Sunday, April 10, 2011

একা থাকতে চান বিপাশা

শেষ পর্যন্ত বিপাশা বসু স্বীকার করলেন, জন আব্রাহামের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর নেই।
বলিউডের এই তারকাকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষা চলছিল। কিন্তু বিপাশা এই বিষয়টিতে এতদিন মুখ খোলেননি। স্বীকার করছিলেন না আব্রাহামের সঙ্গে তার সম্পর্কচ্ছেদের কথা। তবে তার মোবাইল ফোনটি প্রকাশ করে দিল বিপাশার মনের কথা। 'হ্যাঁ, একা থাকাই সবচেয়ে ভালো...' এই বার্তাটি ছড়িয়েছে তার মুঠোফোন থেকে। একবার নয়, ছয়বার তার মোবাইল নম্বর থেকে এসেছে এই বার্তাটি।
এই কথাটি অন্য যে কেউ তার মোবাইল থেকে পাঠাতে পারেন। মোবাইল ফোন সার্ভিসের মাধ্যমে আপত্তিকর এরকম অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এখন এই কথাগুলো বলছেন বিপাশা বসু, যখন বুঝতে পেরেছেন এই বার্তাটি আদৌ তার পাঠানো ঠিক হয়নি।

বর্ষবরণে চারুকলার প্রস্তুতি

মাত্র তিন দিন বাদেই আসছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখকে ঘিরে নগরীর নানা উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দেশে বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলিত প্রয়াসে বর্ষবরণের প্রস্তুতি চলতে থাকে। চারুকলার বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় এ সময় জমজমাট হয়ে উঠে চারুকলা প্রাঙ্গণ। বর্ষবরণ প্রস্তুতির জন্য ইতোমধ্যেই চারুকলার শিক্ষার্থীরা জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন। সময় স্বল্পতায় বেশিরভাগ ক্লাসই বন্ধ রেখে বৈশাখ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ১৪১৮-এর বর্ষবরণ প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গতকাল চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখেই শিক্ষার্থীরা তৈরি করছেন রঙিন মাটির সরা ও বিভিন্ন সামগ্রী। উৎসাহ নিয়ে বিক্রি করছে সে সামগ্রী। দূর-দূরান্ত থেকে আগত আগ্রহী দর্শকদের অনেকেই বৈশাখে প্রিয়জনকে উপহার দিতে কিনে নিয়েছেন বাহারি সামগ্রী। অল্প দূর এগোতেই চারুকলার মাঠে শিক্ষার্থীদের বিশালআকৃতির ময়ূর, কাকাতুয়া, বাঘ তৈরিতে ব্যস্ত দেখা যায়। মাঠের পাশের রুমগুলোতে একদল শিক্ষার্থী তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তুলছিলেন রঙিন মুখোশ। বারান্দায় বসে মাটি ও কাগজ দিয়ে রাজা রানীর আদলে ভাস্কর্য তৈরি করছিলেন অপর শিক্ষার্থীরা।
মনের খোরাক মেটাতে প্রতি বৈশাখেই চারুশিল্পী ও চারু শিক্ষার্থীরা মাটির সরা, মুখোশ, জলচিত্র ও মাটির টেপা পুতুলে ফুটিয়ে তোলেন নকশা। শিক্ষার্থীরা জানান, সুন্দর এই সামগ্রী তৈরি করা হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে গঠিত হয় ফান্ড। ফান্ডের টাকা দিয়ে বৈশাখের ১৫ দিন পর চারুকলা ইনস্টিটিউটে উদযাপিত হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বেচে যাওয়া অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে পরবর্তী বছরের বৈশাখ উদযাপনের জন্য তৈরি হয় ফান্ড। এ বছর বর্ষবরণ প্রস্তুতিতে চারুকলা অনুষদের ১০ম ব্যাচ থেকে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করলেও বৈশাখের দুই দিন আগে তাদের রাত জেগে বৈশাখের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়।
চারুকলার ইনস্টিটিউটের ১৪১৮ সালে বর্ষবরণ প্রস্তুতির অন্যতম আকর্ষণ তার মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় এ বছরের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে তৈরি করা 'প্রতীকী কুমির'। জানা যায়, কুমিরটির উপর প্রতীকী অর্থে বসে থাকবে বাঁশের তৈরি কিছু মানুষ। এই মানুষদের হাতে থাকবে কুমির বধের অস্ত্র। চারুকলার অনুষদের প্রিন্টিং ও ড্রয়িং বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেইন বলেন, বাঙালি লোককাহিনীতে কুমির বধের কাহিনী রয়েছে। কুমিরটি আমাদের গ্রামীণ লোকশিল্পেরই একটি অংশ। জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কামনা করেন। এ কথা মাথায় রেখেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে প্রতীকী কুমিরটির ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন লোকজ পাখি, শোলা ও কাঠের তৈরি রাজা-রানী, বাঘ ও লক্ষ্মীপ্যাচার মুখোশ। রয়েছে কাকাতুয়া, ময়ূর খরগোসের তৈরি বড় বড় শিল্পকর্ম। বৈশাখের দিন সকাল ৯টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে যাত্রা করে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মৎস্য ভবন, শিশু পার্ক ও জাদুঘর হয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে।
গতকাল চারুকলার অনুষদের প্রধান ফটকের সামনেই বৈশাখ প্রস্তুতির ভিন্ন আমেজ চোখে পড়ে। কাচের চুড়ি বিক্রেতা বেদে নারীরা রংবেরংয়ের চুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তরুণীরা বৈশাখী শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন হাতভর্তি চুড়ি। বৈশাখ উদযাপনে প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বৈশাখের দিনে ডিআরইউ চত্বরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য থাকবে সকালের নাস্তা ও দুপুরের বিশেষ খাবার।

