Sunday, April 10, 2011

ডেকানকে উড়িয়ে দিল রাজস্থান


আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেকান চার্জার্সকে উড়িয়ে দিল রাজস্থান রয়েলস। গতকাল তারা ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে। হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে রাজস্থান প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ডেকানকে। ব্যাট করতে নেমে ডেকান শুরুটা ভালো করলেও ৭৭ রানে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে। আর এ চাপ সামাল দিতে তেজা ও ক্রিস্টিয়ান প্রাণপণ লড়েও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা। তেজা ২৮, ক্রিস্টিয়ান ২৬ ও জাগি ২৫ রান করেন। ত্রিবেদি ১৫ রানে এবং অমিত ৩৫ রানে পান ৩টি করে উইকেট। পরে ১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থান বোথার হার না-মানা হাফ সেঞ্চুরিতে বড় জয় পায়। তারা ১৮.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করে। বোথা ৬৭ এবং টেলর ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। স্টেইন ১৮ রানে পান ২ উইকেট। বিজয়ী দলের ত্রিবেদি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এদিকে দিনের অপর ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্সকে ১৬২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে নতুন দল কোচি টুসকার্স।

খালি হাতে ফিরেননি মাশরাফি

দিনটি ছিল মাশরাফির জন্য খুবই অস্বস্তিকর। যেদিন বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া তার জন্য অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বলছিলাম গত বছরের ডিসেম্বরের কথা। আবাহনীর পক্ষে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এরপরের ইতিহাস ভক্তদের সামনেই আছে। সেই মাশরাফি ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে। এবং বেশ ভালোভাবেই। প্রথম দুই ওভারে তিন রান দিয়ে উইকেট নিলেন একটি। ব্র্যাড হাডিন বুঝতেও পারেননি এভাবে বোল্ড হয়ে যাবেন। কিন্তু হলেন তাই। মাশরাফি প্রথম স্পেলে চার ওভার বল করে রান দিয়েছেন ২৬। কিন্তু প্রথম দুই ওভারের মাশরাফিকে সেই পুরনোরূপেই দেখেছেন ভক্তরা। মাশরাফি মোট ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৫। উইকেট নিয়েছেন দুটি। হাডিন ও ক্লার্ককে ফিরিয়েছেন তিনি। মাশরাফিকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইন যতটা শক্তিশালী হয়েছিল তার বেশির ভাগই কেড়ে নিয়েছে শেষ ওভারটি। দলীয় ইনিংসের শেষ ওভারটি করতে এসে মাশরাফি রান দিয়েছেন ১৮। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে মাশরাফি তিন ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ১৪। কিন্তু শেষের দুই ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ২৫! শেষের স্পেলটি বাদ দিলে মাশরাফিকে নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। তিনি যে আলাদা সংযোজন সে কথাই যেন আবারও প্রকাশ পেল গতকাল। তবে সব মিলিয়ে গতকাল বাংলাদেশের বোলিং ভালোই কাজে লেগেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সাতটি উইকেটের পতন ঘটেছে অসি ইনিংসে। সেখান থেকে স্পিনাররাই নিয়েছেন চারটি। আবদুর রাজ্জাক ৫৪ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। সোহরাওয়ার্দী ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ২৭০ রানে আটকে দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। মিরপুরের উইকেট বলে এখানে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একটি সময় মাশরাফিদের সামনে ক্যাঙ্গারুদের দুর্বলই মনে হচ্ছিল।

চাপে নয় স্বেচ্ছায় ছেড়েছি

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরই অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং। পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মিডিয়াতে নানা রকম গুঞ্জন উঠে। অনেকের মতে, দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের চাপে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পন্টিং। বিষয়টিকে অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু কারও চাপে নয়, স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছেড়েছি। এটাই ছিল উত্তম সময়

গম্ভীরের ফিল্ডিং ভাবনা

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে মাত্র দুই রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। পরাজয়ের পরও দলের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোতে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে নতুন করে পরিকল্পনা আঁটছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছেন, ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমরা যথেষ্ট ব্যালেন্সড। কিন্তু মনোযোগ বাড়াতে হবে ফিল্ডিংয়ের দিকে। অন্যথায় চড়া মূল্য দিতে হবে।

