Monday, April 18, 2011

উইলিয়াম-কেটের বিয়েতে মি. বিন

বিশ্বের সাড়াজাগানো কৌতুকাভিনেতা ৫৬ বছর বযসী ইংল্যান্ডের রোয়ান অ্যাটকিসন (মি. বিন) ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ফিনল্যান্ডের জনপ্রিয় পত্রিকা ইভিনিং পোস্টের মতে, প্রিন্স উইলিয়ামের পিতা প্রিন্স চার্লসের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে মি. বিন একজন। ২০০৫ সালে প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলা পারকারের রাজকীয় বিয়েতেও মি. বিন আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তা ছাড়া রোয়ান অ্যাটকিসন প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলা পারকার উভয়ের ৬০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।২৯ এপ্রিল লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টারের ঐতিহাসিক গির্জায় এ রাজকীয় বিয়ে সম্পন্ন হবে। বিশ্বের এক হাজার ৯০০ অতিথি এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

আবারও ভাইবোন

নিজের প্রথম অ্যালবাম শ্রোতাপ্রিয় হওয়ার পর বোন জুলির প্রথম অ্যালবাম করেন বালাম। 'বালাম ফিচারিং জুলি' নামের সেই অ্যালবামে বোনের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দেন দুটি গানে। এরপর জুলির 'স্বপ্নের পৃথিবী' অ্যালবামেও চারটি গান দ্বৈত গেয়েছিলেন বালাম। এবার বালামের অ্যালবামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিতে যাচ্ছেন জুলি। আসছে রোজার ঈদে বাজারে আসবে বালামের অ্যালবামটি। সেই অ্যালবামে থাকছে গানটি। 'জুলির সঙ্গে গান গাওয়াটা আমি সব সময়ই উপভোগ করি। এবার ভিন্ন আঙ্গিকের একটি গান করছি দুজনের কথা মাথায় রেখে', বললেন বালাম। জুলি বলেন, 'নানা ব্যস্ততার কারণে গত দুই বছর নতুন কোনো গান প্রকাশিত হয়নি। ভাইয়াকে বলেছি মিষ্টি একটি গান তৈরি করতে।' অ্যালবামে এ গানটি ছাড়াও আরো দু-একজন শিল্পীর সঙ্গে দ্বৈত গাইবেন বালাম।
পহেলা বৈশাখে বাজারে আসার কথা ছিল বালামের নতুন অ্যালবাম। বউয়ের অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত সময় পিছিয়ে দেন বালাম।
উল্লেখ্য, গত বছর মা হন জুলি। আর এ বছর বাবা হয়েছেন বালাম। দুই শিশুকে নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে আজকাল খুনসুটিও হচ্ছে বেশ

হট গার্ল ইয়ানা ( Hot Girl Yana Gupta)

মুনি্ন ও শিলাদের ভিত কাঁপাতে আবারও বলিউডের গানে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ইয়ানা গুপ্তা। 'বাবুজি... জারা ধীরে চলো' খ্যাত ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেকপ্রজাতন্ত্রের এই অভিনেত্রী নিজেকে শীর্ষ আইটেম গার্ল বলে দাবি করেন। তার মতে, ফিল্মপাড়ার সবচেয়ে আবেদনময়ী আইটেম গার্ল তিনি। অভিনয়ে উত্তাপ ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে কোনো অভিনেত্রীর চেয়ে তিনি এগিয়ে। এরকম চরিত্রে তার সামনে আর কেউ নেই

দুই পকেটমার

মফস্বলের এক বৈশাখী মেলা থেকে পকেট মারে তাজিন আহমেদ আর হুমায়রা হিমু। যে লোকের পকেট তারা মারে তার পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি মানিব্যাগ আর একটি মোবাইল। মানিব্যাগে ছিল ওই লোকের একটি বাচ্চার ছবি। সে ছবি দেখে তাজিনের অতীতের কিছু ইতিহাস মনে পড়ে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয়, জিনিসপত্রগুলো ওই লোকের কাছে ফিরিয়ে দেবে। এমনি করে চলে নাটকের গল্প। সাইফুল বারীর গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন ওমর ফারুক এবং পরিচালনা করেছেন শাহাদত আলম ভুবন। 'এক মেলা দুই পকেট' শিরোনামের নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত। নাটক প্রসঙ্গে হিমু জানান, জামিলা আর কামিলা গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। ভাগ্যের পরিহাসে আজ তারা পকেটমার। তবে অন্য পকেটমারের চেয়ে তারা কিছুটা ব্যতিক্রম। আশা করি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।

