Monday, April 25, 2011

যশ চোপড়াকে প্রাণনাশের হুমকি

বলিউডের পর্দায় মাফিয়া নেতাদের পেশি দেখানোর ঘটনা নতুন বিষয় নয়। দলবল নিয়ে তারা মুম্বাই শহর চষে বেড়ায়, সমাজের বিখ্যাত ও ধনী মানুষের কাছ থেকে মোটা টাকার 'চাঁদা' আদায় করে। খুব কুখ্যাত মাফিয়া নেতা হলে দুবাই বা করাচি থেকে মুম্বাইয়ে নিজের সাম্রাজ্যের কলকাঠি নাড়ে। মোটকথা, তাদের চটিয়ে কেউই পার পান না। এমন দুঃসাহস দেখালে খুঁজে পাওয়া যায় তাদের লাশ। কিন্তু এসব শুধু কাহিনী নয়, বাস্তবেও মাফিয়া নেতাদের প্রভাব প্রতিপত্তি কম নয়। মাঝে মাঝেই সেটা টের পাওয়া যায়। যেমনটি বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক যশ চোপড়া এ মুহূর্তে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। রবি পূজারী নামের এক গুণ্ডা নাকি তাকে ফোনে হুমকি দিয়েছে। যশ চোপড়ার নিরাপত্তার বিনিময়ে সে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। পুলিশ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। যশ চোপড়ার নিরাপত্তা বাড়িয়ে ফোন কলের উৎসের খোঁজ করছে তারা।

ঘাড়ে আঘাত পেলেন শিল্পা

মাঠে নিজের দলের খেলা হবে আর সে খেলায় শিল্পা উপস্থিত থাকবেন না, তা কি হতে পারে। আইপিএল'র মৌসুমে বরাবরই নিজের দলের প্রতিটি ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকলেও সম্প্র্রতি মোহালিতে রাজস্থান রয়ালস এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচের সময় মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। জানা গেছে, ঘাড়ে আঘাতজনিত সমস্যাতেই তার এ অনুপস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা বলেছেন, 'মাঠে গিয়ে নিজের দলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন শিল্পা। কিন্তু ঘাড়ে আঘাত পাওয়ার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তাকে এখন কার্ভিকাল কলার পরে থাকতে হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কোথাও বেড়াতেও যেতে পারবেন না তিনি।' তিনি জানিয়েছেন, 'অবশ্য আরও দশটি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং খেলাগুলো মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবেন।'

দীপিকার রুটি

অভিনয় আর নানা ব্যস্ততার কারণে অনেক সেলিব্রেটিই ঘরের কাজে হাত লাগাতে পারেন না। আর একজন ভারতীয় নারী হয়ে রুটি বানাতে না পারাটা একেবারে মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সমপ্রতি 'অলক্ষণ' ছবিতে রান্নার দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। দৃশ্যটিতে রুটি বানাতে গিয়ে দীপিকা অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কারণ কোনোভাবেই রুটির আকারটিকে গোল করতে পারছিলেন না।
বিচিত্রসব আকার ধারণ করছিল রুটিগুলো। এক পর্যায়ে দীপিকা হাল ছেড়ে দেন এবং ছবির পরিচালককে রুটির পরিবর্তে অন্য কোনো খাবার তৈরির দৃশ্য ধারণের অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিচালক তার সিদ্ধান্তে অনড় এবং দীপিকার রুটি বানানোর যুদ্ধও চলতে থাকে।

পাপারাজ্জি ভাড়া

নানা কায়দায় চমক দেখাতে চান মলি্লকা শেরাওয়াত। এবার নিজের প্রচারণা বাড়ানোর জন্য পাপারাজ্জি ভাড়া করলেন তিনি। হলিউড তারকাদের পেছনে এমনিতেই সবসময় লেগে থাকে পাপারাজ্জিরা। যে যত বড় তারকা, তার পেছনে থাকে তত ক্যামেরা। এ অবস্থায় হলিউডে নিজের প্রচার বাড়াতে এক বন্ধুকেই পাপারাজ্জি হিসেবে ভাড়া করলেন মলি্লকা। জানা গেছে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে এক ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে দেখা গেছে মলি্লকাকে। একটু পর সেই ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা নিয়ে তাকে অনুসরণ করতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই ক্যামেরাম্যান কোনো পাপারাজ্জি নয়, মলি্লকার এক বন্ধুবর!