My Computer চালু করুন অনেক দ্রুত

আমরা অনেকেই মাই কম্পিউটার খুলতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ি কেননা মাঝে মাঝে দেখা যায় মাই কম্পিউটার চালু হতে অনেক সময় নেয়। যাদের কম্পিউটারে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তারা নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এতে করে আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রথমত, Start Menu -> Run regedit লিখে এন্টার দিন। রেজিষ্ট্রি এডিটর চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে যান HKEY_LOCAL_MACHINE –> Software –> Microsoft –> Windows –> Current Version –> Explorer –> RemoteComputer –> এখানে আসার পর namespace এর {D6277990-4C6A-11CF-8D87-00AA0060F5BF} key টি মুছে দিন। দ্বিতীয়ত, My Computer –> Tools –> Folder Options –> View তে ক্লিক করুন। এরপর Automatically search for network files and folders এর সামনে চেক বক্সে একটি ক্লিক করা থাকে এটি তুলে দিন। উক্ত কাজ দুটি করার পর পিসি রিস্টার্ট দিন। দেখুন দ্রুত ওপেন হচ্ছে মাই কম্পিউটার

ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেভাবে সাইবারক্রাইম ঘটে

ভাইরাস :
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের বড় আতঙ্কের নাম ভাইরাস এটি মূলত একটি প্রোগ্রাম, যা অদৃশ্য থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমপিউটার থেকে কমপিউটারে ডাটা মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। ভাইরাস মূলত ইন্টারনেট, পনড্রাইভ, ফ্লপি বা এক্সটারনাল ডিভাইস থেকে আক্রন্ত হয়। ভাইরাস রুখতে হলে অবশ্যই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
ওয়ার্ম :
ওয়ার্ম এবং ভাইরাস প্রায় একই ধরনের, তবে ভাইরাস থেকেও এটি ভয়াবহ। লোকাল বা ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক থেকে এটি দ্রুতগতিতে পিসিতে আক্রমণ করে ফাইল পাচার বা গায়েব করে দেয়। ওয়ার্ম ঠেকানোর একমাত্র উপায় হলো ফায়ার ওয়াল ব্যবহার।
স্পাইওয়্যার :
কমপিউটার-ক্রাইম আরেক আতঙ্ক হচ্ছে স্পাইওয়্যার। এর প্রধান ৎস ভুয়া ওয়েবসাইট। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যেসব ওয়েবসাইট ব্রাউজ করি, ঠিক একই ধরনের ওয়েবের টুল ব্রাউজারে এসে কড়1 নাড়বে। আর ভুল করে একবার ব্রাউজ করলেই প্রয়োজনীয় সব ডাটা, যেমন- ব্যাংকের গোপন কোড, বিভিন্ন পাসওয়ার্ড, মেইল অ্যাড্রেস ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে সর্বনাশ ঘটাবে।
ফিশিং :
ফিশিং হচ্ছে হ্যাকারদের নতুন কুটচাল। ইউজারদের বোকা বানিয়ে তথ্য সংগ্রহ কিংবা অর্থ সংগ্রহই এদের মূল উদ্দেশ্য। সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটি হুবহু নকল করে মেইলে পাঠিয়ে দিয়ে ব্রাউজ করার অনুরোধ করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশী ইন্টারনেট ইউজাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি প্রোগ্রামের হুবহু কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ওয়েবপেজগুলো পুরোপুরি ভুয়া। সাধারণত পুরনো ব্যবহারকারীরাই ফিশিং রুখতে পারে।
পর্নোসাইট :
সাইবারক্রাইম বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সাইবারক্রাইম সংঘটিত হয় পর্নোসাইট বা পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে। আর পর্নোসাইট সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১১ সালের প্রকাশিত ২০১০ সালের নর্টন সাইবারক্রাইম রিপোর্টে দেখা যায় দুই-তৃতীয়াংশ অ্যাডাল্ট ওয়েব ব্যবহারকারীরা নানাভাবে সাইবারক্রাইমের সাথে জড়িত।

উপরোল্লিখিত আতঙ্ক ছাড়াও রুট কীট, ট্রোজান, ফার্মিং ফেইক আইডি, অনলাইনে মাদক/জুয়া, নেশাপণ্য বিক্রি, ফ্রড -মেইল, প্রতারণাপূর্ণ অনলাইনে ভুয়া ডিগ্রি দেয়া ইত্যাদি ক্রাইমের আওতার পড়ে। উল্লিখিত ক্রাইমগুলো বিশ্বব্যাপী হয়ে থাকে

মল্লিকার চ্যালেঞ্জ

গত বছর মুনি্ন বাদনাম হুয়ি ও শিলা কি জাওয়ানি গানটির মাধ্যমে আইটেম গার্ল হিসেবে খ্যাতির শীর্ষে পেঁৗছে যান মালাইকা ও ক্যাটরিনা। এ ধারাবাহিকতায় যোগ দিতে যাচ্ছেন বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী অভিনেত্রী মলি্লকা শেরাওয়াত। সম্প্রতি একটি ছবির গানে আইটেম গার্ল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মলি্লকা বলেছেন, কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। গানটি মুনি্ন ও শিলাকেও ছাড়িয়ে যাবে। ভেঙে ফেলবে তাদের সব রেকর্ড।