দুধের ইউনিয়ন কানিহারি

চরবাঘাদারিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৩৫)। ছয়-সাত বছর আগে মোস্তফার সংসারের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। কৃষিকাজের পাশাপাশি মহিষ ও গাভী পালন শুরু করেন তিনি। মহিষ আর গাভীর দুধ বিক্রি করে গোলাম মোস্তফার এখন হয়েছে পাকা বাড়ি। অর্থনৈতিকভাবে তিনি এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে গোলাম মোস্তফার দুধেল ৬টি মহিষ রয়েছে। শুধু গোলাম মোস্তফা নয়, গফরগাঁও-ময়মনসিংহ খানবাহাদুর ইসমাইল রোডের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের প্রায় ১৪টি গ্রামকে বলা চলে দুধের গ্রাম। চরবাঘাদারিয়া, ডাকবাঘাদারিয়া, বাঘাদারিয়া, থাপনহালা, গোবিন্দপুর, দেওপাড়া, কুষ্টিয়া, সুলতানপুর, বেরতা, তালতলা, কানিহারি, বরকান্দা ও বহুলিয়াকান্দা গ্রামসহ পুরো ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার পরিবার মহিষ ও গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। তবে একটু সম্পদশালী মানুষ কৃষি কাজও করে। এ ইউনিয়নের নতুনবাজার ও আহম্মদাবাদ বাজারে প্রতিদিন বসে দুধের হাট। বেপারিরা দুধ কিনে নিয়ে যায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন ভোর থেকেই দুধওয়ালা বেপারিরা কাঁধে বার নিয়ে ছুটে চলে দুধ ক্রয় করতে। গত মঙ্গলবার কথা হয় দুধ বেপারি রমজান মিয়ার (৪৫) সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিদিন নতুন বাজার ও আহম্মদাবাদ বাজার থেকে প্রায় দুই আড়াইশ মণ দুধ বিক্রি হয়। কানিহারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রতন বলেন, দুধ ব্যবসায়ী সমিতির রেজিস্ট্রিভুক্ত সদস্য সংখ্যা শতাধিক। গাভী ও মহিষ পালন করতে খরচের তুলনায় দুধের দাম কম পায় পালনকারীরা। এছাড়া দুধের দাম প্রায় সময় উঠানামা করে। এখন অবশ্য দুধের দাম একটু ভালো বলে তিনি জানান। আহম্মদাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের আহম্মদাবাদ রেলস্টেশনে কয়েকটি ট্রেন থামত। বর্তমানে একটি ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে। তাও এই ট্রেন কখন আসে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বিভিন্ন স্থানে দুধ পরিবহনে সমস্যা হয় তাদের। চরবাঘাদারিয়া গ্রামে মহিষ ও গাভী পালন করেন মফিজ উদ্দিন। বর্তমানে তার ৩৫টি মহিষ রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন এসব মহিষ ও গাভী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে চরে দলবেঁধে নিয়ে যেতে হয়। নাজনীন (২৫) নামে এক গৃহবধূ। তার স্বামী ছাদিকুর রহমানকে দুধেল গাভী পালনে সহায়তা করেন। এমনকি দুধ দোহানোর কাজ করেন গ্রামের অনেক গৃহবধূ। গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপাড়ে শত শত মহিষের বাতান। গাভী ও মহিষ পালনে ব্যস্ত রাখালরাও। হতদরিদ্র আ. জব্বারের বাড়িভিটা ও একটি দুধেল মহিষ সম্বল। এ মহিষের দুধ বিক্রি করে চলে সংসার। নতুন বাজারের ব্যবসায়ী হারুন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে এ ইউনিয়নের দুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের সমস্যার সমাধান হতো।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে চায় পাকিস্তান

ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার জন্য যেন উন্মুখ হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। কিছুদিন আগে তাদের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বলেছিলেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে সুযোগ দেওয়া উচিত তাহলে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এবার ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা পাকিস্তান কিংবা অন্য যেকোন দেশে ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান চেয়েছিল টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে। তবে ভারতের ব্যস্ত ক্রিকেট শিডিউলের জন্য তা এ বছর কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ অপারেটিং সুবহান আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ' এ বছর যে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয় তা আমরাও বুঝি। কিন্তু পাক-ভারত ক্রিকেট বন্ধনকে আবারো জোড়া লাগাতে এ বছরের কোন এক সময় পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও পাঁচটি কিংবা তিনটি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করতে আমরা খুবই আগ্রহী।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। তারাও জবাব দিয়েছে। তবে এখন তারা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। তাই আইপিএল শেষ হয়ে গেলে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করব।'

যুবরাজের দিনে দিল্লির জয়

যুবরাজ সিংয়ের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হেরেছে তার দল পুনে ওয়ারিয়র্স। তিন ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেল শেবাগের দিল্লী ডেয়ার ডেভিলস। হেরেও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে পুনে। বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার যুবরাজ তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রয়েছে আইপিএলেও। কাল ৩২ বলে ৬৬ রানের সাইক্লোন ইনিংসের পর বল হাতেও নিয়েছেন চার উইকেট। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন পুনের ওপেনার জেসে রাইডারও। যুবরাজ ও রাইডারের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১৮৭ রান করে পুনে। কিন্তু শেবাগের ব্যাট হাসলে যে দুর্গম পথ হয়ে যায় পুষ্পসজ্জা। তাই কিনা কাল পুনের দেয়া ১৮৭ রানের পাহাড়েও অনায়াসে পেঁৗছে গেল দিল্লী ডেয়ার ডেভিলস। শেবাগ ২৩ বলে করেন ৩৭ রান। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে এক ধাপ উপরে উঠে এলো শেবাগের দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নির্বাচনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ

আগামী মাসে নিজেদের দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-২০, পাঁচটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। দল থেকে বাদ পড়েছেন ক্রিসে গেইল, শিবনারায়ণ চন্দরপল ও রামনরেশ সারওয়ানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। আর জায়গা করে নিয়েছেন অনেকগুলো তরুণ ক্রিকেটার যাদের অনেকেরই এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেকই হয়নি। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে এমন একটি দল নির্বাচনকে ঘিরে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির ক্রিকেটারদের সংগঠন ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডবি্লউআইপিএ)।
ডবি্লউআইপিএ দল নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে প্রধানত দেশ সেরা ওই তিন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার কারণেই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, 'খেলোয়াড় নির্বাচনে সাধারনত গুরুত্ব দেওয়া হয় পারফরমেন্স, প্রস্তুতি ও ফিটনেসের উপর। এটি বেশ উদ্বেগের কারণ যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দল নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অজানা কোন বিষয়। তাই খেলোয়াড়দের অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।'
তবে ডবি্লউআইপিএর এ অস্বচ্ছতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আর্নেস্ট হিলারী বলেন, 'দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্যাপারটি আর কিছুই নয়, বোর্ডের নতুন নির্বাচন নীতি অনুসারে আগামী দুই বছর সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনভিজ্ঞদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই এমনটি করা হয়েছে।'

আবারো ঝলসে উঠলেন সাকিব

বিশ্বকাপে নামের প্রতি সুবিচার করে পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজেও নিজের ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি তিনি। তাই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের মুকুটটিও হারাতে হয়েছে তাকে। আর সেই ক্ষোভেই কিনা আইপিএলে বারবার ঝলসে উঠছেন সাকিব। নিজের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩১ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। গতকাল আবারো সেই রাজস্থানের বিরুদ্ধেই কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে পেলেন ২ দুই উইকেট। তবে গতকাল সাকিবের সামনে সুযোগ এসেছিল হ্যাটট্রিকের। হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও বাংলাদেশের অধিনায়কের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি কলকাতাবাসী। তাছাড়া সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের পরপর দুই ম্যাচে মাঠে নামলেন। এর আগে মাশরাফি ও আশরাফুল একটি করে ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে সাকিবের যে পারফরম্যান্স তাতে পরের ম্যাচেগুলোতেও কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনি যে মাঠে নামবেন _তা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়।
গতকাল কলকাতার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে অলআউট হয় রাজস্থান রয়্যালস। ৩ উইকেট নিয়েছেন কলকাতার বালাজি। ৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের ৩৫ ও মনোজ তিওয়ারির ৩০ রানে ৩৭ বল হাতে রেখেই সহজে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এ জয়ের ফলে কোলকাতা চার খেলায় ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল।

