Wednesday, April 13, 2011

রাতের ঘুম হারাম

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পরপরই ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কুমার সাঙ্গাকারা। নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সাঙ্গাকারা বলেছেন, বাকি সময়টা সুনামের সঙ্গে খেলে যেতে চাই। ক্রিকেট একটি আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক খেলা। অধিনায়কের চাপ নিলে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। বিশেষ করে উপমহাদেশের যে কোনো দলের নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন ব্যাপার।

হিল্লোল-শশীর পলায়ন

ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে পালিয়েছেন হিল্লোল ও শশী। ঘটনাটি বাস্তবে নয়, নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, এই প্রজন্মের শহরমুখী গ্রাম্য তরুণ সানী। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসে বিজলী বোর্ডিং নামে একটি হোস্টেলে ওঠে। সানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার সময় ট্রেন স্টেশনে বাবার সঙ্গে সানীর কথোপকথন গল্পের বিস্তার পর্ব। সানীর বাবা বিজলী বোর্ডিংয়ে তার বন্ধুদের মজার সব গল্প বলে। এসব চরিত্র একে একে প্রবেশ করে গল্পে। ফারুক চাচা বোর্ডিংয়ের সামনের বাড়ির শিলাকে ভালোবাসলেও মুখোমুখি হতে সাহস পায় না। বোর্ডিংয়ের ধূর্ত চরিত্র কবিরকে দায়িত্ব দেয় শিলাকে রাজি করানোর। শিলাকে পাওয়ার জন্য ফারুক উদ্ভট সব কাণ্ড করে বেড়ায়। আদিত্য অঞ্জন মধুর পরিচালনায় 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' শিরোনামের নাটকটি শুটিং শুরু হয়েছে। এতে আরো অভিনয় করছেন মেহজাবিন, ফারুক আহমেদ, তমাল, রনো প্রমুখ।

বান্ধবী থেকে জীবনসঙ্গী

২০০৫ সালে প্রথম দেখাতেই অভিনেত্রী ঈশা শ্রাবণীর প্রেমে পড়ে যান ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য জহির খান। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ছয়টি বছর। ক্যারিয়ারের জন্য সুযোগ হয়নি ঘরবাঁধার। কিন্তু এ ব্যাপারে ঈশা নিজেই এবার এগিয়ে আসলেন। হতে চান বান্ধবী থেকে জীবনসঙ্গিণী। ঈশাকে বউ করে ঘরে তুলতে আপত্তি নেই খান পরিবারেরও। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে দেখা যাবে এ জুটিকে।

Tuesday, April 12, 2011

জলকেলিতে মেতেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয়দের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবী শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। নতুন বছরকে বরণ এবং পুরনো বছরের বিদায়কে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহ নিজস্ব সামাজিক ঐতিহ্য নিয়ে সমন্বিতভাবে বৈসাবী উৎসব পালন করে থাকে। এ উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় নেওয়া হয়েছে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি। বান্দরবান বৈসাবী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুইটিং মারমা জানিয়েছেন, বৈসাবী উপলক্ষে সাত দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে কর্মসূচি শুরু হলেও মূল অনুষ্ঠান হবে ১২ এপ্রিল থেকে। এ উপলক্ষে রাঙামাটি ক্ষুদ্র আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক উৎসব এবং খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন খেলাধুলা শুরু হয়েছে। পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণের জন্য মূলত এ উৎসব। পুরনো বছরের সব গ্লানি, দুঃখ-বেদনা ধুয়ে মুছে নতুন বছর যাতে সুন্দর এবং স্বচ্ছন্দময় হয় তার জন্যই সব প্রয়াস। নববর্ষ উৎসবকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে। এ উৎসবটি মারমা ও চাকরা 'সাংগ্রাই', চাকমারা 'বিজু', ত্রিপুরারা 'বৈসু', ম্রোরা 'চাংক্রান', খুমীরা 'সাংক্রাইং', খেয়াংরা 'সাংরান' ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী 'বিষু' নামে পালন করেন। এ উৎসব শুধু উপজাতিরাই নয়, বাঙালিও নানাভাবে পালন করে থাকে। বৈসাবী উৎসবটি দেখার জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকের আগমন ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রামে। বিভিন্ন উপজাতি তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীরা পাহাড়ের স্ব স্ব পল্লীগাঁয়ের জলে ও ঝরনার পানিতে ফুল ভাসায়। পরদিন ঘরে ঘরে উৎসবের মূলবিজু এবং তৃতীয় দিন গোজ্যেপোজ্যে দিন উদযাপিত হয়। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা। তরুণ-তরুণীরা একে অপরের প্রতি পানি ছুড়ে মেরে পুরনো গ্লানি ধুয়ে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এদিকে মারমাপ্রধান বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দিনব্যাপী জলকেলি বা ওয়াটার ফেস্টিভাল, উপজাতিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংগ্রাই র‌্যালি ও প্রার্থনাসভা। মারমাদের প্রাচীন ও বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন খেলা এ উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এ উপলক্ষে বান্দরবানের সাত উপজেলায় উপজাতি পল্লীতে সাজ সাজ রব। সবাই নতুন বছরকে বরণ এবং পুরনো বছরের বিদায়কে ঘিরে মারমারা এ উৎসব পালন করেন। সাংগ্রাই উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১৩ এপ্রি্রল সাংগ্রাই র‌্যালি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ এপ্রিল উজানীপাড়া বুদ্ধক্যাংয়ে বুদ্ধপূজা, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল জলকেলি বা ওয়াটার ফেস্টিভাল, উপজাতিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ১৭ এপ্রিল প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ হবে সাংগ্রাই উৎসব। এ ছাড়াও সাংগ্রাই উপলক্ষে উপজাতিরা পিঠা তৈরি উৎসব পালন করেন। সাংগ্রাই উপলক্ষে স্থানীয় বাজারগুলোতে উপজাতি তরুণ-তরুণীরা নতুন সাজ-পোশাক কেনায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