নতুন বিজ্ঞাপনে শম্পা

সুপার হিরোইন শম্পা নতুন একটি বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করলেন। টমি চাটনির এই বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু হয়েছে বুধবার কক্সবাজারে। দুদিন চলবে এর নির্মাণকাজ। বিজ্ঞাপন চিত্রটি নির্মাণ করছেন আজমান মাসুদ। শম্পার বিপরীতে মডেল হিসেবে রয়েছেন সুপার হিরো রোজ। এদিকে বোটানিক অ্যারোমা পণ্যের নতুন আরেকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শম্পা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এর শুটিং শুরু হবে। তার সঙ্গে থাকবেন সুপার হিরো সাগর। উল্লেখ্য, গত মার্চে শেষ হওয়া বোটানিক অ্যারোমার অন্য একটি বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন শম্পা।

অভিনয়ে ফিরলেন তনিমা

'সরল সত্য' শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে দুই বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন তনিমা হামিদ। বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মাণাধীন নাটকটি রচনা করেছেন আবু আল-সাঈদ।
এ প্রসঙ্গে তনিমা জানিয়েছেন, 'শেষবার দুই বছর আগে 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। মাঝখানের সময়টাতে মা হওয়ায় কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করিনি।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'মূলত আবু আল-সাঈদের অনুরোধেই আবারও অভিনয় শুরু করলাম। তবে এ নাটক ছাড়া আপাতত আর কোনো কাজ করছি না।'
একাত্তর-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্ণনীয় কষ্টই এ নাটকের উপজীব্য বিষয়। উল্লেখ্য, তনিমা অভিনীত 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' নাটকটি বর্তমানে আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে।

চলচ্চিত্র অভিনয়ে বাপ্পা

সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার সমপ্রতি আবীর শ্রেষ্ঠ পরিচালিত ফেরারী ফানুস চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী রওনক হাসানকে একজন পরিপূর্ণ মিউজিক কম্পোজার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতা করতে দেখা যাবে তাকে। ফেরারী ফানুস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তুষারের সুরে বহুদূরে শিরোনামের একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

মোর্শেদের মফিজ মিডিয়া

মফিজ একজন গীতিকার কিন্তু এলাকায় তার গান কেউ তেমন পছন্দ করে না। অথচ সে পাঁচ বছর ধরে গান গায় এবং ইতোমধ্যেই ৯৮৩টা গান লিখেছে। মফিজের এই দুঃখে এক জন বুদ্ধি দেয় গানের সিডি বের করলে শিল্পীর কদর বাড়বে। এমতাবস্থায় পত্রিকার বিজ্ঞাপন মারফত যোগাযোগ ঘটে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গোলাপী মিডিয়ার সঙ্গে। গোলাপী মিডিয়া মফিজকে শিল্পীর পরিচয়পত্র দেয়-এর পর শুরু হয় মফিজের কদর, এমন কি পছন্দের মেয়েটির ক্ষেত্রেও এক পর্যায়ে মা তার অলঙ্কার দিয়ে সাহায্য করেন মফিজকে, অলঙ্কার বিক্রির টাকা দিয়ে গোলাপী মিডিয়ার মারফতে গানের রেকর্ডিং শুরু হয়। মোবারক হোসেনের রচনায় এবং ম ম মোর্শেদের পরিচালনায় 'মফিজ মিডিয়া' শিরোনামের নাটকের গল্পটি এগিয়ে চলে এমনি করে। এতে অভিনয় করেছেন ঝুনা চৌধুরী, সীমানা, সিদ্দিক, ম ম মোর্শেদ, হাসি আপা, পরশ প্রমুখ।

সজল-শখ জুটি

প্রায় এক বছর পর আবারও জুটি হয়ে অভিনয় করলেন সজল ও শখ। 'শেষ চিঠি' নামের নাটকটি ফরহাদ লিমনের রচনা ও যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন জয়ন্ত মণ্ডল এবং সাজ্জাদ সনি। নাটকে সীমান্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল এবং রায়া চরিত্রে শখ। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে সজল বলেন, 'শখ অনেক ভালো অভিনয় শিল্পী। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রতিটা কাজকেই শখ খুব সহজেই গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারে। আশা করি, দর্শকরা আমাদের জুটি আগের চেয়ে ভালো উপভোগ করবে।'

সুবর্ণার স্বামী সাজু

'কমল বিবির অতিথিশালা এবং কানা সিরাজউদ্দৌলা' নামের একটি ধারাবাহিকে সুবর্ণা মুস্তাফার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তরুণ অভিনেতা সাজু খাদেম। নাটকটি রচনা করেছেন মুনতাসির বিপন এবং পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ। এ প্রসঙ্গে সুবর্ণা মুস্তাফা জানান, সাজু অনেক ভালো অভিনেতা। তার ভালো একটি গুণ আছে। আর তা হলো, সে যে কোনো অভিনয়ের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আশা করছি, নাটকটি ভালো লাগবে। কমেডিধর্মী এই ধারাবাহিকে অভিনয় প্রসঙ্গে সাজু জানান, আমি সুবর্ণা আপার সঙ্গে এর আগেও অভিনয় করেছি। কিন্তু এ নাটকে আমার আর সুবর্ণা আপার চরিত্রটি একটু ভিন্ন। তার সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করতে পেরে ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, 'নাটকটিতে আমি একজন অন্ধ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকে অন্ধ ব্যক্তিটি নিজেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো প্রতাপশালী মনে করেন। এ জন্য তার বাসায় যে কোনো অতিথি এলেই তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান। তবে তার স্ত্রী কমল বিবি বিষয়টি ভালোভাবে নেন না। ফলে দু'জনের মধ্যে এক ধরনের রেষারেষি লেগেই থাকত। এমনি করে চলতে থাকে নাটকের গল্প। নাটকটির শুটিং চলছে। এটি প্রচার হবে এটিএন বাংলায়।