Sunday, May 1, 2011

কেঁচো খুঁড়লে সাপ বের হবে

কোচ জেমি সিডন্স দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের কোচ মানেই সে খেলার সঙ্গে ভালোমতো জড়িয়ে যাওয়া। কোনটা ভালো বা খারাপ তা তিনি কাছে থেকেই দেখতে পান। জেমি ক্রিকেটারদের যেমন ধমক দিয়েছেন তেমনিভাবে কাছেও টেনেছেন। বিশ্বকাপ ছাড়াও বাংলাদেশ বেশ ক'টি ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ খেলেছে সিডন্সের প্রশিক্ষণে। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও এসেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিসিবি তার সঙ্গে নতুন আর চুক্তি করেনি। এ জন্য এখন নতুন মুখ খোঁজা হচ্ছে। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে নতুন কোচের সন্ধান মিলে যাবে। সিডন্স কোচ নেই বলে তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না তাতো হতে পারে না। দেশি-বিদেশি মিডিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে তার কাছে অনেক কিছু জানতেই পারে।
নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার ক্রিক্রোনফোকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিডন্স বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বকাপে আশানরূপ ফল না পেলেও তিনি সাকিবদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়মকানুন মেনে চললে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যেত। কিন্তু কিছু বাধা দলকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এর মধ্যে তিনি রাজনীতির প্রসঙ্গ ভালোভাবে টেনেছেন। সাক্ষাৎকারে সিডন্স স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট রাজনীতিমুক্ত নয়। কেন মুক্ত নয় এ নিয়ে সাবেক এ অস্ট্রেলীয় কোচ কোনো খোলাখুলি মন্তব্য করেননি। অথচ রাজনীতি শব্দটি শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সিডন্সের এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কারণ তিনি সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটে কোনো রাজনীতির ছোঁয়া লাগেনি। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, সাবেক কোচ হিসেবে সিডন্স এ ধরনের আপত্তিকর কোনো মন্তব্য করতে পারেন কিনা আইসিসির সঙ্গে আলাপ করার কথা বলেছেন। যদি বিধি ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সিডন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে বিসিবির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে কমবেশি বিতর্ক উঠলেও মুস্তফা কামালের সময় কেউ কিন্তু টু-শব্দ করেননি। কারণ প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকের যে গুণাবলী থাকা দরকার তার পুরোটা ছিল তার ভেতর। অথচ সিডন্সের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান বোর্ড সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সচেতন ক্রীড়ামহল বিস্ময় না হয়ে পারেননি। কেননা কোনো কোচ যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেন বা তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তখন সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে পারে কিনা। দায়িত্ব পালনের সময় বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়ার পর সে তো স্বাধীন। যেকোনো মিডিয়াতে তিনি যে কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। এখন সিডন্স তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা বলতেই পারেন। এখানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠবে কেন? তছাড়া আহম মুস্তফার মতো জ্ঞানী সংগঠক কিভাবে বলেন, তিনি ব্যাপারটি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কথা বলবেন। তাছাড়া তিনি নিজে তো আইসিসির বড় পদে বসে আছেন। তার তো ভালোমতো জানা আছে আইসিসি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সাবেক কোনো কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা।
আর সিডন্স যে অভিযোগ তুলেছেন তা কি পুরোপুরি মিথ্যা। রাজনীতি কি ক্রিকেটের মধ্যে নেই। সংগঠকরা সব সময় বড় গলায় বলেন, ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে কি তাই। বাংলাদেশে প্রতিটি ফেডারেশনে তো রাজনীতি মহামারী আকারে ধারণ করেছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদেরই লোকদের দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন শাসন করা হয়। আর ক্রিকেট যেহেতু সম্মান আসনে বসে গেছে সেখানে তো রাজনীতি আরও বেশি হয়। বোর্ড সভাপতি হয়তো নিরপেক্ষ থাকতে চাচ্ছেন। তারপরও কি ক্রিকেট রাজনীতির বাইরে থাকছে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশে লোকাল আয়োজন কমিটির প্রধান দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তার কি কোনো যোগ্যতা ছিল এত বড় দায়িত্ব পালনে। বর্তমান বোর্ডে তো আরও যোগ্য সংগঠক ছিলেন। তাদের পরিবর্তে অযোগ্য ও বিতর্কিত একজনকে লোকাল আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান করা হলো কিভাবে। এখানে কি রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেই তো অন্য যোগ্য সংগঠকদের পাশ কাটানো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, বোর্ড সভাপতি নিজেই তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। সিডন্স তো শুধু রাজনীতির কথা উচ্চারণ করেছেন। কিভাবে ক্রিকেটকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তাতো বিস্তারিত খুলে বলেননি। এখন তার ওপর বোর্ড সভাপতি যেভাবে ক্ষেপেছেন তাতে আগামী কোনো সাক্ষাৎকারে সিডন্স যদি কিভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তখনতো মনে হয় কেঁচোর গর্ত থেকে সাপ বের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশ্বকাপে দল গঠন নিয়েতো কম রাজনীতি করা হয়নি। বর্তমান বোর্ডের অনেক পরিচালকই তা স্বীকার করেছেন। সিডন্স সেই সব নোংরামি তুলে ধরলে বিশ্ব দরবারে ক্রিকেট বোর্ডের ইমেজ কি আর থাকবে। আকরাম, নান্নু, বাশারের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন সিলেকশন কমিটি গঠন হয়েছে। তারপরও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা। কেননা বোর্ড বরাবরই দল গঠনে হস্তক্ষেপ করে থাকে। কে যোগ্য তা বড় নয়_আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা গুরুত্ব দিয়ে অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে সিডন্স বললে দোষ কোথায়। ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে তারপরও আরও এগুতে পারত যদি না কর্মকর্তারা রাজনীতির পথ বেছে না নিতেন।