ডেকানকে উড়িয়ে দিল রাজস্থান


আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেকান চার্জার্সকে উড়িয়ে দিল রাজস্থান রয়েলস। গতকাল তারা ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে। হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে রাজস্থান প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ডেকানকে। ব্যাট করতে নেমে ডেকান শুরুটা ভালো করলেও ৭৭ রানে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে। আর এ চাপ সামাল দিতে তেজা ও ক্রিস্টিয়ান প্রাণপণ লড়েও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা। তেজা ২৮, ক্রিস্টিয়ান ২৬ ও জাগি ২৫ রান করেন। ত্রিবেদি ১৫ রানে এবং অমিত ৩৫ রানে পান ৩টি করে উইকেট। পরে ১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থান বোথার হার না-মানা হাফ সেঞ্চুরিতে বড় জয় পায়। তারা ১৮.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করে। বোথা ৬৭ এবং টেলর ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। স্টেইন ১৮ রানে পান ২ উইকেট। বিজয়ী দলের ত্রিবেদি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এদিকে দিনের অপর ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্সকে ১৬২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে নতুন দল কোচি টুসকার্স।

খালি হাতে ফিরেননি মাশরাফি

দিনটি ছিল মাশরাফির জন্য খুবই অস্বস্তিকর। যেদিন বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া তার জন্য অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বলছিলাম গত বছরের ডিসেম্বরের কথা। আবাহনীর পক্ষে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এরপরের ইতিহাস ভক্তদের সামনেই আছে। সেই মাশরাফি ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে। এবং বেশ ভালোভাবেই। প্রথম দুই ওভারে তিন রান দিয়ে উইকেট নিলেন একটি। ব্র্যাড হাডিন বুঝতেও পারেননি এভাবে বোল্ড হয়ে যাবেন। কিন্তু হলেন তাই। মাশরাফি প্রথম স্পেলে চার ওভার বল করে রান দিয়েছেন ২৬। কিন্তু প্রথম দুই ওভারের মাশরাফিকে সেই পুরনোরূপেই দেখেছেন ভক্তরা। মাশরাফি মোট ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৫। উইকেট নিয়েছেন দুটি। হাডিন ও ক্লার্ককে ফিরিয়েছেন তিনি। মাশরাফিকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইন যতটা শক্তিশালী হয়েছিল তার বেশির ভাগই কেড়ে নিয়েছে শেষ ওভারটি। দলীয় ইনিংসের শেষ ওভারটি করতে এসে মাশরাফি রান দিয়েছেন ১৮। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে মাশরাফি তিন ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ১৪। কিন্তু শেষের দুই ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ২৫! শেষের স্পেলটি বাদ দিলে মাশরাফিকে নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। তিনি যে আলাদা সংযোজন সে কথাই যেন আবারও প্রকাশ পেল গতকাল। তবে সব মিলিয়ে গতকাল বাংলাদেশের বোলিং ভালোই কাজে লেগেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সাতটি উইকেটের পতন ঘটেছে অসি ইনিংসে। সেখান থেকে স্পিনাররাই নিয়েছেন চারটি। আবদুর রাজ্জাক ৫৪ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। সোহরাওয়ার্দী ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ২৭০ রানে আটকে দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। মিরপুরের উইকেট বলে এখানে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একটি সময় মাশরাফিদের সামনে ক্যাঙ্গারুদের দুর্বলই মনে হচ্ছিল।

