Tuesday, April 5, 2011

টাকার পাহাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা

টাকার সাগরে ভাসছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমনিতেই তাদের অর্থের শেষ ছিল না। তারপর আবার বিশ্বকাপ জয়ের পর ধোনিদের জন্য কত যে পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই। শনিবার শিরোপা নিশ্চিত করার পরই মাঠে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য ১ কোটি রুপির নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরাও থেমে থাকছেন না তারাও ধোনিদের হাতে নগদ অর্থের পুরস্কার তুলে দিতে চাচ্ছেন।
বিখ্যাত টাটা কোম্পানি কিছুদিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আয়োজন করবে। তাও আবার দেশ ছাড়িয়ে সুদূর লস এঞ্জেলসে। আগামী মাসেই ক্রিকেটারদের পরিবার-পরিজন নিয়ে লস এঞ্জেলসে উড়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে টাটা গ্রুপ। ধোনিদের কত টাকার অর্থ তুলে দেওয়া হবে তা জানা না গেলেও ভারতীয় এক বার্তা সংস্থা ধারণা করছে টাটা গ্রুপ প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য ৫ কোটি রুপি করে তুলে দিতে পারে। অন্য ব্যবসায়ীরাও অর্থ, গাড়ি, এমনকি তৈরি করা বাড়িও তুলে দেবেন বিশ্বজয়ীদের হাতে। এদিকে আবার বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো বসে নেই। তারাও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মডেল হওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের অফার দিতে শুরু করেছে। মডেলে পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে বলিউড তারকারা এগিয়ে ছিলেন। বিশ্ব জয়ের পর ধোনিরা তাদের অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। কেননা দলে নিয়মিত না খেলার পরও ইউসুফ পাঠান ও শ্রীশান্তকে এক কোম্পানিই মডেলের জন্য ৫ কোটি রুপির অফার দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শচীন, ধোনি, শেবাগ মানের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কতো হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছে!

Sunday, April 3, 2011

নেওয়ার কথা ২৭০০ নিচ্ছে ৮০০০ টাকা!

রাজশাহীর চারটি কলেজ এবার অনার্সে (স্নাতক) ভর্তির অনুমোদন পেয়েছে। এ সব কলেজে ভর্তি করা হয়েছে ৬০০ শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ৩৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, অতিরিক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এই অর্থ আদায় করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজ, মোহনপুরের মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ ও নগরীর কোর্ট ডিগ্রি কলেজে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেয়। অনুমোদন দেওয়ার সময় ভর্তি ফি, সেশন ফি, স্কাউটস ফি, রেজিস্ট্রেশন ফিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা যাবে বলে নিয়ম বেধে দেয়। অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ম উপেক্ষা করে চারটি কলেজে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এ বছর অনার্সে ৪টি বিষয়ে ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ টাকা করে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আদায় করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ৬ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে কলেজের শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ করতে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, অনার্স বিষয়ের জন্য আলাদা কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কলেজের শিক্ষকরা তাদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অনার্সের ক্লাস নেবেন। তাদের বাড়তি পরিশ্রমের জন্য অতিরিক্ত এই টাকা আদায় করা হয়েছে। দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজে অনার্সের ৩টি বিষয়ে ১৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নেওয়ার কথা ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আদায় করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেছেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। অন্য দুটি কলেজেও অতিরিক্ত হারে ফি নেওয়া হয়েছে।

