Tuesday, November 5, 2024

Quincy Jones leaves an enduring legacy in Seattle

 


Music fans across the globe are mourning the death of Quincy Jones.

Icon. Musical genius. Producer-extraordinaire.  All of those titles can be used to describe Quincy Jones. The musician and composer died today, November 4, at the age of 91.

His musical roots were planted here in the Emerald City.

Quincy Jones graduated from Garfield in 1950, and he came back when the auditorium at Garfield was named in his honor back in 2008.

The Quincy Jones Performing Arts Center stands as an enduring tribute to a man who influenced music around the world.

Quincy Jones’s musical career started playing jazz trumpet, like fellow Garfield High School Alum Thomas Marriott.

Add to the quintessential Quincy Jones, the more than 40-year-old “Thriller,” an album that helped transform Michael Jackson into the biggest pop star in the world. It cemented Jones’s reputation as a musical genius in whatever genre he chose to work while never truly leaving jazz behind.

“I think his real gift was making things hip, you know,” said Marriott, smiling. “And I think if you listen to those Michael Jackson records there’s a lot of high IQ things happening musically, you know, in addition to being funky, you know. It’s a winning combination.”

And he had the hardware to prove it. Twenty-eight Grammy awards, a Tony, and seven Academy Award nominations before winning the Academy’s Jean Hersholt Humanitarian Award.

Quincy Jones, called ‘Q’ by his friend and colleague Frank Sinatra, was born in Chicago. His family moved to Bremerton during World War II and then on to Seattle.

The Emerald City is where his musical talent took root and flourished, eventually taking him all over the world.

In 2021, Jones received the Museum of Pop Culture’s Founders Award, a measure of his influence across musical genres.

“I think that he was able to look at music that wasn’t delineated by genre or by audience or by race,” said Jacob McMurray, MoPop Chief Collections & Exhibition Officer, “but really thinking across all of these different things.”

And his legacy continues. Thomas Marriott is leading the charge with the Seattle Jazz Fellowship to make Jazz an institution here in Seattle, like the ballet, the opera, and the symphony.

I expect Quincy Jones would be proud.


quincy jones

rashida jones

quincy jones net worth

peggy lipton

quincy jones children

kidada jones

quincy jones songs

we are the world

quincy jones cause of death

kenya kinski-jones

quincy jones death

quincy jones wife

frank sinatra

quincy jones daughter

quincy jones died

quincy jones kids

quincy jones iii

did quincy jones die

quincy jones dead

jeri caldwell

quincy jones net worth 2024

ray charles

quincy jones wives

clive davis

kenya kinski jones

kenya jones

quincy jones diddy

quincy jones dies

michael jackson

Sunday, November 3, 2024

শাহরুখকে দয়া করে বিয়ে করেছেন গৌরী


 শাহরুখ খানের জীবনটা যেন এক রূপকথা। গতকাল ২ নভেম্বর ছিল সিনেজগতের মহারাজার জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা একটু সাদামাটাভাবেই কাটিয়েছেন তিনি। মান্নাতের ছাদে উঠে ভক্তদের উদ্দেশে হাতও নাড়াননি। নিরাপত্তার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে বিভিন্ন মহলে জোর প্রচার চলছে। এবার শাহরুখ খান তাঁর জন্মদিনের কেক কেটেছেন স্ত্রী গৌরী, মেয়ে সুহানাসহ পরিবারের সঙ্গে। শাহরুখ খানের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জীবনের নানা ঘটনাবহুল বিষয় প্রকাশ্যে আনছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর মধ্যে একটি বড় ঘটনা হলো কিং খানের বিয়ের ঘটনা। সেটি নিয়ে বহুবার কথা বলেছেন শাহরুখ।



কিং খানের বিয়েটা হয়েছিল ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর। শাহরুখ তখনও বড় তারকা হয়ে ওঠেননি। একজন উঠতি অভিনেতা তিনি। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী গৌরীকে তো তখন কেউ চিনতই না। কিন্তু ২৫ বছর পর সবকিছু বদলে গেছে। এখন তাঁরা বলিউডের প্রথম সারির দম্পতি। তাঁদের প্রেমকাহিনিও বহুল চর্চিত বিষয়।

