Saturday, August 27, 2011

পবিত্র রিস্তা'য়

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করবেন_ এটা ভুল করেও অনেকে ভাবেননি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে তিনি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন। একতা কাপুরের 'পবিত্র রিস্তা' সিরিয়ালে অভিনয় করবেন কারিনা। মাত্র একটি পর্বে দেখা যাবে তাকে। কারিনার সিরিয়ালে অভিনয় করতে রাজি হওয়ার পেছনে একটি কারণও আছে। 'পবিত্র রিস্তা'র একটি পর্ব হবে কারিনা অভিনীত মুক্তিপ্রতীক্ষিত ছবি 'বডিগার্ড' নিয়ে। তাই তিনি রাজি হয়েছেন। তাকে দেখা যাবে, ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন জুটি মানব ও অর্চনার সঙ্গে দেশমুখ হাউসের গণপতি উৎসবে হাজির হতে। এতে কারিনাকে উল্লেখ করা হবে, 'বডিগার্ড' ছবির নায়িকা হিসেবে। আগামী ৩১ আগস্ট বলিউডে মুক্তি পাচ্ছে বহুল আলোচিত 'বডিগার্ড' ছবিটি। এই ছবিতে কারিনা জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সালমান খানের সঙ্গে। ছবিটির প্রমোশনাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই কারিনা প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক 'পবিত্র রিস্তা'-তে অল্প সময়ের জন্য উপস্থিত হচ্ছেন।

Friday, August 26, 2011

বিমা প্রতিনিধি মোশাররফ ও চঞ্চল

কত না বিচিত্র চরিত্রে অভিনয় করতে হয় অভিনয়শিল্পীদের! মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী এবার যেমন বিমা প্রতিনিধির চরিত্রে অভিনয় করছেন। গত বুধবার তাঁরা দুজনই ওই নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। নাটকের নাম সাবলেট। ১০৪ পর্বের এই ধারাবাহিক নাটকটি নির্মাণ করছেন মাইনুল হাসান। পরিচালক জানিয়েছেন, এই নাটকে চঞ্চল ও মোশাররফ একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেন। একজন আরেকজনের বাসায় সাবলেট থাকেন। দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায় তাঁদের স্ত্রীরাও। একপর্যায়ে বাড়িওয়ালা থেকে শুরু করে এলাকার মাস্তানেরা পর্যন্ত জড়িয়ে যায় এই দ্বন্দ্বে। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, ‘বিভিন্ন নাটকে অনেক চরিত্রেই কাজ করেছি। একেকটির মজা একেক রকম। তবে বিমা প্রতিনিধির চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম একটি বিমা করাতে কত পরিশ্রম করতে হয় সত্যিকারের বিমা প্রতিনিধিদের! আর চঞ্চলের সঙ্গে সাবলেটে থাকতে গিয়ে যে দ্বন্দ্বটা হচ্ছে, সেটাও বেশ মজার।’
চঞ্চল বললেন, ‘বিমা প্রতিনিধি হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা যেমন হচ্ছে, তেমনি সাবলেটে থাকতে গিয়ে কী কী সমস্যা হয়, তা-ও বুঝতে পারছি এই নাটকে কাজ করে। নাটকটি দেখে দর্শক বেশ আনন্দ পাবে।’

ছবির প্রচারে ৩৬ শহরে শাহরুখ

শাহরুখ খান তাঁর ছবির প্রচারে এবার দেশ ও বিদেশের ৩৬টি শহরে যাবেন। এ মাসের শেষ দিকে তিনি শুরু করছেন তার রা ডট ওয়ান ছবির প্রচারাভিযান। সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি রুপি দামের পোশাক এনেছেন শাহরুখ। ছবিতে স্পেশাল ইফেক্টের ব্যবহার থাকছে সবচেয়ে বেশি। এই প্রচারাভিযানে শাহরুখের সঙ্গী হচ্ছেন একই ছবির অভিনয়শিল্পী কারিনা কাপুর ও অর্জুন রামপাল। আগামী অক্টোবরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।