আশরাফুলের এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান

বাংলাদেশের বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের দেওয়ান মো. শওকত ওসমানের ছেলে ডি এম আশরাফুল আলম তার ভগ্নীপতি দেওয়ান মো. ফরিদ উদ্দিনের সহায়তায় দীর্ঘদিন গবেষণার পর মো. আবুল হোসেন, মো. বাবুল হোসেন এবং আ. ছাত্তার নামের ৩ জনকে নিয়ে কাজ করে আবিষ্কার করলেন এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান (ইপিএফ)। এই ফ্যান দেখতে সাধারণ ফ্যানের মতোই। এই ফ্যান তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কেমিক্যাল এবং নিজের তৈরি কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র। এসব ফ্যান বাইরের কোনো বিদ্যুৎ ছাড়াই দুটি বাল্ব জ্বালাতে সক্ষম। তবে এর জন্য ফ্যানগুলো চালাতে কোনো অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয় না। অর্থাৎ বাল্ব দুটি জ্বালাতে যে বিদ্যুতের প্রয়োজন তা এই ফ্যান থেকেই উৎপন্ন হয়। শুধু তাই নয়, এই ফ্যানে রয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চয় রাখার ব্যবস্থা। অর্থাৎ যখন আমাদের বাল্ব জ্বালানোর কোনো প্রয়োজন হবে না তখন ওই বন্ধ থাকা বাল্বের বিদ্যুৎ সঞ্চয় হতে থাকবে এবং পরে যখন বিদ্যুৎ থাকবে না তখন এই সঞ্চিত বিদ্যুৎ থেকেই একঘণ্টা পর্যন্ত দুটি বাল্ব অথবা একটি বাল্ব জ্বলবে এবং একটি ফ্যান চলবে। তাই এখন যেসব ফ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে এর পরিবর্তে যদি আমরা এই এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান (ইপিএফ) ব্যবহার করি তবে শীতের সময়ের মতো গরমের সময়েও বিদ্যুতের ঘাটতি কম থাকবে বলে তিনি মনে করেন। এখানে উল্লেখ্য, তিনি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ নিজের আবিষ্কৃত এনার্জি স্টেপ-আপ ডিভাইস (ইএসইউডি) নামের একটি যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। আর এর সফলতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। যন্ত্রটি তৈরি করতে তিনি বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল, বিজ্ঞানী ডেনিয়েল এবং নিজের আবিষ্কৃত কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র ব্যবহার করেন। এই ডিভাইসটির কাজ হচ্ছে ইনপুট বিদ্যুৎ শক্তিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে আউটপুট করা। তিনি বলেন, এর কাজ সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ার পর যদি ডিভাইসটি ছোট বড় সব মিল-কারখানা, মার্কেট এবং অ্যাপার্টমেন্টে ব্যবহার করা হয়, তবে বিদ্যুৎ খরচ শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কমে আসবে। অর্থাৎ এখন যেখানে ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে সেখানে মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেই চলবে। ফলে সাশ্রয় হবে ৮০ থেকে ৮৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। যা দিয়ে আরও ছোটখাটো কারখানা চালানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, এ ডিভাইসে থাকবে ব্যাকআপ ক্ষমতা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে এটি ৬০ থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্যাকআপ দেবে। ফলে লোডশেডিংয়েও কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। ডিভাইসটি দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করতে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে তিনি যে প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে তিনি সরকারি-বেসরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কোন প্রাণী কতদিন বাঁচে

প্রাণীর নাম আয়ু
মানুষ : ১১৪ বছর
গরিলা : ৩৯.৩ বছর
বাঘ : ৩১.১০ বছর
কচ্ছপ (টরটয়েড) : ১১৬ বছর
কাছিম (টার্টল) : ৫০০ বছর
তিমি : ৮৭ বছর
কন্ডুর শকুন : ৭২ বছর
দাঁড়কাক : ৬৯ বছর
স্বাদু পানির মুসেল : ৬০ বছর
গন্ডার : ৪০ বছর
নোয়া জাতের অজগর :৩৯ বছর
পায়রা : ৩৫ বছর
ফিতাকৃমি বা টেপওয়াম : ৩৫ বছর
হাতি : ৭০ বছর

