আসরটি আগামী বছর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছেন, মূল বিশ্বকাপ না পাওয়ার ব্যর্থতা টি-টোয়েন্টি জয় করে পূরণ করতে চাই।

সুন্দরীতমা

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী কে? একটু ভাবুন। উত্তর পেয়েছেন! যারা পাননি তাদের জন্য উত্তর_ জেনিফার লোপেজ। মার্কিন মুল্লুকের একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের জরিপে তিনি সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন। তার বয়স ৪১। কিন্তু এই বয়সে লোপেজ সৌন্দর্য দিয়ে অনেক তরুণীকে পেছনে ফেললেন। ম্যাগাজিনটি পৃথিবীর সুন্দরীদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় শীর্ষ নামটি লোপেজের। আর তাই ওই ম্যাগাজিনে এবারের প্রচ্ছদ কন্যাও হলেন এই গায়িকা-অভিনেত্রী।

বলিউডে মিস বলিউড

এবারের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার মিস বলিউড মুকুটটি জয় করেন অঙ্কিতা মহাপাত্র। মুকুট পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই বলিউড জগতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সুযোগটি করে দিয়েছেন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত প্রখ্যাত প্রযোজক সাজিদ নাদিওয়ালা। আগামী মাসে অঙ্কিতাকে নিয়ে ছবির কাজ শুরু করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নাদিওয়ালার মতে, এ সুন্দরীর মধ্যে অভিনয়শৈলীর সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা তাকে দ্রুত খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যাবে।

কারিনার নতুন খান

সম্প্রতি একটি ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমিক সাইফ আলী খানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না কারিনা কাপুর। কাজের ফাঁকেও দেখা করার সুযোগ হচ্ছে না বলিউডের এই আলোচিত প্রেমিকযুগলের। এমনকি শুটিং স্পটেও সাইফকে এড়িয়ে চলছেন কারিনা। সাইফ নয় বর্তমানে আমিরের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন তিনি। অনেকের মতে, কারিনার প্রেমের দ্বিতীয় ইনিংসে এই নতুন খানকে দেখা যেতে পারে।

সেঞ্চুরিয়ান শচীনের জরিমানা

৬৬ বলে ঠিক ১০০ রানই করলেন শচীন টেন্ডুলকার। ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি করার পরও তার দল পরাজিত হয়েছে। এর চেয়ে দুখের আর কি হতে পারে? তবে শচীনের পিছু ছাড়ছে না দুঃখ। পরাজয়ের দুখের সঙ্গে যোগ হলো এবার জরিমানাও। কোচি তুসকার কেরালার বিপক্ষে স্লো ওভার রেটের কারণে শচীনকে জরিমানা করা হয়েছে। গত পরশু রাতে কোচির বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৬৬ বলে ৩ ছয় এবং ১২টি চারের সাহায্যে এক অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন শচীন টেন্ডুলকার। দলকে নিয়ে যান ১৮২ রানের নিরাপদ স্থানে। কিন্তু কোচি আরও একটু বেশিই জ্বলে উঠেছিল। ম্যাককুলাম (৮১) এবং জয়াবর্ধনের (৫৬) রান দিয়ে বিজয় অর্জন করে নেয় কোচি। কোচির বিজয় রথ থামাতে গিয়ে শচীন টেন্ডুলকার বারবার বোলিং পরিবর্তন কিংবা সতীর্থদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। এই করতে গিয়ে স্লো ওভার রেটের কবলে পড়তে হলো তাকে। শচীন টেন্ডুলকারকে ২০ হাজার ইউএস ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
একদিকে সেঞ্চুরি করার পরও পরাজয়ের দুঃখ অপরদিকে জরিমানা। তবে শচীন বৃদ্ধ বয়সে এসেও দেখিয়ে যাচ্ছেন তার ব্যাটিং কারিশমা। আইপিএলের গত আসরে শচীন টেন্ডুলকার ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এবারেও কি ক্রিকেটের মহারাজ হতে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক? এখনো পর্যন্ত ২০১ রান করে তিনিই তো সবার ওপরে আছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্যাক ক্যালিসের রান ১৮৭।