এই জুটির বিয়েতে প্রথম ধাক্কাই ছিল ধর্মের ব্যবধান। সেসব প্রতিকূলতা পেরিয়ে গৌরীকে জীবনসঙ্গী করে নিয়েছেন শাহরুখ। তাঁদের বিয়েতে ঝড়ঝাপটাও ছিল, সেগুলো দুজনে মিলে কাটিয়ে উঠেছিলেন। যদিও একটা সময় ছিল যখন গৌরীকে বিয়ে করার জন্য বারবার শাহরুখকে নিষেধ করেছিলেন বলিউডের শুভানুধ্যায়ীরা।

সিনেজগতের প্রচলিত ধারণা ছিল নায়ক-নায়িকারা বিয়ে করলেই রূপালিপর্দায় তাঁদের চাহিদা পড়ে যাবে। আর তখন তো শাহরুখ মাত্র উঠতি অভিনেতা। তাই আগেভাগেই সংসারী হওয়া নিয়ে সতর্ক করেন প্রযোজকেরা। তাঁরা সতর্ক করেন বিয়ে করলে নায়কের ক্যারিয়ারে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। বেশ কয়েক বছর আগে প্রীতি জিনতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন চমকপ্রদ কথা বলেন শাহরুখ।

যদিও কারও কথাই কানে তোলেননি অভিনেতা। বারবার গৌরীর প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বলেছেন তিনি। শাহরুখ তখন শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলেন, ‘প্রযোজকেরা বলেছিলেন সিঙ্গেল নায়কদের অনুরাগী সংখ্যা বেশি হয়। আমি বলেছিলাম, অনেক কষ্ট করে রাজি করিয়েছি ওকে, বিয়ে করতেই হবে।’




তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘আসলে আমাকে দেখে গৌরীর দয়া হয়। ভাবে মা–বাবা হারা একটা ছেলে। তাই ও বিয়েটা করেছে।’ বর্তমানে শাহরুখ-গৌরীর সংসারে তিন ছেলে-মেয়ে। সামনে ‘কিং’ সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে পর্দা ভাগ করতে দেখা যাবে মেয়ে সুহানা খানকেও।

Saturday, November 2, 2024

অজয়ের পুলিশ বাহিনী বনাম কার্তিক


 ‘সংঘর্ষ’ এড়াতে চেয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান। কিন্তু রোহিত শেঠি অনড়। তাই ‘সিংহাম এগেইন’ ও ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’—এই দুই বড় ছবির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমজমাট দেওয়ালির ছবির বাজার। ভারতে দেওয়ালি মানেই বড় তারকার বড় ছবি। এর মধ্যে এবার ময়দানে একঝাঁক তারকা। গতকাল মুক্তি পেয়েছে রোহিত শেঠির ‘সিংহাম এগেইন’ আর আনিস বাজমির ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। এই দুই পরিচালক বক্স অফিস দখল করতে তাঁদের ‘অস্ত্রশস্ত্র’ শান দিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত।

রোহিত শেঠির সিংহাম ফ্র্যাঞ্চাইজি সব সময় দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে এসেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ঘিরে দর্শকের প্রত্যাশা একটু বেশি থাকে। আর ‘সিংহাম এগেইন’-এর বাজেটও ৪০০ কোটি। একসঙ্গে একঝাঁক সুপারস্টার নিয়ে বাজিমাত করতে চান রোহিত।

২০২৪ সালের দেওয়ালিতেই যে ‘ভুল ভুলাইয়া’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিকুয়েলটি মুক্তি পাবে, আগেই তা ঘোষণা করে রেখেছিলেন আনিস বাজমি। অন্যদিকে ‘সিংহাম’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিকুয়েলটি আনা নিয়ে টালবাহানা করেছিলেন রোহিত। অবশেষে তিনি নিশ্চিত করলেন, দেওয়ালির উৎসবেই মুক্তি দেবেন ‘সিংহাম এগেইন’। তার পর থেকেই যন্ত্রণায় ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবির নায়ক কার্তিক আরিয়ান। ১ নভেম্বরের বদলে ১৫ নভেম্বর ‘সিংহাম এগেইন’ মুক্তি দিতে নির্মাতা রোহিতকে অনুরোধ করেছিলেন কার্তিক।


