Friday, August 27, 2010

গানে গানে নাড়া প্রাণে

কৈশোর পেরিয়ে সবে তারুণ্যে পা রেখেছেন। আশপাশের দশ গাঁয়ের লোকে তাঁকে এক নামে চেনে। জিয়া, পুরো নাম জিয়ারুল ইসলাম। কুঁকড়া চুলের, ছোটখাটো গড়নের মানুষ। জারিগানের দল নিয়ে যিনি ঘুরে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। নিজে গান না, কিন্তু তাঁর লেখা গান দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করেন। মানুষের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা গড়ে তোলেন। বিনিময়ে নিজে কিছু নেন না। গানের দলের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়া। এবার এইচএসসি পাস করেছেন।
জিয়ারুল ইসলামের (১৯) বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ভুটকা গ্রামে। বাবা কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। কিশোর বয়সেই পারিবারিক ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে নানা অসংগতি ভাবিয়ে তোলে জিয়াকে। চারপাশের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হলে কী করতে হবে, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকপ্রথা রোধে কী কী করণীয়, তার সবই পাঠ্যবইয়ে লেখা আছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কেউ সেসব মানে না। তখন থেকেই মনে মনে নিজের গ্রামকে বদলে ফেলার পণ করেন। সেই আজ থেকে বছর পাঁচেক আগের কথা।
ভাবতে শুরু করেন জিয়া—কীভাবে মানুষকে বদলের পথে আনা যায়। একসময় একটা পথও বেরিয়ে গেল। বিনোদনই সহজ উপায়, যার মাধ্যমে গাঁয়ের সহজ-সরল মানুষগুলোর কাছে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু টাকা পাবেন কোথায়! বাবার কাছে হাত পেতে তেমন সাড়া মিলল না। গেলেন বড় ভাই আলমগীর ইসলামের কাছে। ভাই তাঁকে আশ্বস্ত করলেন। শুরুতে কয়েকজনকে নিয়ে একটি জারিগানের দল গঠন করলেন। গানের দলের জন্য বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে হারমোনিয়াম, ঢোল, একতারা, মন্দিরা কিনলেন। নিজেই লিখলেন সামাজিক সচেতনতামূলক গান। জারিগানের দলটি প্রথমে ভুটকা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে গান করল। পরে গেল পাশের গ্রামে। এভাবে একে একে গঙ্গাচড়ার ৬৭টি গ্রামে দল নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন জিয়া।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা না থাকলে, কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে কী কী ক্ষতি হয়—সেসব নিয়ে নাটিকা বানালেন জিয়া। যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধেও রচনা করলেন নাটিকা। মানুষের বাড়ির উঠোনে পরিবেশন করলেন। জিয়ার এসব সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সর্বশেষ সংযোজন—ইভ টিজিং। গত বছর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি প্রজেক্টর কিনেছেন। রাতের বেলা প্রজেক্টরে গ্রামবাসীকে তথ্যচিত্রও দেখাচ্ছেন জিয়া।
জিয়ার কর্মকাণ্ড দেখে উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মেরিনা বেগম বললেন, ‘জিয়ার মতো সবাই যদি এভাবে সামান্য কিছু কাজ করত তাহলে গ্রামগুলো সুন্দর হয়ে উঠত।’ একই এলাকার সরকারি বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বিউটি খাতুন বলেন, সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর অনেক টাকা খরচ করছে। কিন্তু গ্রামের এক তরুণ নিজ উদ্যোগে যে কাজটি করছেন, তাতে গ্রামের দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
ভুটকা গ্রামের লাল মিয়া বলেন, ‘হামার জিয়ারুল শিখাইল কেমন করি ভালো পরিবেশে বাস করা যায়।’ কিষানি কবিতা রানী বলেন, ‘হামরা আগোত ঝোপঝাড়ে প্রাকৃতিক কাজ সারছি। কিন্তু জিয়া তাঁর গানের দল নিয়া গান গায়া বিনোদন দিয়া মানুষগুলাক সচেতন করার চেষ্টা করছেন।’
জিয়ারুল ইসলাম এ বছর গঙ্গাচড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। মানবিক বিভাগে তিনি জিপিএ-৪ দশমিক ১০ পেয়েছেন। ২০০৫ সালে যখন তিনি গঙ্গাচড়া মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র, তখনই দলবল নিয়ে নেমে পড়েছিলেন। তিনি গান লিখে দেন। দলের লোকজন সেসব গেয়ে শোনায়। সে জন্য কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেন না। উল্টো বাড়িতে কয়েকজন ছেলেমেয়েকে পড়িয়ে যে টাকা পান, সেটা দলের লোকদের পেছনে খরচ করেন।
জিয়ার গানের দলের সদস্য সাতজন। তাঁরা হলেন আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, প্রফুল্ল চন্দ্র, জগদীশ চন্দ্র, অনন্ত চন্দ্র, রবীন চন্দ্র ও রত্না পারভিন। তাঁরা জানান, জিয়ারুলের সঙ্গে এই কাজ করে তাঁরা আনন্দ পান। তাই বিনিময়ে কিছু চান না। বড় কথা হলো, এভাবে মানুষকে কিছুটা হলেও জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে।
জিয়ারুল বলেন, ‘সামান্য অভ্যাস পরিবর্তন করলেই মানুষ বদলাতে পারে। বদলে যেতে পারে গ্রামের দৃশ্যপট। এতে খুব একটা টাকার প্রয়োজন পড়ে না।’ এসব কাজ করে আপনার লাভ কী—জানতে চাইলে বলেন, ‘সব সময় নিজের লাভ দেখলে কি ভালো কাজ করা সম্ভব! সমাজ উপকৃত হলে এর চেয়ে বড় লাভ কী হতে পারে।’ গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকে জিয়া এখনো যে কাজটি করে চলেছেন, এর কোনো তুলনা হয় না।’
উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রামাণিক বলেন, ‘শুনেছি, কিশোর বয়স থেকে এমন কাজ করে আসছে ছেলেটা। গানের দল নিয়ে হাটে-মাঠে ঘুরে বেড়ায়। আবার পড়াশোনাও করে।’