এইদিনে

১২০৪ : চতুর্থ ক্রসেড বাহিনীর কনস্টানটিনোপল (ইস্তাম্বুল) দখল।
১৬৫৪ : স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি।
১৮২২ : রাজা রামমোহন রায়ের সম্পাদনায় কলকাতার প্রথম ফরাসি সাপ্তাহিক পত্রিকা মিরাতুল আখবার প্রকাশিত।
১৮৫০ : ফরাসি সৈন্যদের পোপ নবম পিউসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রোম দখল।
১৮৬১ : আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ শুরু।
১৯৪৫ : ৬৩ বছর বয়সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মৃত্যু।
১৯৬১ : বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের মহাশূন্যে পাড়ি।
১৯৮০ : লাইবেরিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট ড. উইলিয়াম নিহত।
১৯৮৮ : প্রেসিডেন্ট এরশাদ কর্তৃক বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার।
২০০০ : মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি ফিলিপাইনি ফেরি ডুবে ১৩০ যাত্রীর প্রাণহানি।

বৈশাখী সা জু গুজু

সেই প্রাচীন যুগে বাঙালি রমণীরা যেমন বৈশাখের প্রথম দিন নিজেকে সাজিয়ে নিতে জড়িয়ে নিয়েছে তাঁতে বোনা লাল পাড়ের শাড়ি আর কাজলে রাঙিয়ে নিয়েছে চোখ, তেমনি আজও তাদের মনে দুলে ওঠে নিজেকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে নিতে।
কাল বাদে পরশু বাঙালি জাতি মেতে উঠবে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে। আপনি নিশ্চয়ই প্রস্তুত। বৈশাখের পোশাক তো কেনা হয়েই গেছে। এখন বাকি বৈশাখের প্রথম দিনে কিভাবে সেজে বের হবেন উৎসবে যোগ দিতে। কিন্তু যা গরম, সেজেগুজে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই সাজটা যাবে নষ্ট হয়ে। প্রচণ্ড গরমে সবকিছু কেমন অস্থির লাগে। তাই এমনভাবে সাজুন, যেন প্রচণ্ড গরমেও আপনি থাকেন সতেজ এবং ফুরফুরে, জানালেন শিবানী'জ অ্যারোমার শিবানী দে।
গরমে যতটা সম্ভব হালকা শাড়ি পরাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় কোটা জাতীয় শাড়ি পরলে। আর শাড়ির রং; তা হতে পারে বৈশাখের চিরায়ত রং লাল কিংবা এক্সপেরিন্টাল রং হলুদ, কমলা, নীল, সবুজ, বেগুনি। শুধু পোশাক নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, সাজে পরিপূর্ণতা আনতে চাই পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা।
উৎসবটি যেহেতু পহেলা বৈশাখের, তাই গহনাতেও কিন্তু থাকতে হবে দেশীয় আমেজ। মাটি, সিরামিক, অক্সিডাইজ, রুপা, মেটাল, কাঠের পুঁতির বা সুতার গহনা পরলে বেশ ভালো লাগবে।
পহেলা বৈশাখে ওয়াটারপ্রুফ কিংবা অয়েলফ্রি যে কোনো হালকা ফাউন্ডেশনকে আপনি মুখে বেইজ হিসেবে ব্যবহার করে নিতে পারেন। সঙ্গে সান প্রোটেকশন পাউডার লাগিয়ে নিলে ভালো হবে। অন্যথায় গরমে ঘেমে মেকআপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সান প্রোটেকশন পাউডার ব্যবহারে সানবার্ন এবং ঘাম কম হবে। চোখে লাগাতে পারেন কালো, সবুজ কিংবা নীল ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার এছাড়া হালকা করে কাজল আর চোখের পাপড়িতে লাগাতে পারেন ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা।
ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক বা শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মানিয়ে গাঢ় লিপস্টিকও দেওয়া যেতে পারে। তা যেন খুব বেশি ম্যাট বা গ্লসি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখেন।
কপালে অবশ্যই লাল টিপ দিতে ভুলে যাবেন না। চুলে খোঁপা, কিংবা বেণী যাই করুন না কেন চুলে জড়িয়ে নিন বিভিন্ন রংয়ের অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা; দেখবেন দারুণ দেখাচ্ছে আপনাকে। যাদের চুল ছোট তারা চুল এমনভাবে সেট করে নিন যেন তা আপনার অস্বস্তি বা বিরক্তির কারণ না হয়।
আর পায়ে আলতা লাগাতে পারেন। এছাড়া মল বা নূপুর পরে আপনার সাজে নিয়ে আসুন পরিপূর্ণতা। জুতা হিসেবে ফ্ল্যাট বা ছোট হিলের জুতা পরলে খুব ভালো লাগবে। সঙ্গে ছোট একটা ব্যাগে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিতে ভুলবেন না। বৈশাখের প্রখর রোদ থেকে চোখ দুটি বাঁচাতে সানগ্লাসটি অবশ্যই সঙ্গে রাখুন।
সর্বোপরি মনে রাখবেন আপনার মেকআপটা যেন অতিরঞ্জিত না হয়। বরং আপনাকে দেখে যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্তি।