যৌতুকবিহীন বিয়ের ঘটক শামসুদ্দিন

নওগাঁর ঘটক শামসুদ্দিন মণ্ডল। যিনি পুরো নওগাঁ ও আশপাশের জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ২০০ বিয়ে দিয়েছেন। আর এসব বিয়ে সবই যৌতুকবিহীন। এমন দৃষ্টান্ত আসলেই বিরল।
আশি বছর বয়সী এই ঘটক এখন দাদুতে পরিণত হয়েছেন। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার কাছে ঘটক শামসুদ্দিন হলো এক আশ্বাসের নাম। কেননা যৌতুকবিহীন পাত্র তার সন্ধানে আছে অনেক। ঘটক শামসুদ্দিন বসবাস করেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চক আবদাল কঞ্চিপুকুর গ্রামে। বাবা মৃত মফিজ উদ্দীন। ১৯৬২ সাল থেকে তিনি এক প্রকার স্বেচ্ছাশ্রমে ঘটকালি শুরু করেন। তখন থেকে তিনি যতগুলো বিয়ে দিয়েছেন তার সবই যৌতুকবিহীন। শামসুদ্দিন মণ্ডলরা ৩ ভাই ও ১ বোন। তিনিই সবার বড়। বাবা ছিলেন কৃষক। অভাবের কারণে পড়াশোনা বেশি করা হয়নি। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব তার কাঁধে এসে যায়। আর তখন থেকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন ঘটকালি। তেমন চাহিদা নেই। বিয়ে হলে যে যা দেয় তা নিয়েই সন্তুষ্ট শামসুদ্দিন। ছোট ভাই-বোনের বিয়ে দিয়েছেন। তাদের বিয়েও হয়েছে যৌতুকবিহীন।

ইভ টিজিং!

বলিউড অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিষ্ণুপুরের জুবিলি পার্কে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি এ বিব্রতকর ঘটনার শিকার হন। পরে তিনি এক ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে সক্ষম হন। মাহিমা সেখানে এক প্রচার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমন জোরালো ছিল না। এ সুযোগে কয়েকজন যুবক তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।

Friday, April 1, 2011

গাড়ি তৈরিতে আনারস ও কলা


সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। এর ধারাবাহিকতায় মানুষের ধারণার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তিবিদ্যা। আজ যা নতুন, আগামীকাল তা হয়ে যাচ্ছে পুরাতন। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকরা জানিয়েছেন, সুস্বাদু আনারস বা কলার তন্তু ব্যবহার করে মজবুত এবং হালকা প্লাস্টিক তৈরি করা যায়। আর সেই প্লাস্টিক ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরি করা সম্ভব। গবেষকদের দাবি, ফলের তন্তু থেকে তৈরি প্লাস্টিক গাড়ির বডি এবং ইঞ্জিন তৈরিতেও ব্যবহার করা যাবে। সুস্বাদু আনারস এবং কলা ব্যবহার করে গাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, আগামী ২ বছরের মধ্যেই এ পদ্ধতিতে গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। আনারস এবং কলার তন্তু ব্যবহার করে তৈরি করা প্লাস্টিক ইতোমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক আলসেইডস লিয়াও জানিয়েছেন, সুস্বাদু এসব ফলের তন্তু প্লাস্টিককে অত্যন্ত মজবুত করে। এই প্লাস্টিক ওজনে সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ হালকা এবং ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি মজবুত। এখন দেখার পালা আনারস ও কলার তন্তু ব্যবহার করে প্লাস্টিক উৎদ্ভাবন করে পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরি করা যায় কিনা।

গ্রীষ্মে লোডশেডিং-এ হারিকেন ব্যবসায়ীর প্রস্তুতি

আসছে গ্রীষ্ম, বাড়বে লোডশেডিং। এসময় হারিকেন আর মোমবাতির থাকে ব্যাপক চাহিদা। সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছেন রাজধানীর এক হারিকেন ব্যবসায়ী _রোহেত রাজীব

বয়স চার ওজন ৬০ কেজি

আর দশটি শিশুর মতো লু হাও সাধারণ শিশু নয়। এর কারণ মাত্র চার বছর বয়সে তার ওজন গিয়ে ঠেকেছে ৬০ কেজিতে। এ কারণে উঠতে-বসতে মাঝে মাঝে অন্যের সহায়তার প্রয়োজন হয় তার।

মুটিয়ে যাওয়া চীনা শিশুটির মা-বাবা জানান, বাচ্চাটি এই বয়সে অন্যান্য সাধারণ শিশুর চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ওজনের এবং সে প্রতি রাতে বড় তিন বাটি ভাত খায়। বাবা লু ইউনচেং এবং মা চেন ইউয়ান বুঝতে পারছেন না তাদের ছেলে কেন এতো মুটিয়ে গেল। অথচ জন্মের সময় ওর ওজন ছিল মাত্র ২ দশমিক ৬ কেজি। তিন মাস বয়স থেকে তার ওজন নাটকীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে এবং তার ক্ষুধা প্রতি সপ্তাহে প্রচণ্ডভাবে বাড়তে থাকে।