দুটি ছবির আয়ের কথা ভেবে কার্তিক এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কার্তিকের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন রোহিত। এরপর নির্মাতা আনিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সংঘর্ষ কখনোই কাম্য নয়। আমরা ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ মুক্তির দিনক্ষণ এক বছর আগেই ঘোষণা করেছিলাম।’ অভিজ্ঞ এই পরিচালকের মতে, এক দিনে দুটি বড় ছবি মুক্তি মানে আখেরে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি। আনিসের আশঙ্কা, বক্স অফিসে এর প্রভাব পড়বে। এ আশঙ্কা কতটা বাস্তব, তা হয়তো দু–এক দিনেই বোঝা যাবে।



দেশজুড়ে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবির জোর প্রচারণা চালিয়েছেন কার্তিক। সঙ্গে ছিলেন কখনো বিদ্যা বালান, কখনো মাধুরী দীক্ষিত, কখনো তৃপ্তি দিমরি। কার্তিক যে শহরেই গেছেন, তাঁকে ঘিরে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা গেছে বেশ আগ্রহ। তাই ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-কে ঘিরে এখন কিছুটা আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী তিনি। কিছুদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে তাঁর কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস, ‘দেওয়ালির ব্যাপ্তি অনেক। আমার মনে হয়, এই আবহে দুটি ছবিই একসঙ্গে ভালো আয় করতে পারবে। ওনাদের (রোহিত-অজয়) “সিংহাম এগেইন” অ্যাকশন ঘরানার ছবি আর আমাদেরটা কমেডি। আমাদের ছবির ঘরানা আলাদা। আমার মনে হয়, দর্শক এই দুই ছবির জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি ওনার (রোহিত) ছবি পছন্দ করি। আমি ওনার ছবি দেখতে যাব। আমার বিশ্বাস, আপনারাও আমার ছবি দেখতে আসবেন।’

রোহিত শেঠির সিংহাম ফ্র্যাঞ্চাইজি সব সময় দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে এসেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ঘিরে দর্শকের প্রত্যাশা একটু বেশি থাকে। আর ‘সিংহাম এগেইন’-এর বাজেটও ৪০০ কোটি। একসঙ্গে একঝাঁক সুপারস্টার নিয়ে বাজিমাত করতে চান রোহিত। তাঁর ছবির মূল নায়ক অজয় দেবগন। আর তাঁর বিশাল পুলিশ বাহিনীতে ‘ইন্সপেক্টর সিম্বা ভালেরাও’রূপে রণবীর সিং, ‘ইন্সপেক্টর বীর সূর্যবংশী’ হয়ে অক্ষয় কুমারকেও দেখা যাবে।



এ ছবির অন্য তারকারা হলেন জ্যাকি শ্রফ, টাইগার শ্রফ, অর্জুন কাপুর। সালমান খানও যে রোহিতের পুলিশ ইউনিভার্সে যোগ দিতে চলেছেন, কিছুদিন আগেই তা জানিয়েছেন নির্মাতারা। আইকনিক চরিত্র ‘ইন্সপেক্টর চুলবুল পান্ডে’রূপে এ ছবিতে চমক দেখাবেন ভাইজান। এখানেই শেষ নয়। রোহিতের পুলিশ ইউনিভার্সের প্রথম নারী পুলিশ, অর্থাৎ ‘লেডি সিংহাম’রূপে দুষ্টের দমন করতে আসছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ‘সিংহাম এগেইন’-এ অজয়ের স্ত্রীর ভূমিকায় আছেন কারিনা কাপুর খান। এ ছবির ট্রেলারে স্পষ্ট যে পৌরাণিক মহাকাব্য রামায়ণের আধারে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে।