মেসিদের বরণে সাজ-সাজ রব

বাফুফের ভবনে এখন পা রাখলে বিয়েবাড়ির একটা আবহ পাওয়া যায়। গোটা ভবনটা নতুন সাজে সাজছে। কর্মকর্তাদের কক্ষে দিনভর কোলাহল। সব মিলিয়ে মেসিদের বরণের পরিকল্পনা নিয়ে চলছে সাজ-সাজ রব।
এর মধ্যে কিছু সমস্যা আছে, আছে কিছু ভালো খবরও। ভালো খবরটাই আগে দেওয়া যাক। টিকিট বিক্রি নিয়ে হতাশাটা একটু একটু করে কমছে। কাল বিকেলে তো ম্যাচ আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের মুখে বেশ হাসিই ছিল, ‘টিকিটের চাহিদা বাড়ছে। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনে আরও বাড়বে।’
এটা তিনি বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান হামিদ সাবেক ক্রিকেটারদের পক্ষে আটটি টিকিটের চাহিদাপত্র দিয়ে যাওয়ায়। সেখানেই শোনা গেল আতহার আলী, ফারুক আহমেদ, নাঈমুর রহমানসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পক্ষে ইমরানকে পাঠিয়েছেন বাফুফের অফিসে। আজও নাকি আরও কিছু চাহিদাপত্র আসবে ক্রিকেটারদের। তাঁদের সবাইকে ক্লাবগুলোর জন্য বিশেষ মূল্যছাড়ের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
কাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাফুফে জানিয়েছে, ঈদের ছুটি বলে টিকিট কিনতে সমস্যা হবে না আগ্রহীদের। ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট এবং ৩, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের মতিঝিল, গুলশান, মিরপুর, ইসলামপুর, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ও বসুন্ধরা শাখা খোলা থাকবে। এ ছাড়া ‘হ্যালভেসিয়া ফাস্ট ফুডের’ পাঁচটি শাখায় (রাইফেল স্কয়ার, ধানমন্ডি, বনানী, উত্তরা ও বেইলি রোড) গতকাল থেকে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
সমস্যা আছে দুটি। একটি হলো টিভি সম্প্রচার। বাংলাদেশের দর্শক কোন টিভিতে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ঐতিহাসিক ম্যাচটি দেখতে পারবে, সেটি নিয়ে হঠাৎ করে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ম্যাচটার সম্প্রচার প্রযোজনা স্বত্ব ইএসপিএনের। এর জন্য ইএসপিএনকে দিতে হবে ৯৩ হাজার ডলার। কিন্তু প্রোডাকশনের পর ম্যাচটা কি বাংলাদেশে শুধু ইনডিপেনডেন্ট টিভি দেখাবে, নাকি ইএসপিএনও দেখাবে, সেটি নিয়েই যত সমস্যা।
মেসিদের গোটা সফরের পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকোর দাবি, বাংলাদেশে শুধু তারাই ম্যাচটা দেখাবে। ইএসপিএন যদি দেখাতে চায়, তাহলে তা হতে পারে শুধু বাংলাদেশের বাইরের দর্শকদের জন্য। বাফুফে চায়, ইএসপিএন খেলা দেখাক, যাতে সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে।
কাল সারা দিনই ব্যস্ত ছিলেন বাফুফের কর্মকর্তারা। কিন্তু সিদ্ধান্ত কিছুই হয়নি। বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বিদেশে আছেন, দেশে ফিরে তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে বলে জানালেন আনোয়ারুল হক।
দ্বিতীয় সমস্যাটা হলো, মেসিদের থাকার হোটেল কাল পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। সোনারগাঁও হোটেলে বুকিং আছে গোটা আর্জেন্টিনা দলের এবং হোটেল কর্তৃপক্ষও চেষ্টা করছে মেসিদের রাখার জন্য। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ওই হোটেলে উঠবেন বলে মেসিদের হোটেল বদলের আলোচনা হচ্ছে।
বাফুফের আবাসন কমিটির প্রধান শওকত আলী খান জানালেন, তাঁরা রূপসী বাংলায় আর্জেন্টিনাকে স্থানান্তর করে অন্য একটি হোটেল নাইজেরিয়াকে দিতে পারেন। কিন্তু অন্য দুটি বড় হোটেল থেকে টাকা আবার বেশি চাওয়া হয়েছে, এসব নিয়েই একটা ঘোরপ্যাঁচে পড়ে গেছে বাফুফে।
আর্জেন্টিনার কোচ আলেজান্দ্রো সাবেলা ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচের প্রস্তুতি দেখতে আগামী শনিবার কলকাতায় আসছেন। বাংলাদেশে এই সুযোগে আসবেন কি না, সেটি গতকাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
অনুশীলনের মাঠ হিসেবে ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনুমোদন ঝুলে আছে। জানা গেছে, কলকাতা মোহনবাগান মাঠের ব্যাপারটাও একইভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। মেসিদের অনুশীলনের জন্য ওই মাঠটাই দেখিয়েছেন সেখানকার আয়োজকেরা। অনুমোদন হবে কি না, সেটি তো পরের কথা। প্রস্তুতির জোর হাওয়া এখন মেসি-জ্বর ছড়াতে শুরু করেছে চারদিকে!