চাপে নয় স্বেচ্ছায় ছেড়েছি

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরই অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং। পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মিডিয়াতে নানা রকম গুঞ্জন উঠে। অনেকের মতে, দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের চাপে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পন্টিং। বিষয়টিকে অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু কারও চাপে নয়, স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছেড়েছি। এটাই ছিল উত্তম সময়

গম্ভীরের ফিল্ডিং ভাবনা

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে মাত্র দুই রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। পরাজয়ের পরও দলের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোতে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে নতুন করে পরিকল্পনা আঁটছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছেন, ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমরা যথেষ্ট ব্যালেন্সড। কিন্তু মনোযোগ বাড়াতে হবে ফিল্ডিংয়ের দিকে। অন্যথায় চড়া মূল্য দিতে হবে।

My Computer চালু করুন অনেক দ্রুত

আমরা অনেকেই মাই কম্পিউটার খুলতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ি কেননা মাঝে মাঝে দেখা যায় মাই কম্পিউটার চালু হতে অনেক সময় নেয়। যাদের কম্পিউটারে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তারা নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এতে করে আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রথমত, Start Menu -> Run regedit লিখে এন্টার দিন। রেজিষ্ট্রি এডিটর চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে যান HKEY_LOCAL_MACHINE –> Software –> Microsoft –> Windows –> Current Version –> Explorer –> RemoteComputer –> এখানে আসার পর namespace এর {D6277990-4C6A-11CF-8D87-00AA0060F5BF} key টি মুছে দিন। দ্বিতীয়ত, My Computer –> Tools –> Folder Options –> View তে ক্লিক করুন। এরপর Automatically search for network files and folders এর সামনে চেক বক্সে একটি ক্লিক করা থাকে এটি তুলে দিন। উক্ত কাজ দুটি করার পর পিসি রিস্টার্ট দিন। দেখুন দ্রুত ওপেন হচ্ছে মাই কম্পিউটার

ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেভাবে সাইবারক্রাইম ঘটে

ভাইরাস :
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের বড় আতঙ্কের নাম ভাইরাস এটি মূলত একটি প্রোগ্রাম, যা অদৃশ্য থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমপিউটার থেকে কমপিউটারে ডাটা মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। ভাইরাস মূলত ইন্টারনেট, পনড্রাইভ, ফ্লপি বা এক্সটারনাল ডিভাইস থেকে আক্রন্ত হয়। ভাইরাস রুখতে হলে অবশ্যই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
ওয়ার্ম :
ওয়ার্ম এবং ভাইরাস প্রায় একই ধরনের, তবে ভাইরাস থেকেও এটি ভয়াবহ। লোকাল বা ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক থেকে এটি দ্রুতগতিতে পিসিতে আক্রমণ করে ফাইল পাচার বা গায়েব করে দেয়। ওয়ার্ম ঠেকানোর একমাত্র উপায় হলো ফায়ার ওয়াল ব্যবহার।
স্পাইওয়্যার :
কমপিউটার-ক্রাইম আরেক আতঙ্ক হচ্ছে স্পাইওয়্যার। এর প্রধান ৎস ভুয়া ওয়েবসাইট। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যেসব ওয়েবসাইট ব্রাউজ করি, ঠিক একই ধরনের ওয়েবের টুল ব্রাউজারে এসে কড়1 নাড়বে। আর ভুল করে একবার ব্রাউজ করলেই প্রয়োজনীয় সব ডাটা, যেমন- ব্যাংকের গোপন কোড, বিভিন্ন পাসওয়ার্ড, মেইল অ্যাড্রেস ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে সর্বনাশ ঘটাবে।
ফিশিং :
ফিশিং হচ্ছে হ্যাকারদের নতুন কুটচাল। ইউজারদের বোকা বানিয়ে তথ্য সংগ্রহ কিংবা অর্থ সংগ্রহই এদের মূল উদ্দেশ্য। সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটি হুবহু নকল করে মেইলে পাঠিয়ে দিয়ে ব্রাউজ করার অনুরোধ করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশী ইন্টারনেট ইউজাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি প্রোগ্রামের হুবহু কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ওয়েবপেজগুলো পুরোপুরি ভুয়া। সাধারণত পুরনো ব্যবহারকারীরাই ফিশিং রুখতে পারে।
পর্নোসাইট :
সাইবারক্রাইম বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সাইবারক্রাইম সংঘটিত হয় পর্নোসাইট বা পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে। আর পর্নোসাইট সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১১ সালের প্রকাশিত ২০১০ সালের নর্টন সাইবারক্রাইম রিপোর্টে দেখা যায় দুই-তৃতীয়াংশ অ্যাডাল্ট ওয়েব ব্যবহারকারীরা নানাভাবে সাইবারক্রাইমের সাথে জড়িত।