 শাকিরাকে জরিমানা


‘ওয়াকা ওয়াকা’র সুর মূর্ছনা এখনো মিলায়নি। এরই মধ্যে খবরের শিরোনাম হয়ে গেলেন গায়িকা শাকিরা। একটি মিউজিক ভিডিওর চিত্রধারণের জন্য গিয়েছিলেন স্পেনে। সেখানে ঐতিহাসিক একটি ঝরনার নিচে উদ্দাম নৃত্যের কিছু চিত্র ধারণ করা হয়। এ সময় প্রিয় তারকাকে দেখতে ভক্তরা ভিড় জমায়। তাঁর সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে ভক্তরা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ভক্তদের হটিয়ে শাকিরার শুটিং বন্ধ করে দেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, বিনা অনুমতিতে শুটিং করার দায়ে নগর কর্তৃপক্ষ শাকিরাকে জরিমানা করে।

Profiles - Making your profile easier to find

Profiles - Making your profile easier to find

My Computer আরো দ্রুত চালু করুন

অনেকের PC তে My Compute চালু হতে একটু সময় নেয়।

আমরা অনেকেই Computer এ Network Drive ব্যবহার করি না। আর ব্যবহার করলেও তা My computer এ Show করাই না।

আবার আমাদের অনেকের Remote Registry দরকার হয় না।

নিচের দুটি পদ্ধতি দুটো Apply করলে আশা করি আপনার My computer টি আরো দ্রুত চালু হবে।

১. My Computer –> Tools –> Folder Options –> View চালু করুন “Automatically search for network files and folders" এর সামনে একটি ক্লিক চেক করা থাকে, এটি তুলে দিন। এবং

২. Run –> regedit রেজিস্ট্রি এড্টির চালু হবে।

HKEY_LOCAL_MACHINE –> Software –> Microsoft –> Windows –> Current Version –> Explorer –> RemoteComputer –> NameSpace এর {D6277990-4C6A-11CF-8D87-00AA0060F5BF} এর Keyটি মুছে দিন। এবার computer Restart দিন।

কম্পিউটার চালান রান কমান্ড এর সাহায্যে

আপনি আপনার কম্পিউটারটি যদি রান কমান্ড দিয়ে চালাতে চান তাহলে নিচের রান কমান্ডগুলো আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। তাপর আপনার ইচ্ছেমতো রান কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার চালান।