কবরীর রোষানলে ইত্যাদি

এবার এমপি সারাহ বেগম কবরীর রোষানলে পড়ল বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'। প্রভাব খাটিয়ে ইত্যাদির দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রচারিত সময়ে নিজের প্রডাকশনের নাটক চালাচ্ছেন তথ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। ফলে দর্শকরা এবার নির্দিষ্ট সময়ে ইত্যাদি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে ইত্যাদির বিশেষ পর্ব। দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী এবারও অনুষ্ঠানটি ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর সম্প্রচার হওয়ার কথা। কিন্তু কবরীর প্রডাকশনের নাটকের চাং বরাদ্দের কারণে পিছিয়ে গেছে ইত্যাদির সময়। ইত্যাদির জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রচার হবে আনিসুল হকের রচনায় এবং আবুল হায়াতের পরিচালনায় কবরীর 'কে প্রডাকশনের' একটি নাটক। জানা গেছে, ২৪ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানটি এবার প্রচার হবে রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর। অর্থাৎ হানিফ সংকেত নির্মিত ইত্যাদি পিক টাইম থেকে অফ পিকে চলে গেল। উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরেই কে প্রডাকশন থেকে বিটিভিতে নিয়মিত নাটক প্রচার হচ্ছে। এবার ক্ষমতার প্রভাবের বিষয়টি স্পষ্ট হলো ইত্যাদির সময় পেছানোর মধ্যদিয়ে।
সূত্রমতে, কবরীর কারণে ঈদের ইত্যাদি প্রচারই এখন অনিশ্চিত। এ ঘটনা মিডিয়াপাড়ায় চাউর হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু কবরী আছেন বিটিভির প্রিভিউ কমিটির মার্কিং নিয়ে। মার্ক বেশি পাওয়ায় এই সময়ে তার নাটক যাচ্ছে। কী এমন নাটক নির্মিত হলো কে প্রডাকশন থেকে, যা কি না বিটিভির মতো তুমুল জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের প্রচারকেই হুমকির মুখে ফেলে দিল? কবরীর এ রকম প্রভাব খাটান ও নগ্ন হস্তক্ষেপে বিটিভি ও সরকারের অনেক ঘনিষ্ঠভাজনই বিব্রত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ইত্যাদির ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি না রেখে সময় নির্ধারণ প্রসঙ্গে বিটিভির ডিজি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, 'কোন অনুষ্ঠান কোন সময়ে প্রচার হবে তা নির্ধারণ করে প্রিভিও কমিটি। আর এ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারেই এবারের ইত্যাদির প্রচার সময় ধরা হয়েছে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। আর একটা অনুষ্ঠান যে সব সময় একই সময়ে প্রচার হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমাদের বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানের সময় ৫০ মিনিটের বেশি নয়। ইত্যাদি জনপ্রিয় বলে এর সময় প্রায় ৭০মিনিট।' এ প্রসঙ্গে কে প্রডাকশনের কর্ণধার, সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী বলেন, 'ঈদে যেসব অনুষ্ঠান বিটিভিতে জমা পড়ে কর্তৃপক্ষ সেগুলোর মান নির্ণয় করে। সেখানে আমার নাটক সবচেয়ে বেশি মার্ক পেয়েছে। আর তাই ওই সময়ে নাটকটি প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' তবে এ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ইত্যাদি বিটিভির একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে ৮টায় ইত্যাদির প্রচার একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। গ্রামবংলার মানুষ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ইত্যাদি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। আর ঠিক সেই সময়টিতে একটি নাটকের প্রচার মোটেও কাম্য নয়। যদি আমাকে ইত্যাদির ঐতিহ্যমণ্ডি আগের সময় না দেওয়া হয় তাহলে আমি এ অনুষ্ঠান প্রচার করব না।'

এমির মৃত্যু নিয়ে রহস্য

অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে পপসিঙ্গার এমির মৃত্যু হয়েছে, এমন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছেন এমির পরিবার। সম্প্রতি তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কোনোরকম অবৈধ মাদক গ্রহণ করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে এমির পারিবারিক মুখপাত্র ক্রিস গুডম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'এমির পরিবারের সদস্যদের কাছে তার টক্সিকোলজি পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, মৃত্যুকালে তার শরীরে কোনোরকম অবৈধ মাদকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার রক্তে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও, এটাই যে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।' অগোছালো জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলেও 'রিহ্যাব, স্ট্রংগার দ্যান মি' সহ অসংখ্য হিট গান উপহার দিয়েছেন অকাল প্রয়াত এই ব্রিটিশ শিল্পী।