শাকিরার 'ওয়াকা ওয়াকা' বাদ

ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে পপতারকা শাকিরার সম্পর্কের প্রকাশ্য ঘোষণাকে বার্সেলোনায় স্বাগত জানানো হলেও মাদ্রিদে নিষিদ্ধ হয়েছেন শাকিরা। মাদ্রিদের বার্নাবু স্টেডিয়ামে রিয়েল হোম গেমস-এর প্রি-ম্যাচগুলোর সময় বাজানো গানের তালিকা থেকে সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে শাকিরার 'ওয়াকা ওয়াকা' গানটি। শাকিরা-পিকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরই তার 'ওয়াকা ওয়াকা' গানটি তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে এ গানটি রিয়েল হোমস গেমস-এর প্রি-ম্যাচগুলোর সময় নিয়মিত বাজানো হতো।
অবশ্য এ ব্যাপারে শাকিরা মোটেও বিচলিত নন। তিনি পিকের প্রেমে এতই হাবুডুবু খাচ্ছেন যে, মাদ্রিদে তার গান নিষিদ্ধ হলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। সম্প্রতি পিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিলেন শাকিরা।

কনসার্টই জেমসের বৈশাখ

এবারের পহেলা বৈশাখে জেমস ব্যস্ত থাকবেন শুধু কনসার্ট নিয়ে। তাই কনসার্টকে তিনি নিজের বৈশাখ বলে মানছেন। পহেলা বৈশাখে জেমস পাঁচটি কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন। এর মধ্যে একটি কনসার্ট হবে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে। সেখানে নগরবাউল ব্যান্ডকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি যাত্রা করবেন সকাল ৭টায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে জেমস যাবেন রমনার বটমূলে। এখানে তার কনসার্ট হবে দুপুর ১২টায়। তারপর তিনি যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল মাঠে। এরপরের কনসার্টটি করতে তাকে যেতে হবে নন্দন পার্কে, সেখান থেকে আসবেন উত্তরার অন্বেষা ক্লাব মাঠে। এক দিনেই ৫টি কনসার্টে খুব কমসংখ্যক ব্যান্ডতারকাই সংগীত পরিবেশন করেছেন। জেমস বলেন, 'পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব। এমন উৎসবে কনসার্টের সংখ্যা বেশি করতে কষ্ট লাগে না'।

সিলেটে লুণ্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধারে গিয়ে পুলিশ লাঞ্ছিত