সে তার ক্লাসের ফাঁকে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হাউয়ের এক বছর বয়স থেকেই তার বাবা-মা তার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হয়েছিলেন কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

বাংলার বাঁশি বিদেশে

'বাঁশি শুনে আর কাজ নেই...সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি...' জনপ্রিয় গানটির প্রথম পংক্তিটির 'বাঁশি' বাহারি কৃত্রিম ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের ছোবলে কদর কিছুটা কমলেও বন্ধ হয়ে যায়নি। এখনো বাঁশি শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখাসহ শ্রীমর্দ্দী গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের মানুষ এর ওপর ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সেই নবাব সিরাজদ্দৌলার আমল থেকে। মেঘনা নদীর কোলঘেঁষা ছোট্ট দ্বীপের মতো কুমিল্লার হোমনা পৌরসভার দক্ষিণের গ্রাম শ্রীমদ্র্দী। মেঘনার চরে গড়ে ওঠা শ্রীমর্দ্দীর রয়েছে বাঁশি তৈরির সুদীর্ঘ ইতিহাস।

গ্রামটিতে ১৯ হাজার লোক বসবাস করছে কেবল বাঁশি শিল্পকে পুঁজি করে। যদিও বাঁশি কারিগরগণ কেউ স্বচ্ছল নয়, তবু তারা বসবাস করছে ভিন্ন আমেজ-স্বকীয়তা বজায় রেখে। এ-গাঁয়ে যেমন রয়েছে তুখোড় বাঁশি বাজানেওয়ালা বা বাঁশরিয়া ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, হাসু ফকির, করম আলী তেমনি এ গাঁয়ের তৈরি উন্নতমানের বাঁশি বাংলার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে মধ্যপ্রাচ্যের সবকটি দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, ডেনমার্কসহ ইউরোপের আরও অনেক রাষ্ট্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে রপ্তানি হচ্ছে।

কথা হয় তরুণ মফিজ মিয়ার সঙ্গে। সে জানায়,_'আমি ছুডু সময় (৮ বছর বয়স) থেইক্ক্যা বাঁশি বানাইতে পারি। কেউ শিখাইয়া দেয় নাই। আব্বা-আম্মার বাঁশি বানানো দেইখ্যা শিখছি। অহন তো আমার লগে কেউ পারতো না। জমিতে বদলি দিয়া আমার বন্ধু হারিছ ডেইলি পায় ১০০ টাকা, আমি আপনাগো দোয়ায় কামাই ১৭০ থেইক্ক্যা ২০০ টাকা'। বাঁশির গ্রাম শ্রীমদ্র্দী ঘুরতে ঘুরতে কথা হয় আরেক বাঁশি কারিগর প্রাথমিক স্কুল গণ্ডি পেরোনো গোপাল (৩২), অনিল (২২) ও তাদের মা রেখা রানীর (৫৫) সঙ্গে। বাড়ির উঠোনে জলচৌকীতে বসে তাদের দেওয়া মুঁড়ি খেতে খেতে কথা বলতে থাকি। রেখা রানী জানায়,_'অনিল-গোপালের বাবা রতন দাস বাঁশি লইয়া শহরে যায় পাইকারি বিক্রি করন লাগি। আমরা মায়-পুতে (ছেলে) হারাদিন বইয়া বাঁশি বানাই। তয় আগের মতো লাভ হয় না।বিদেশি বেটারা ৪-৫ বছর ধইরা বাঁশি নিতাছে'। অনিল বলে,_'ছোট বেলায়ই বাঁশি রং, বার্নিশ, চাক্কি, ছিদ্র করা শিখছি। অহন বিদেশি গো জন্য স্পেশাল বাঁশি কারুকাজ করা নানা বাহারি ডিজাইনের বাঁশি বানাই। গোপালের মতে এই মৌসুমে হাতে কাজ থাকে বেশি। কারণ, বৈশাখ মাসে দেশ-বিদেশের বাঙালিদের কাছে বাঁশির কদর বেশি থাকে। ঢাকার পাইকাররা ফোনে বেশি-বেশি বাঁশি বানানোর জন্য অনুরোধ করে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় কেবল পুঁজির অভাবে।