কে হচ্ছেন ক্রিকেটে নতুন কোচ

জেমি সিডন্সের পালা শেষ। আগামী জুন মাসে তার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবে তিনি যে আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সভায় পরিচালকরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেমির বদলে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে। মিডিয়া ম্যানেজার জালাল ইউনুস বলেছেন, এখন থেকেই তারা কোচ খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন। কথা হচ্ছে নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কে? বিদেশি না দেশি কাউকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন, এ ব্যাপারে বিসিবির কেউ মুখ না খুললেও তারা বিদেশি কোচকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তা তাদের কথা-বার্তায় বোঝা যাচ্ছে। বিসিবি নির্দিষ্ট করে কারও নাম উচ্চারণ না করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার খ্যাতনামা ক্রিকেটার জন্ডি রোর্ডসের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বোর্ড সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নাকি ব্যক্তিগতভাবে তাকেই পছন্দ করছেন। অবশ্য বোর্ডের আগ্রহ থাকলেও জন্ডি রাজি হবেন কিনা তা দেখার বিষয় রয়েছে। কেননা বিশ্বকাপের আগে আফ্রিকান এ ক্রিকেটারকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বিসিবি। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে জন্ডি আর বাংলাদেশে উড়ে আসেননি। কোচের তালিকায় নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটারের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আবার বেশ কজন পরিচালক নাকি মত দিয়েছেন দেশের সাবেক কোনো ক্রিকেটারকে কোচের দায়িত্ব দিতে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহত নেওয়া জাতীয় দলের ডেপুটি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম প্রস্তাবও করেছেন কেউ কেউ। গেল প্রিমিয়ার লিগে সুজনের প্রশিক্ষণে আবাহনী শিরোপা জয় করে। তাছাড়া ডেপুটি কোচের দায়িত্ব পালন একেবারে খারাপও করেননি। অনেক ক্রিকেটারই সুজনের কর্মকাণ্ডে ভূয়সী অবশ্য সুজনের দায়িত্বটা স্বল্প না দীর্ঘমেয়াদি হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এ কারণে কিছুদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে সুজন স্পষ্ট করেই বলেছেন, কোচের দায়িত্ব নিতে তার আপত্তি নেই। এ যোগ্যতা তার ভালো মতোই রয়েছে। কিন্তু তাকে দায়িত্ব দিলে বেশ কটি শর্ত দেবেন বিসিবিকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। সুজন বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশি, কোচের ভাষা একটা বড় ফ্যাক্টর, ক্রিকেটাররা অনেক সময় ভাষা বোঝার না কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তো দীর্ঘ দিন ধরেই বিদেশি কোচের প্রশিক্ষণ রয়েছে। কিন্তু মানের দিক দিয়ে তো আহামরি কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি সিডন্সের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চার বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও জেমিতো মানের দিক দিয়ে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। অথচ তার পেছনে অঢেল অর্থতো ব্যয় হয়েছে। যাক দেশি বা বিদেশি হোক ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন নতুন কোচ খুঁজে পাচ্ছে। কথা উঠেছে যিনিই দায়িত্ব পান না কেন, তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে কিনা? অমর নাথ, গ্রিনিজ, হোয়াইটমোর বা জেমি বাংলাদেশ যে কজন আলোচিত কোচ ছিলেন তাদের দায়িত্বে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। তারপর আবার কোচকে কর্মকর্তারা এমনভাবে ব্যবহার করেন যে যোগ্যতা না থাকার পরও তারা কোনো কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেন। যার পরিণামে মাঠে ফলাফর তেমন সুখকর হয় না। সুতরাং দেশের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।