সমকামী শিল্পা

অভিনয়ের স্বার্থে সব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নানা রূপে দর্শকদের সামনে আসতে হয়, তেমনি মুক্তি প্রতীক্ষায় থাকা 'দ্য ডিজায়ার এ জার্নি অব এ ওমেন' ছবিতে একজন সমকামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড সুপারস্টার শিল্পা শেঠী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানান, সিনেমার গল্পের স্বার্থেই আমাকে এরকম দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। অভিনয়ের খাতিরে কিংবা চরিত্রের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যাওয়ার স্বার্থে যে কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি কখনোই কুণ্ঠাবোধ করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দ্য ডিজায়ার সিনেমায় শিল্পার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চীনা অভিনেতা জিয়া ইউ। ছবিতে শিল্পা অভিনয় করছেন 'গৌতমি' নামের ১৭ বছরের তরুণীর চরিত্রে।

বাংলা শিখছেন রনবীর

কিংবদন্তি গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারের আত্মজীবনীমূলক ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করবেন রনবীর কাপুর। অভিনয়ের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলা শিখতে শুরু করেছেন। যদিও ছবিটি হিন্দি ভাষায়ই তৈরি হবে, কিন্তু কিশোর কুমার হিন্দি এবং বাংলা মিশিয়ে কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন। পরিচালক অনুরাগ বাসু কিশোরের চরিত্রের এই দিকটিও তার ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে চান। আর তাই রনবীরকে বাংলা শেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, পরিচালকের পরামর্শে বাংলা শেখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রনবীর। সম্প্রতি কলকাতায় 'বরফি' ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। ছবির সেটে মাঝে মাঝেই তিনি বাংলা বলার চেষ্টা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলা ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য একজন বাংলার শিক্ষক রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

Thursday, August 25, 2011

দেখলাম, কিছু মানুষ কাঁদছে!