সিলেটে ডাকাতদের লুণ্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক কনস্টেবল লাঞ্ছিত হয়েছেন। সিলেট নগরীর বন্দরবাজার রহমান ম্যানসনের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাতে লাঞ্ছিত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ছাতক থানার এসআই হারুন-উর-রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ ও সিলেট কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ছাতক থানার এসআই হারম্নন উর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গত ১১ মার্চ ছাতক শহরের লাকি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহনেওয়াজের বাসায় ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় রায়হান ও দুলাল নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, ডাকাতিকালে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কারগুলো তারা সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের রহমান ম্যানসনের শাপলা জুয়েলার্সে বিক্রি করেছে। গতকাল দুপুরে রায়হান ও দুলালকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনা তদন্তে শাপলা জুয়েলার্সে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা। ডাকাতদের লুণ্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়ের ব্যাপারে জুয়েলার্সের কর্মচারী তারেককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দোকান থেকে বের হয়ে মার্কেটের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জড়ো করে। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ধাক্কাধাক্কি করে মার্কেট থেকে বের করে দেন। পরে তারা বন্দরবাজার হকার পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এসে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলেন।
তিনি পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বন্দরবাজার মায়া হোটেলে বৈঠক করেন। মেয়র মার্কেটের ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ ক্রয়ের আগে যাচাই-বাছাই এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে রহমান ম্যানসন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ফলে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের লুণ্ঠিত স্বর্ণ তাদের মার্কেটের কোনো দোকানে বিক্রি হলে তা উদ্ধারে ব্যবসায়ী সমিতি পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, শাপলা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মিজান অসুস্থ হওয়ায় তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে পুলিশের কাছে পাঠানো হবে।

বিস্ময়কর রেড উড ফরেস্ট

এ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রহস্যময় স্থান, গুহা, বাড়ি, দালালকোঠা ও বন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ২০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত বিস্ময়কর রেড উড ফরেস্ট ট্রি মানুষের কাছে শত শত বছর ধরে আজও রহস্যময়তার বার্তা বহন করে চলছে। বনটি দেখতে অতি চমৎকার ও মনোমুঙ্কর। ভ্রমণকারীদের অতি সহজেই বনটি তার সৌন্দর্যময়তা দিয়ে আকৃষ্ট করতে পারে। বনটি শুধু সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয় এর মাঝে রয়েছে প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার ফুটউচ্চতার গাছ-গাছালি। বিস্ময়কর রেড উড ফরেস্টে রয়েছে হাজার বছরের পুরনো বৃক্ষ। যে বৃক্ষগুলো দেখতে একটু লালচে ধরনের, শুধু লাল তা নয়, এ বনের মধ্যে রয়েছে সবুজ, বাদামি, আকাশী রংয়ের বৃক্ষ। গহীন লাল কাঠের বনে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে শত শত পথ, তবে আশ্চর্য ব্যাপার হলো প্রতিটি পথই লালগালিচা দিয়ে ঢাকা। আসলে পথগুলো লালগালিচা দিয়ে ঢাকা মনে হলেও মূলত তা লালগালিচা নয়। এ বনের মাটিকেই লালগালিচা মনে হয়। বিস্ময়কর রেড উড ফরেস্টের আয়তন প্রায় ১০০ বর্গ কি.মি.। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট ছোট নদনদী। নদীগুলোর উৎপত্তি সাগর, মহাসাগর থেকে। লাল বনের পাশেই রয়েছে বিখ্যাত রেড উড ন্যাশনাল পার্ক। দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করার আগে ন্যাশনাল পার্ক থেকে লাল কাঠের বন সম্পর্কে তথ্য নেয়। লাল কাঠের বনের মাঝে রয়েছে অসংখ্য ছোট ছাউনির ঘর, যে ঘরে কাঠুরীরা বসবাস করে। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো_ বনের ঠিক মাঝখানে রয়েছে হামবোল্ট পয়েন্ট, যে পয়েন্টকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে বয়ে বেড়াচ্ছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কথিত আছে হামবোল্ট পয়েন্ট থেকে ৫০ গজ দূরে গেলে কোনো মানুষ আর বন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন লোক নিজেদের যোগ্য প্রমাণার্থে হামবোল্ট পয়েন্ট গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেকে মনে করেন, যারা ফিরে আসেনি তারা ছোট ছোট রেড উড ট্রি হয়ে গেছে। তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা মনে করেন হামবোল্ট পয়েন্ট থেকে ৫০ গজ পরেই রয়েছে চোরাগলি, যে গলিতে একবার পা পড়লে ফিরে আসা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময়ে লাল কাঠের বনটি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেকে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডোসহ নানা বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে আসছে। রেড উড ফরেস্ট কাঠের বনের হামবোল্ট পয়েন্ট ছাড়া বনটির বাকি স্থানগুলো বেশ নিরাপদ।