press start button and press run or press win key+r

and then one of these command for follewing purpose

Calc-----------–Calculator

Cfgwiz32-------–ISDN Configuration Wizard

Charmap---------character Map

Chkdisk--------–Repair damaged files
Cleanmgr-------–Cleans up hard drives
Clipbrd---------Windows Clipboard viewer
Control---------Displays Control Panel
Cmd------------–Opens a new Command Window
Control mouse--–Used to control mouse properties
Dcomcnfg-------–DCOM user security
Debug----------–Assembly language programming tool
Defrag---------–Defragmentation tool
Drwatson-------–Records programs crash & snapshots
Dxdiag---------–DirectX Diagnostic Utility
Explorer-------–Windows Explorer
Fontview---------–Graphical font view
Fsmgmt.msc-------—Used to open shared folders
Firewall.cpl—-----Used to configure windows firewall
Ftp---------------ftp.exe program
Hostname---------–Returns Computer’s name
Hdwwiz.cpl-------—Used to run Add Hardware wizard
Ipconfig---------–Displays IP configuration for all network adapters
Logoff-----------—Used to logoff the computer
MMC--------------–Microsoft Management Console
Msconfig---------–Configuration to edit startup files
Mstsc------------—Used to access remote desktop
Mrc---------------Malicious Software Removal Tool
Msinfo32---------–Microsoft System Information Utility
Nbtstat----------–Displays stats and current connections using NetBIOS over TCP/IP
Netstat----------–Displays all active network connections
Nslookup---------–Returns your local DNS server

স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো অধিক ব্যাটারী ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন ল্যাপটপ

সারা বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং নতুন তিনটি ভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছে। এই তিনটি মডেল হলো স্যামসাং এন ২১০, এন ১৪৮ এবং আর ৪২৮। এই তিনটি মডেলের মধ্যে স্যামসাং এন ২১০ ল্যাপটপটি ১২ ঘন্টা* ব্যাটারী ব্যাক আপ দিতে সক্ষম।

অন্যদিকে, এন ১৪৮ মডেলটি সাড়ে আট ঘন্টা* এবং আর ৪২৮ মডেলটি সাড়ে তিন ঘন্টার বেশী ব্যাক আপ দিতে পারে। এই অসাধারণ ব্যাটারী ক্ষমতার মূল কারণ হচ্ছে ল্যাপটপে সংযুক্ত পাওয়ার সেভিং এল ই ডি মনিটর। এছাড়াও স্যামসাং - এর নিজস্ব এনহ্যান্স্ড ব্যাটারী লাইফ সল্যুশনও এই অধিক ব্যাটারী ক্ষমতার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উপস্থিত ছিলেন, স্যামসাং-এর ঢাকা ব্রাঞ্চ অফিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব লি, আইটি-র সেলস এবং মার্কেটিং ম্যানেজার জনাব সাইদুর রহমান, ইন্ডেক্স আইটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ রহমান এবং ইন্ডেক্স আইটি লিমিটেডের ডিরেক্টর- ফিন্যান্স এবং স্ট্র্যাটেজির আশিক উল ইসলাম। তারা মূলত নতুন পণ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো এবং বাংলাদেশের বাজারে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে নিয়ে কথা বলেন ।

অধিক ব্যাটারী ক্ষমতা ছাড়াও স্যামসাং - এর নতুন লাপটপ গুলিতে আরোও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্যামসাং এন ২১০ এবং এন ১৪৮ মডেল গুলিতে ১০.১” এলইডি এন্টি-রিফ্লেক্টর মনিটর রয়েছে যা সিনেমা বা ছবি দেখার সময় আপনাকে রঙ এবং ছবির সর্ব্বোচ্চ গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেবে। এছাড়া ইজি রেজ্যুলেশন ম্যানেজার- এর সাহায্যে আপনি ল্যাপটপ - এর ছবির রেজুল্যুশন অতি সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্যামসাং এন ২১০ এবং এন ১৪৮ নেটবুক দুটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এগুলো ডিজিটাল ওয়েব ক্যামেরা সহ পাওয়া যায়। এই নেটবুক দুটি ইন্টেল - এর সর্বাধুনিক এটম এন ৪৫০ প্রসেসর দ্বারা চালিত হয়।

স্যামসাং - এর নিয়ে আসা অন্য ল্যাপটপটি হচ্ছে স্যামসাং আর ৪২৮। এই লাপটপটি ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রসেসর টি ৪৪০০ দ্বারা পরিচালিত। মাত্র ২.২৬ কিলোগ্রাম ওজনের এই লাপটপটিতে একটি ১৪.০’ এলইডি এইচডি মনিটর রয়েছে। এই তিনটি নতুন মডেলের লাপটপেই স্যামসাং কয়েকটি সফটওয়্যার সংযুক্ত করেছে। এই সফটওয়্যারগুলি হলো এডোব রিডার, ইজি নেটওয়ার্ক ম্যানেজার, ইজি স্পিড আপ ম্যানেজার, স্যামসাং সাপোর্ট সেন্টার, স্যামসাং আপডেট প্লাস, প্রভৃতি।