বাংলার বাঘ ও বাঘিনীর নাম উইলিয়াম-কেট!

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারি উইলিয়াম-কেটের বিয়ে নিয়ে যখন বিশ্বে বইছে আনন্দের ঢেউ তখন ব্রাজিলের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক জোড়া বাঘ-বাঘিনীর নাম রেখেছেন উইলিয়াম-কেট। বাস্তবে যেমন উইলিয়াম কেটের চেয়ে বয়সে ছোট তেমনই বাঘিনী কেটের চেয়ে বাঘ উইলিয়াম ছোট। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এ উইলিয়াম-কেট দুটি হচ্ছে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
খবর বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমের।
জানা গেছে, ব্রাজিলের একটি চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সোমবার এগুলো রাজধানী রিও ডি জেনিরোর চিড়িয়াখানায় পৌঁছাবে। আর ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিয়ে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আনন্দের ঢেউ বইয়ে যাওয়ায় এদের নাম উইলিয়াম-কেট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাঘ উইলিয়ামের বয়স চার ও বাঘিনী কেটের পাঁচ। চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেখানে যাওয়ার পর বাঘ-বাঘিনীর মিত্রতা হয়ে যাবে। ব্রাজিলের সবচেয়ে পুরনো চিড়িয়াখানাটি ৬৬ বছর ধরে চলছে। এর আয়তন প্রায় এক হাজার ৩৮ হাজার বর্গমিটার ও এর ভেতরে প্রায় দুই হাজার সরিসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও নানান জাতের পাখি রয়েছে।

আফ্রিদির জয়গান

নিজেদের মাটিতে খেলতে না পারা, অন্তর্কলহ এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট। তার পরও আফ্রিদির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত দুর্দান্ত লড়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশটির ক্রিকেটবোদ্ধারা। পাশাপাশি মিডিয়ায় চলছে আফ্রিদির জয়গান।