উপরোল্লিখিত আতঙ্ক ছাড়াও রুট কীট, ট্রোজান, ফার্মিং ফেইক আইডি, অনলাইনে মাদক/জুয়া, নেশাপণ্য বিক্রি, ফ্রড -মেইল, প্রতারণাপূর্ণ অনলাইনে ভুয়া ডিগ্রি দেয়া ইত্যাদি ক্রাইমের আওতার পড়ে। উল্লিখিত ক্রাইমগুলো বিশ্বব্যাপী হয়ে থাকে

মল্লিকার চ্যালেঞ্জ

গত বছর মুনি্ন বাদনাম হুয়ি ও শিলা কি জাওয়ানি গানটির মাধ্যমে আইটেম গার্ল হিসেবে খ্যাতির শীর্ষে পেঁৗছে যান মালাইকা ও ক্যাটরিনা। এ ধারাবাহিকতায় যোগ দিতে যাচ্ছেন বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী অভিনেত্রী মলি্লকা শেরাওয়াত। সম্প্রতি একটি ছবির গানে আইটেম গার্ল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মলি্লকা বলেছেন, কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। গানটি মুনি্ন ও শিলাকেও ছাড়িয়ে যাবে। ভেঙে ফেলবে তাদের সব রেকর্ড।

সাইবারক্রাইমের বিভাজন

সাইবারক্রাইমের অনেক বিভাজন রয়েছে। মূলত চার ভাগে এই ক্রাইমকে বিভাজন করা হয়ে থাকে।
০১. ব্যক্তির বিরুদ্ধে :
এসব ক্রাইমের মধ্যে সাধারণত স্প্যামিং, ভাইরাস স্প্রেডিং, শিশু পর্নোগ্রাফি, যৌন নিপীড়ন, আপত্তিকর ছবি/ইমেজ পোস্ট, ব্ল্যাক মেইল ইত্যাদি।
০২. প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাইবারক্রাইম:
এসব সাইবারক্রাইম সাধারণত কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, সম্মিলিত সম্পদের বিরুদ্ধে হতে পারে, যেমন- ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
০৩. সরকার বা দেশের বিরুদ্ধে:
কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণত ধরনের সাইবারক্রাইম হয়ে থাকে। যেমন- উইকিলিকসে ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। যুক্তরাষ্ট্রের মতে এটা সাইবারক্রাইম।
০৪. সমাজের বিরুদ্ধে সাইবারক্রাইম :
সমাজের ওপর নেতিবাচক বিধিপত্র/আর্টিকেল পাচার বা চুরি, গোপন ক্যামেরায় তোলা ছবি, অনলাইনে জুয়া নেশাপণ্য বিক্রি, ব্যাংকিং সফটওয়্যার হ্যাকিং বা ক্র্যাকিং ইত্যাদি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে, সাইবার - ক্রিমিনালরা কেনো এত দ্রুত বিস্তার লাভ করছে ভার্চুয়াল জগতে? কারণ, বর্তমানে সাইবারবিশ্বে প্রবেশ করা খুবই সহজ। ধরা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যদিকে প্রচলিত অপরাধের ঝুঁকি বেশি। আবার যারা হ্যাকার কিংবা ক্র্যাকার, তারা বিশেষ ধরনের জটিল কমপিউটিং প্রোগ্রাম কিংবা কোড আয়ত্ত করে থাকে, যাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সাধারণ প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীরা শুধু প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামিং চালয়ে থাকে, যা খুবই সীমিত। আবার সাধারণ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা জ্ঞানের দুর্বলতা বা প্রাথমিক মৌলিক তথ্য দুর্বল হওয়ার ফলেও সাইবারক্রাইম বিস্তার লাভ করছে। যেমন- ব্যক্তিগত মেইলের পাসওয়ার্ডটি নামের অক্ষর দিয়ে তৈরি করলে, মেইলটি যেকেউ ঘাঁটাঘাঁটি করে খুলতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায়, সংরক্ষিত ডাটা হারিয়ে গেলে পূর্বের ডাটা রিকভার না করেই ব্যবহারকারীরা বিকল্প পথ খুঁজে নেয়। ফলে আগের ডাটা থেকে অপরাধীদের অপরাধ করতে উৎসাহ যোগায়। মুক্ত সফটওয়্যার যেমন তথ্যপ্রযুক্তিকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি কিছু অপরাধী এটিকে সাইবারক্রাইমে ব্যবহার করছে