সাইবারক্রাইমের বিভাজন

সাইবারক্রাইমের অনেক বিভাজন রয়েছে। মূলত চার ভাগে এই ক্রাইমকে বিভাজন করা হয়ে থাকে।
০১. ব্যক্তির বিরুদ্ধে :
এসব ক্রাইমের মধ্যে সাধারণত স্প্যামিং, ভাইরাস স্প্রেডিং, শিশু পর্নোগ্রাফি, যৌন নিপীড়ন, আপত্তিকর ছবি/ইমেজ পোস্ট, ব্ল্যাক মেইল ইত্যাদি।
০২. প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাইবারক্রাইম:
এসব সাইবারক্রাইম সাধারণত কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, সম্মিলিত সম্পদের বিরুদ্ধে হতে পারে, যেমন- ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
০৩. সরকার বা দেশের বিরুদ্ধে:
কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণত ধরনের সাইবারক্রাইম হয়ে থাকে। যেমন- উইকিলিকসে ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। যুক্তরাষ্ট্রের মতে এটা সাইবারক্রাইম।
০৪. সমাজের বিরুদ্ধে সাইবারক্রাইম :
সমাজের ওপর নেতিবাচক বিধিপত্র/আর্টিকেল পাচার বা চুরি, গোপন ক্যামেরায় তোলা ছবি, অনলাইনে জুয়া নেশাপণ্য বিক্রি, ব্যাংকিং সফটওয়্যার হ্যাকিং বা ক্র্যাকিং ইত্যাদি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে, সাইবার - ক্রিমিনালরা কেনো এত দ্রুত বিস্তার লাভ করছে ভার্চুয়াল জগতে? কারণ, বর্তমানে সাইবারবিশ্বে প্রবেশ করা খুবই সহজ। ধরা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যদিকে প্রচলিত অপরাধের ঝুঁকি বেশি। আবার যারা হ্যাকার কিংবা ক্র্যাকার, তারা বিশেষ ধরনের জটিল কমপিউটিং প্রোগ্রাম কিংবা কোড আয়ত্ত করে থাকে, যাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সাধারণ প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীরা শুধু প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামিং চালয়ে থাকে, যা খুবই সীমিত। আবার সাধারণ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা জ্ঞানের দুর্বলতা বা প্রাথমিক মৌলিক তথ্য দুর্বল হওয়ার ফলেও সাইবারক্রাইম বিস্তার লাভ করছে। যেমন- ব্যক্তিগত মেইলের পাসওয়ার্ডটি নামের অক্ষর দিয়ে তৈরি করলে, মেইলটি যেকেউ ঘাঁটাঘাঁটি করে খুলতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায়, সংরক্ষিত ডাটা হারিয়ে গেলে পূর্বের ডাটা রিকভার না করেই ব্যবহারকারীরা বিকল্প পথ খুঁজে নেয়। ফলে আগের ডাটা থেকে অপরাধীদের অপরাধ করতে উৎসাহ যোগায়। মুক্ত সফটওয়্যার যেমন তথ্যপ্রযুক্তিকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি কিছু অপরাধী এটিকে সাইবারক্রাইমে ব্যবহার করছে

দাউদ ইব্রাহীমের প্রেমিকা

করিনা কাপুরকে ঝরনার তলায় দাঁড়িয়ে 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি' গান গাইতে দেখা যেতে পারে। অবাক হওয়ার কিছু নেই। শোনা যাচ্ছে, একতা কাপুর 'ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বই'র সিক্যুয়্যেলে দাউদ ইব্রাহীমের প্রেমিকা হিসেবে মন্দাকিনীর চরিত্র অফার করেছেন কারিনাকে। কারিনাও মৌখিকভাবে 'হ্যাঁ' বলেছেন। অক্ষয় কুমার দাউদের চরিত্রে অভিনয় করবেন ঠিক হয়ে গেছে। পরিচালনা করছেন মিলন লুথারিয়া।

Saturday, April 9, 2011

সাক্ষাৎকার (জোর করে প্রেম হয় না)

নার্গিস আলমগীর
 প্রবাসফেরত, ডুয়েল সিটিজেন, কবি-গীতিকার নার্গিস আলমগীর দেশেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। স্বদেশে থেকেই চালাতে চান তার সৃষ্টিকর্ম। প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার।

আপনার গান, কবিতা, গীতিকাব্যের মধ্যে ধর্ম, সাধনা, আধ্যাতিকতার প্রভাব বেশি কেন? এর রহস্য কি?

এটি আসলে আমার জন্মগত বিষয়। ছোটবেলা থেকেই ধর্ম, সৃষ্টি, স্রষ্টা, প্রকৃতি আমাকে বেশি ভাবিয়েছে। এখনো ভাবায়। এ কারণেই আমার লেখালেখিতে এ ভাবনার প্রভাব বেশি।

সুদূর আমেরিকায় দীর্ঘদিন পাশ্চাত্য জীবনযাপনেও কিভাবে এ ভাব ও চিন্তা ধরে রেখেছিলেন?