কম্পিউটার কে গতিশিল করার উপায়

কম্পিউটার ব্যবহার করেন। কিন্তু কম্পিউটার এর পরিচরযা জানেন না। আস্তে আস্তে কম্পিউটার হয়ে উঠে ধীর গতির। ভাল ভাবে কাজ করতে পারেন না।আমাদের একটু অলসতার কারণেই কম্পিউটার ধীর হয়। আমরা অল্প কিছু সময় কম্পিউটারকে দিয়ে কম্পিউটার গতিশীল করতে পারি।

ভাইরাস মুক্ত রাখুনঃ কম্পিউটার ধীর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস।ভাইরাস শুধু আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে না আপনার ড্রাইভগুলিকে কেটে দিতে পারে। ভাইরাসের প্রধানত ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রসার লাভ করে থাকে। তাই আজেবাজে সাইট থেকে বা অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল ডাউনলোড করবেন না। কোন সিডি ডিস্ক খোলার আগে এন্টি ভাইরাস দিয়ে পরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন। কম্পিউটারে ভাল মানসম্মত এন্টি ভাইরাস রাখুন।ইন্টারনেটে খোজলেই হাজার হাজার ফ্রী এন্টি ভাইরাস দেখা যায় তবে সাবধান এসব আজেবাজে এন্টি ভাইরাস কম্পিউটার কে আরও ধীর করে দেয়। আপনি মেকাফী অথবা AVG ব্যবহার করতে পারেন। সাপ্তাহে কমপক্ষে একবার আপনার কম্পিউটার ভাইরাস স্কেন করুন। Automatic update অন করে দিন এতে নতুন সংস্কার আপনা আপনি ডাউনলোড হবে। ভাইরাস গার্ড অন করুন এতে কোন ভাইরাস কম্পিউটার এ ঢোকার সাথে সাথে এন্টি ভাইরাস তা ডিলিট করে দিবে। এক সাথে দুটি এন্টি ব্যবহার করবেন না।

স্ক্যান ডিস্ক করুনঃ কম্পিউটারকে নিয়মিত স্কেন ডিস্ক করুন এতে কম্পিউটার এর বেড সেক্টর কেটে যাবে ফলে কম্পিউটার দ্রুত গতিতে কাজ করবে। এজন্য My Computer এ চলে যান। আপনার ড্রাইভ এর উপর ডান ক্লিক করুন। এখানে আসা মেনু থেকে Properties সিলেক্ট করুন। নতুন একটি উইন্ডো আসবে। এথেকে Tools টব সিলেক্ট করুন। Error-Checking এর আওতাদিন Check Now … বাটনে ক্লিক করুন। Check Disk নামে একটি উইন্ডো আসবে। []Automatically file System errors ও []Scan for and attempt Recovery of Bed sector. চেক দিন সব শেষে Start বাটনে ক্লিক করুন।এভাবে প্রতিটি ড্রাইভে স্ক্যান ডিস্ক করুন।

System Restore বন্ধঃ System Restore চালু থাকলে যখনি আপনি কোন ফাইল কেটে দিন তখন তা ডিলিট হয়ে System Volume Information নামক ফোল্ডারে জমা হয়। তাই এটি কম্পিউটারের জায়গা দখল করে এবং ভার্চুয়াল মেমোরি লো করে দেয়। যার ফলে কম্পিউটার ধীর হয়ে যায়। এটি বন্ধ করার জন্য My Computer এ ডান ক্লিক করে Properties সিলেক্ট করুন। এখান থেকে System Restore টব সিলেক্ট করুন। [] Turn off System Restore on all drive এ চেক দিয়ে ওকে করুন।

গ্রাফিক্স বন্ধ করুনঃ এক্সপি গ্রাফিক্স দ্বারা সম্মৃধ্য। কিন্তু এসব গ্রাফিক্স কম্পিউটার এর Ram এ অনেক জায়গা দখল করে।এসব গ্রাফিক্স দূর করার জন্য Control Panel থেকে System সিলেক্ট করুন। Advanced টব থেকে Performance এর আওতাধিন Setting ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো থেকে Adjust for best performance এ চেক দিয়ে OK দিয়ে বেরিয়ে আসুন। যদিও কম্পিউটার কিছুটা খারাপ দেখা যাবে তবুও কম্পিউটার স্পীড সম্পন্ন হবে।

ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের পোর্টেবল হার্ডডিস্ক

বাজারেওয়েস্টার্ন ডিজিটালের মাই পাসপোর্ট এসেনসিয়াল এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক বাজারে নিয়ে এসেছে কম্পিউটার সোর্স। ২৫০ জিবি থেকে শুরু করে এক টেরাবাইট ধারণক্ষমতার এই হার্ডডিস্কে রয়েছে স্মার্ট ওয়্যার সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি সব তথ্য বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে ব্যাকআপ রাখে।