খেলোয়াড় হিসেবে অনেকবারই জিম্বাবুয়েতে গেছেন। নির্বাচক হিসেবে দলের অভিভাবকদের একজন হয়ে গেলেন এই প্রথম। এবারের জিম্বাবুয়ে সফরের অন্য রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক হাবিবুল বাশার
 খেলোয়াড়ি জীবনে অনেকবারই জিম্বাবুয়ে সফর করেছেন। নির্বাচক হিসেবে দলের সঙ্গে গেলেন এই প্রথম। অভিজ্ঞতাটা কেমন?
হাবিবুল বাশার: সম্পূর্ণ অন্য রকম অভিজ্ঞতা, একদমই আলাদা। ফলাফল ভালো হলে আরেকটু উপভোগ করতাম। তবে আমার যে অংশটা ছিল, সেটা ঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি।
 আগের সফরগুলোর সঙ্গে এই সফরের মূল পার্থক্যটা কোথায় দেখলেন?
হাবিবুল: সত্যি বলতে কি, খেলোয়াড়দের আপনি যত ঘনিষ্ঠই হন, নির্বাচক হলে সম্পর্কটা একটু হলেও অন্য রকম হয়ে যায়। আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যেভাবে সময় কাটিয়েছি, নির্বাচক হওয়ার পর তো আর সেভাবে কাটানো যায় না। নির্বাচক যখন হয়ে গেছি, ভূমিকা তো বদলাবেই।
 জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারার মূল কারণ কী মনে হয়েছে?
হাবিবুল: জিম্বাবুয়ে খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছিল। খুব ভালো পরিকল্পনাও ছিল ওদের। আমাদের এই দলটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারার অভিজ্ঞতা তেমন নেই। সম্ভবত একটু হলেও আমরা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম...জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেটা হয় আরকি! কিছু বোঝার আগেই তাই ম্যাচ হেরে গেছি। যখন বুঝতে পেরেছি, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
 প্রস্তুতির ঘাটতির কথাও বলা হচ্ছে। কোনটাকে বড় কারণ বলবেন—স্বল্প প্রস্তুতি, নাকি আত্মতৃপ্তিতে ভোগা?
হাবিবুল: প্রস্তুতির একটা ব্যাপার তো ছিলই। তবে আমরা বোধ হয় চিন্তাই করিনি যে জিম্বাবুয়ে আমাদের এভাবে হারাতে পারে। একটু হলেও ওদের হালকাভাবে নিয়েছিলাম, যেন ওদের বিপক্ষে খেললেই জিতে যাব। প্র্যাকটিস ম্যাচে হারের পরও একই রকম মনোভাব ছিল। আসলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই দলটা এ রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই এসেছে। এক আশরাফুল ছাড়া বোধ হয় কারোই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এভাবে হারার অভিজ্ঞতা নেই।
 সিরিজ হারে তাহলে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতাই বড়, নাকি জিম্বাবুয়ে দল হিসেবে বেশি ভালো খেলেছে?
হাবিবুল: দুটোই। দল হিসেবে জিম্বাবুয়ে খুবই ভালো খেলেছে। ২০০৪ থেকে ২০১১—এই সাত বছরে ওদের এত গোছানো ক্রিকেট খেলতে দেখিনি আমি। জয়ের আকাঙ্ক্ষাও আমাদের চেয়ে ওদের অনেক বেশি ছিল। একই সঙ্গে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি।
 মাঠের বাইরে দলের মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
হাবিবুল: হারলে এ রকম আলোচনা ওঠে। বিশেষ করে, যে সিরিজে জেতার প্রত্যাশা বেশি থাকে, সেটা হারলে এ রকম হবেই। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সব দলের ক্ষেত্রেই হয়। তবে যতটুকু দেখেছি, আমার চোখে এমন কিছু পড়েনি।
 ছয় বছর পর জিম্বাবুয়ে টেস্টে ফিরল। এ নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে কেমন উ ৎ সাহ দেখলেন?
হাবিবুল: এর আগেও বার চারেক জিম্বাবুয়েতে গিয়েছি। ক্রিকেট নিয়ে এত আকর্ষণ, মিডিয়াতে এত কাভারেজ কখনো দেখিনি। সিরিজ জেতার পর একটা পত্রিকার পুরো পাতাই ছিল জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে। জিম্বাবুয়ের জন্য এটা অন্য রকম। প্রতিটা ম্যাচ খুব ভালো কাভারেজ পেয়েছে মিডিয়ায়। তৃতীয় ওয়ানডেটা আমি প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে দেখছিলাম। জিম্বাবুয়ে জেতার পর দেখলাম, কিছু মানুষ কাঁদছে!
 পরশু রাতে দেশে ফিরে তো ঠিক উল্টো দৃশ্য দেখতে হলো! বিমানবন্দরে ঝাড়ু মিছিল করল একদল তরুণ...
হাবিবুল: বিমানবন্দর থেকে অন্য দিক দিয়ে বের হওয়ায় এটা আমার চোখে পড়েনি। পরে টেলিভিশনের খবরে দেখেছি। এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই। এখানে কিছু বলাটাই শোভনীয় মনে হচ্ছে না। খারাপ খেললে আপনি অবশ্যই সমালোচনা করবেন। কিন্তু যেভাবে তারা এটা করেছে, এ ব্যাপারে আসলে কিছু বলার নেই।

ঝিনাইদহে অপহরণের পর এসআইকে হত্যা


মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিরাজুল ইসলাম মোহনকে (৪৩) অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। একই রাতে মহেশপুর উপজেলার জিন্নাহনগর গ্রামের নিজবাড়ির পাশেই শিউলী খাতুন নামে এক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহে চার খুনের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম পিপিএম (সেবা) জানান, এসআই মিরাজুল ইসলাম (ব্যাচ নম্বর-২৫) মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ থানার দুটি মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করানোর জন্য বের হন। কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাকবাংলা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের কাছে পেঁৗছলে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মিরাজুল ইসলামকে অপহরণ করে। অপহরণস্থল থেকে রাতেই পুলিশ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে উদ্ধার করে। এরপর মিরাজুল ইসলামকে খোঁজাখুঁজি করা হয়, কিন্তু পাওয়া যায়নি। সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ভেটেরিনারি কলেজের পূর্বপাশে প্রতাপপুরে একটি ডোবার ধারে কলা গাছের রশি ও গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ এলাকাবাসী দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার কাছে থাকা ওয়াকিটকি, দুটি মোবাইল ফোনসেট, একটি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ধারণা করছে, মিরাজকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে।
নিহত মিরাজুল ইসলাম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শেখপাড়া বিহারিয়া গ্রামের মৃত আজহার আলীর ছেলে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক রমা রানী রায় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা হাসপাতাল মর্গে তাকে দেখতে ছুটে যান।
অন্যদিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জিন্নাহনগর গ্রামের বিশারত আলীর মেয়ে ও জিন্নাহনগর প্রি-ক্যাডেটের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী খাতুন বাড়ির পাশের একটি টিউবওয়েল থেকে পানি আতে যান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার পেছন দিক থেকে কুপিয় হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।