ব্যাপারটি আসলে একেবারেই মানসিক। দেশ-প্রবাসের দূরত্ব এ ভাবনাকে বদলাতে পারে না। আমেরিকায়ও আমি বাংলাদেশকে খুঁজেছি। ফ্লোরিডার বোকারটনেও আমি দেখেছি নবাবগঞ্জের বারুয়াখালীকে। সেখানে গল্প, কবিতা, গান ইত্যাদি সৃষ্টিশীলতায় আমার এ জীবন ও প্রকৃতিবাদী ভাব- ধারণা কোনো অসুবিধা হয়নি। এতে প্রবাসীদের সহায়তা ও সমর্থন পেয়েছি। বিভিন্ন উপলক্ষে ও উৎসবে সেখানে বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আমেরিকানসহ অন্য বিদেশিরাও আমাদের বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় বিমোহিত হয়েছেন।

বিভিন্ন গান ও কবিতায় আপনি প্রেম-ভালোবাসাকে অতিমাত্রায় আধ্যাতিকতা ও ভাববাদী বিষয় হিসেবে তুলে ধরছেন। এর কারণ কি?

এর কারণও ভাবনায় আমার নিজস্বতা। স্রষ্টা, স্রষ্টার সৃষ্টি ও প্রকৃতির প্রতি বেশি শরণাপন্ন হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। স্রষ্টা এবং প্রকৃতির কাছে আমাদের ফিরে যেতেই হবে। এর বাইরে আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। আমার উপলব্ধি হচ্ছে প্রেম-ভালোবাসায় জোরাজুরি চলে না। জোর করে প্রেম হয় না। তা ভেতর থেকে আসতে হয়। এর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা, বিশ্বস্ততা এবং সর্বোপরি ঐশ্বরিক টান থাকতে হয়। এর নামই প্রেম।

এখন কি নিয়ে ব্যস্ত?

কবিতা ও গান লিখছি। একটি নাটকের গল্প ও সংলাপেও সময় দিচ্ছি। আর বাংলা নববর্ষে 'নোলক-মুহিনের মিক্সড 'শূন্য হয়ে পুণ্য', মনি জামানের 'কুড়ি টাকা' এবং জীবকের 'আরো আছে গান' অ্যালবামের একসঙ্গে প্রকাশনা উৎসব হবে। এ নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। আর বারী সিদ্দিকীর মিক্সড অ্যালবাম 'সুরের মূর্ছনা'র প্রস্তুতিও চলছে।

এর আগের অ্যালবামগুলোর কি অবস্থা? শ্রোতাদের রেসপন্স কেমন?

বারী সিদ্দিকীর 'মানব প্রেম' ও নোলকের 'আনন্দ দিন'-এ ভালো রেসপন্স পেয়েছি। মুহিন-নাজুর মিক্সড 'ছুঁই তোমাকে'ও বেশ ভালো হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই চমৎকার গায়।

শিল্পী নির্বাচনে আপনি নতুনদের বেশি প্রায়োরিটি দেন কেন?

নতুন হলেও এরা গায় ভালো। চেষ্টা করে আরও ভালো করতে। তাদের এই চেষ্টা ও উদ্যমকে কাজে লাগানো উচিত। এ জন্য তাদের ইন্সপায়ার করতে আমার বেশ ভালো লাগে।

পুরনোদের ব্যাপারে কি আপনার কোনো অনীহা আছে? বারী সিদ্দিকী ছাড়া পুরনো কাউকে তো আপনার কাজের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।

এ অভিযোগ একটুও সত্যি নয়। পুরনোরা তো এমনিতেই প্রতিষ্ঠিত। তাদের নাম, যশ, খ্যাতি সবই আছে। নতুনদের একটু সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। আর বারী সিদ্দিকীর ব্যাপারে আমার ভাবনা ও মূল্যায়ন একটু অন্যরকম। কারণ আমার লেখা কিছু গানের ভাব ও বাণী তার কণ্ঠে বেশি মানানসই হয়।

আমাদের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আপনার রান্নাবান্নার কথা লিখেছেন তার 'কাঠপেন্সিলে'। সেখানে তিনি এনেছেন আপনার 'ডিজিটাল জাউ'-এর কথা। ডিজিটাল জাউ আসলে কি?

হুমায়ূন ভাই চমৎকার মানুষ। তিনি শুধু লেখক, সাহিত্যিকই নন, একজন ভাবুকও। আমি পাটশাক দিয়ে একটি ভেষজ রেসিপি করেছিলাম। তা তিনি তার কলমের তুলিতে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে, আমি বিস্মিত হয়েছি। মনে মনে একটু লজ্জাও পেয়েছি।