বিভিন্ন েেক্ষত্রে অবদানের জন্য বিশ্বের সেরা পুরস্কার হচ্ছে নোবেল প্রাইজ। কিন্তু নোবেল প্রাইজে সাংবাদিকতার কোনো ক্যাটাগরি নেই। তবে বিশ্বব্যাপী এই সেক্টরেও দেওয়া হয় বেশ কিছু পুরস্কার। এইসব পুরস্কারের মধ্যে পুলিৎজার প্রাইজকে সাংবাদিকতার নোবেল বলা হয়। মার্কিন যুুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান সাংবাদিক জোসেফ পুলিৎজারের (১৮৪৭-১৯১১) রেখে যাওয়া অর্থ থেকে তার নামানুসারে প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সাধারণত পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয় সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সংগীতে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উপদেষ্টা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। পুলিৎজার বিজয়ী প্রত্যেককে ১০ হাজার ডলার, একটি সম্মাননাপত্র ও একটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। পুলিৎজার পুরস্কার সাংবাদিকতা শাখায় বিশেষ প্রতিবেদন, মন্তব্য প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্ট, অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও সমালোচনামূলক প্রতিবেদনে দেয়া হয়। শিল্প-সাহিত্য শাখায় বায়োগ্রাফি, ননফিকশন, ফিকশন, কবিতা, নাটক ও সংগীত বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রশাসকের ভূমিকা পালন করে। পুলিৎজার নামের এই হাঙ্গেরীয়-মার্কিন সাংবাদিকই পুলিৎজার পুরস্কারের প্রচলন করেছিলেন। ১৯১১ সালে মৃত্যুর সময় পুলিৎজার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ রেখে গিয়েছিলেন। তাঁর অর্থের কিছু অংশ দিয়ে ১৯১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা স্কুল গঠিত হয়েছিল। এই অর্থের মাধ্যমে ১৯১৭ সালের ৪ জুন প্রথম পুলিৎজার পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতি বছরে এপ্রিল মাসে পুরস্কারটি ঘোষিত হয়।
No comments:
Post a Comment