‘সিংহাম এগেইন’ ছবির কমপক্ষে ১২টি দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সেন্সর বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)। বিতর্ক এড়াতে, বিশেষ করে রামায়ণের দৃশ্যগুলো কাটছাঁট করতে বলেছে সিবিএফসি। এই কাটছাঁটের চক্করে রোহিতের অ্যাকশন একটু ভোঁতা হয়ে গেছে। তারপরও তারকার বাড়াবাড়িতে সিংহাম এগেইন-এর বক্স অফিস হু হু করে বেড়ে যাবে, মনে করছেন বাণিজ্যিক বিশ্লেষকেরা।
কিন্তু অগ্রিম বুকিংয়ের দৌড়ে ‘সিংহাম এগেইন’-এর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। 


সিংহাম ফ্র্যাঞ্চাইজির মতোই ‘ভুল ভুলাইয়া’ ফ্র্যাঞ্চাইজি সব সময় দর্শককে বিনোদন দিয়ে এসেছে। ২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি। প্রিয়দর্শন পরিচালিত ছবিতে ছিলেন অক্ষয় কুমার ও বিদ্যা বালান। তবে ভুল ভুলাইয়া ২–এ নির্মাতারা অনেক বদল এনেছিলেন। এই ভৌতিক হাসির ছবি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল আনিস বাজমির কাঁধে। আর অক্ষয়ের বদলে আনা হয় কার্তিক আরিয়ানকে। দ্বিতীয় সিকুয়েলে বিদ্যার বদলে যমজ বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী টাবুকে। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সফলতা পেয়েছিল।

‘রুহ বাবা’র ভূমিকায় দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন কার্তিক। ‘ ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে আবার ‘রুহ বাবা’র ভূমিকায় দর্শকের মন জয় করতে এসেছেন কার্তিক। বলতে গেলে, অজয়ের বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে একাই লড়তে হবে কার্তিককে।

তবে আনিস ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এ একজোড়া ‘মঞ্জুলিকা’ এনে বড়সড় চমক দিয়েছেন। ‘মঞ্জুলিকা’র ভূমিকায় আছেন দুই বিটাউন তারকা মাধুরী দীক্ষিত ও বিদ্যা বালান। এ ছবির আরেক আকর্ষণ কার্তিক-তৃপ্তি দিমরির জুটি। তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন কতটা বাজিমাত করতে পারে, সময়ই তা বলবে।
‘সিংহাম এগেইন’-এর তুলনায় ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবির বাজেট অনেকটাই কম। আনিসের এ ছবির বাজেট ১৫০ কোটির মতো। তাই এ ছবির মাধ্যমে তাড়াতাড়িই হয়তোবা লাভের মুখ দেখতে পাবেন আনিস। এমনিতেও এ বছর অ্যাকশনধর্মী ছবির চেয়ে বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে ভৌতিক হাসির ছবি। আর এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুনজ্যা, স্ত্রী ২। তাই অনেকেই ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিকে এগিয়ে রেখেছেন।








ইনস্টাগ্রামের অনেক ভিডিও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে কেন


 বেশ কিছুদিন ধরেই ইনস্টাগ্রামে থাকা বিভিন্ন ভিডিও ঝাপসা দেখা যাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন ব্যবহারকারীরা। তাঁদের দাবি, হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে অনেক ভিডিওর মান কমে যাওয়ায় ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। রিলস ভিডিও ছাড়াও স্টোরির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হচ্ছে। ব্যবহারকারীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে শুরুতে কোনো মন্তব্য না করলেও অবশেষে ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যাডাম মোসেরি জানিয়েছেন, রিলস বা স্টোরিতে থাকা যেসব ভিডিওর দর্শকসংখ্যা কম, সেগুলোর মান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভিডিওগুলো কিছুটা ঝাপসা দেখা যাচ্ছে।