Saturday, April 30, 2011

২০ টাকায় লাইন

একগাদা হলদে খাম হাতে অজগরের মতো লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনোয়ার। না, ন্যায্যমূল্যে মোটা চাল কেনার জন্য নয়। মহানগরী ঢাকার জিপিওর ১৩ নম্বর কাউন্টারে দাঁড়িয়েছেন চিঠিতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প লাগাতে। ফ্রাঙ্কিং মেশিনের ঘটাং ঘটাং শব্দে সংকুচিত হয় লাইনের অগ্রভাগ। যতটুকু কমে-পেছনে যোগ হয় তার চেয়ে বেশি। তাই এ সারি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে_ এমনটি আশা করা যায় না। সারির অগ্রজের কাজ শেষ হয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে। ২৭ মিনিটের মাথায় শেষ হয় রাশেদের কাজ। অথচ কুরিয়ার সার্ভিসে এটি পাঁচ-সাত মিনিটের ব্যাপার। সময়ের চড়া দামে অর্থ সাশ্রয়। অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী সারির সিরিয়াল ১০-২০ টাকায় বিক্রি করেন। অভিযোগ বাক্স থাকলেও এটির গায়ে ধুলোর স্তর জমে আছে। ধুলোতে বাক্সের ওপর লেখা 'অভিযোগ' শব্দটি ঢেকে গেছে। দু-চার মাসের মধ্যে খোলা হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বিশাল এ ভবনে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। ৫৫টি কাউন্টারের বেশির ভাগেই ব্যস্ততা ও ভিড় লেগে থাকতে দেখা গেছে। অস্তিত্বের লড়াইয়ে ২২টি সেবা দিতে হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, প্রাইজ বন্ড বিক্রি ও ভাঙানো, মানি অর্ডার ও পোস্টাল অর্ডার ইস্যু। আরও রয়েছে যানবাহন কর আদায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, চিঠি রেজিস্ট্রেশন, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডাকমাশুল ও স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা অন্যতম।
এসব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ৬টা পর্যন্ত চলে সান্ধ্যকালীন কার্যক্রম। অন্য রকম পরিবেশ। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টি কাড়ে বিরাট হলরুমে মানুষের ছোটাছুটি। কেউ লাইনে দাঁড়ানো, কেউ খাম হাতে ছুটছেন আঠার সন্ধানে। কেউ বা পূরণ করছেন ফরম। কেউবা গন্তব্যের ঠিকানায় শেষবারের মতো বুলিয়ে নিচ্ছেন চোখ।
তরুণ-যুবা-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্থান জিপিও। আগে চাপ আরও বেশি ছিল। প্রযুক্তির উন্নয়নে কমেছে অনেকটা। তারপরও লোকজনের কমতি নেই। লম্বা কাচের দেয়ালঘেরা অসংখ্য কাউন্টার। ধানমন্ডির বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কানাডায় পার্সেল করার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়াই। পরে এক কর্মচারীর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়েছে। জিপিওতে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আসবাব। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নিচতলার একপাশে গন্তব্যভেদে স্থাপিত লাল-নীল-হলুদ ডাকবাক্স। দেয়ালে নানা নির্দেশিকা। পোস্টাল মিউজিয়াম পরিদর্শন করুন। উত্তম সেবা প্রদানে সহযোগিতার জন্য লাইনে দাঁড়ান। পোস্টকোড ব্যবহার করুন। চিঠি লিখুন। হেল্প ডেস্ক একটি থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকটি ব্যস্ত অন্য কাজে। ডাক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ বিন তারেক বলেন, সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয়। সেজন্য কিছুসময় বেশি লাগতে পারে। ডাক গ্রহণ ও বিলি প্রধান কাজ। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার চিঠি গ্রহণ করতে হয়, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড চার হাজারের মতো। অবশিষ্ট আড়াই হাজার বৈদেশিক চিঠি।

ভিনাকে প্রত্যাখ্যান

বলিউডে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রণয়ঘটিত ব্যাপারে জড়ানো নতুন কিছু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় অভিনেতা আসমিতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী ভিনা মালিক। শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে প্রেমে মজেছেন তারা। নিত্যনতুন গুঞ্জন ছড়িয়ে মুখরিত রেখেছেন মিডিয়াকে। কিন্তু সফল সমাপ্তি হলো না তাদের প্রেমের কাব্যের। শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল এ সম্পর্ক। শোনা যায়, ভিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আসমিত নিজেই।

শেবাগের সরল স্বীকারোক্তি

আইপিএলে নিজেদের নামের যথার্থতা মেলে ধরতে পারছে না দিলি্ল ডেয়ারডেভিলস। এ পর্যন্ত সাতটি ম্যাচের পাঁচটিতেই পরাজয়বরণ করেছে। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক শেবাগ বলেছেন, দলের এই করুণ অবস্থার জন্য আমার ব্যক্তিগত পারফরমেন্সও কিছুটা দায়ী। বিশ্বকাপের পর এখনো মেলে ধরতে পারিনি নিজেকে। আসরে এ পর্যন্ত একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরির মুখ দেখেছি। আশা করছি পরবর্র্তী ম্যাচগুলোতে ভালো খেলব।