ইউএসবি পোর্টের সঙ্গে সংযোগ দিলেই প্লাগ অ্যান্ড প্লে সিস্টেমে চালু হয় এই হার্ডডিস্কটি। ২৫০ জিবি ধারণক্ষমতার হার্ডডিস্কটির দাম পাঁচ হাজার ৪০০ টাকা, ৩২০ জিবি ছয় হাজার ৪০০ টাকা, ৫০০ জিবি আট হাজার ৫০০ টাকা এবং এক টেরাবাইটের দাম ২১ হাজার টাকা। প্রতিটি ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল পোর্টেবল হার্ডডিস্কে রয়েছে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।

বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ল্যাপটপ তৈরি করেছে ভারত, মাত্র ৩৫ ডলার !

ল্যাপটপ, মূল্য মাত্র ৩৫ ডলার!ভাবা যায় ? বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ল্যাপটপ তৈরি করেছে ভারত। মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য এই ল্যাপটপ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল শৈবাল। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়ায় সেখানে চাহিদাও বিশাল। তাই বিপুল সংখ্যায় ল্যাপটপ তৈরি করতে হবে তাদের। এটা মাথায় রেখে বিশ্বের খ্যাতনামা ল্যাপটপ নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা করবে মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ।

নয়াদিল্লিতে চলতি সপ্তাহে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কপিল শৈবাল এই স্বল্প দামের ল্যাপটপ উন্মোচন করেন। তিনি জানান, ল্যাপটপ উন্নয়নে ভারত এক বড় মাইল ফলক পেরিয়েছে। কারণ ল্যাপটপের মাদারবোর্ড, চিপ, প্রসেসর, মেমরি ও তথ্য প্রর্দশনের পর্দাসহ সবকিছু মাত্র ৩৫ ডলারে দেওয়ার স্বপ্ন সফল করেছে ভারত।

জানা গেছে, এই স্বল্পদামের ল্যাপটপে লিন্যাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এর আর্কষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে র্স্পশকাতর পর্দা। আর গতানুগতিক কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও পিডিএফ রিডার এর ব্যবহার এবং ভিডিও কনফারেন্স করার সুবিধাও থাকছে এ ল্যাপটপে।

ল্যাপটপটি নির্মাণে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভারতের প্রিমিয়ার টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট এর একদল গবেষক, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স।

ল্যাপটপটি আগামী ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে বলে আশাবাদী কপিল সিবাল। তিনি আরও জানান, এর মূল্য কমিয়ে ২০ ডলার বা ১০ ডলার করার কথা ভাবছেন তারা।

ফুলে ঘ্রাণ থাকে কেন?

পরাগায়নে সাহায্য করার জন্য মৌমাছি সহ অন্যান্য কীট পতঙ্গকে আকর্ষণ করার জন্যই ফুল তার সুবাস ছড়ায়। এই ঘ্রাণ সৃষ্টি হয় বাতাসে ফুলের ছড়ানো বেশ কিছু রাসায়নিকের জটিল সংমিশ্রনের মাধ্যমে।

অনেক ফুল দেখতে একরকমের হলেও, সেগুলোর আকৃতি এবং রং এক রকম হলেও কোনো দুটি ফুলের ঘ্রাণ কখনো এক হয় না। এর কারণ হচ্ছে যে-সব রাসায়নিকের সংমিশ্রনে ফুলের ঘ্রাণ সৃষ্টি হয়, সেগুলো বহু বিচিত্র ধরনের এবং সেগুলোয় অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে। তবে সবকিছুর মূল কথা হচ্ছে, ফুল তার ঘ্রাণের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানোর জন্য কীট পতঙ্গকে সংকেত জানায় আর পরাগায়ন ঘটানোর জন্য তারা পুরষ্কার হিসেবে পায় ফুলের মধু।

যে-সব ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ থাকে, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মূলত: মৌমাছি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে। অন্যদিকে যে-সব ফুলের বাসি ধরনের ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে গুবরে বা কাঁচপোকার মাধ্যমে।

একটা ফুল যখন পরাগায়নের জন্য প্রস্তুত হয়, তখনই সেটির ঘ্রাণ সবচাইতে বেশী হয় এবং সেটি সবচাইতে আকর্ষনীয়ো হোয়ে ওঠে। যে-সব ফুলের ঘ্রাণ দিনে বেশী হয়, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মৌমাছি এবং প্রজাপতির মাধ্যমে। আর যে-সব ফুল মূলত: রাতের বেলা গন্ধ ছড়ায়, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মূলত: দেয়ালী পোকা এবং বাদুড়ের সাহায্যের্।