রাজ্জাকের মেয়ে তমা মির্জা

নায়করাজ রাজ্জাকের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। অনন্ত হীরা পরিচালিত 'আমার দেশের মাটি' চলচ্চিত্রে এই দুই শিল্পী গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। তমা বলেন, 'আমার সৌভাগ্য রাজ্জাক আঙ্কেলের মতো একজন জীবন্ত কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করতে পারছি। তার মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছি আমি। তিনি একজন ডাক্তার। আমরা হিন্দু পরিবার।' চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, আমি ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। আমার বাবার বন্ধু সোহেল রানা। তারা দু'জন একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সোহেল রানা আঙ্কেলের ছেলে আমিন খানের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। কিন্তু তারা মুসলিম। আমাদের প্রেমের মাঝে ধর্ম, পারিবারিক, সামাজিক সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শুরু হয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত। চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগুতে থাকে চলচ্চিত্রটির গল্প।' তমা মির্জা জানান, ২৪ এপ্রিল থেকে বিক্রমপুরে এ চলচ্চিত্রের দুটি গানের শুটিং চলছে। এতে তিনি ও আমিন খান অংশ নিচ্ছেন। রোমান্টিক ধারার এই গান দুটোর কথা হচ্ছে 'বড় সাধ জাগে কানে কানে বলি তুমি যে আমার' এবং 'আমার দুই নয়নের জন্ম শুধু তোমায় দেখব বলে'।

এবার সালমান-অসিনের রোমান্স!

বলিউডে সালমান বেশ ক্ষমতাশালী অভিনেতা। কোনো ছবিতে অভিনয় করতে গেলে তিনি নিজের বিপরীতে অভিনেত্রীও ঠিক করে দেন। বিনিময়ে সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে কিছুদিনের জন্য প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঐশ্বরিয়া রাই-ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তার সম্পর্ক এভাবেই। এবার তিনি অসিনকে নিজের নায়িকা বানিয়েছেন। আগামী ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে আনিস বাজমি পরিচালিত এই জুটির ছবি 'রেডি'। ছবি হিট-ফ্লপের হিসাবের থেকেও বড় আলোচনায় এখন, তাদের প্রেম নিয়ে। প্রেম কী হচ্ছে? দেখা যাক।

Friday, April 29, 2011

চ্যানেল আইতে সরাসরি প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে

প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে আজ। কনে কেট মিডলটন। উইলিয়ামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। তাদের সম্পর্কের বয়স প্রায় ১০ বছর। হাজার বছরের পুরোনো স্থাপত্য ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হবে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে ডায়ানার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। জমকালো এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা থেকে টানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। আর পুরো অনুষ্ঠানটি একটানা সরাসরি সমপ্রচার করবে চ্যানেল আই। ধারণা করা হচ্ছে টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন।
এরই মাঝে উইলিয়ামের বিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। তাই চ্যানেল আইয়ের মতো অনেক বিদেশী চ্যানেল এই বিয়ের আসর সরাসরি সম্প্রচার করবে। আগ্রহী মানুষদের রাজকীয় বিয়ের স্বাদ দিতেই সরসারি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেলগুলো।

লারা ডুবছেন আর ভাসছেন


বলিউড অভিনেত্রী লারা দত্ত ডুবছেন আর ভাসছেন। তার এ দশা হয়েছে নিজের ক্যারিয়ারকে কেন্দ্র করে। কখনো তিনি জনপ্রিয়তা হাতের মুঠোয় বন্দী করে ভেসে বেড়াচ্ছেন, আবার কখনো সমালোচিত হয়ে সব খুইয়ে তলিয়ে যাচ্ছেন অতল গভীরে। তাই তিনি মানসিকভাবে শান্তি আর অশান্তির টানাটানিতে আছেন। সম্প্রতি তার নতুন ছবি 'চলো দিলি্ল' নিয়ে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। শুরুতে নিজের অভিনীত-প্রযোজিত এই ছবির প্রচারণায় গিয়ে লারা মনে করেছিলেন, দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কিন্তু ছবিটির মুক্তির তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে লারা ততই ফ্লপের হাতছানি দেখতে পাচ্ছেন। ছবিটি যদি সত্যিই ফ্লপ হয় তাহলে বিবাহিতা লারার ক্যারিয়ার তো ডুববেই, সঙ্গে আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।