সম্প্রতি এক প্রশ্নোত্তর পর্বে মোসেরি জানিয়েছেন, দর্শকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম ভিডিওকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে ইনস্টাগ্রাম। পুরোনো স্টোরি বা রিল ভিডিওগুলোর দর্শক সংখ্যা সাধারণত কম হয়ে থাকে। আর তাই এসব ভিডিওর মান স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেয় ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদম। ভিডিওর মান কমে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি সাধারণত ভিডিও প্রকাশের কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই ঘটে। যখন দেখা যায়, ভিডিওটির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ খুব কম, তখন অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভিডিওর মান কমিয়ে দেয়।

ইনস্টাগ্রামের এ সিদ্ধান্তের ফলে অনেক কনটেন্ট বা আধেয় নির্মাতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নতুন কনটেন্ট নির্মাতা বা যাদের অনুসরণকারীর সংখ্যা কম, তাঁদের হাইলাইটস ভিডিও এবং রিল ঝাপসা দেখা যাওয়ায় দর্শকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কম অনুসরণকারী থাকা নির্মাতারা কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন।

ওজোপাডিকোতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি


 সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ওজোপাডিকো) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

  • পদের নাম: ম্যানেজিং ডিরেক্টর
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অথবা ফিন্যান্স/বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেডিং সিস্টেমে পাসের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৫-এর স্কেলে ৪.০ ও সিজিপিএ ৪-এর স্কেলে ৩.০ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত ২৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে পাঁচ বছর এবং জেনারেশন, ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন ইউটিলিটিসে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো পাওয়ার সেক্টরে অন্তত চিফ ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। কোম্পানি আইন ও শ্রম আইন, টিকিউএম, টিপিএম, প্রিভেনটিভ মেইনটেন্যান্স ও করপোরেট গভর্ন্যান্সে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনাসহ যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।


বয়স: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ ৬১ বছর
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
মূল বেতন: ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সুযোগ-সুবিধা: বাসাভাড়া, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, অর্জিত ছুটি ভাতা, মেডিকেল সাপোর্ট, গোষ্ঠী বিমা, অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট এবং জ্বালানি ও চালকসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা আছে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদের ফটোকপি; জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, কভার লেটারসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: কোম্পানি সেক্রেটারি, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), বিদ্যুৎ ভবন, বয়রা মেইন রোড, খুলনা-৯০০০।

আবেদনের শেষ সময়: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ১২০


 যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ৯ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ১৮তম গ্রেডে ১২০ জনকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

  • ১. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

  • ২. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে বাংলায় প্রতি মিনিটে ৪৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দের গতি এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)


  • ৩. পদের নাম: জুনিয়র প্রশিক্ষক (পোশাক)
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)


  • ৪. পদের নাম: জুনিয়র ডেমোনেস্ট্রেটর (ব্লক ও বাটিক)
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)


  • ৫. পদের নাম: প্রদর্শক
    পদসংখ্যা: ১৯
    যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যেকোনো যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ ও কৃষিবিষয়ক দুই মাস ১৫ দিন মেয়াদি কোর্সে ‘ক’ গ্রেডে উত্তীর্ণ।
    বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

  • ৬. পদের নাম: গাড়িচালক
    পদসংখ্যা: ২৩
    যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। ভারী/ হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকেরা অগ্রাধিকার পাবেন।
    বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)/ ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

  • ৭. পদের নাম: হিসাব সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহার–সংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ের গতি বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)


  • ৮. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
    পদসংখ্যা: ৫৮
    যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
    বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

  • ৯. পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান কাম পাম্প অপারেটর
    পদসংখ্যা: 
    যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাসসহ ছয় মাসের ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড কোর্স পাস হতে হবে।
    বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা অথবা alljobs.query@teletalk.com.bd ঠিকানায় ই-মেইল বা টেলিটকের জবপোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।


আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৮ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৯ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ৩ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

কোহলির চেয়ে ক্লাসেনের দাম বেশি

 

আইপিএলের মেগা নিলামের আগে ধরে রাখা খেলোয়াড়ের তালিকা জমা দিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। গতকাল শেষ দিনেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তা নিশ্চিত করেছে। ১০ দল মিলে ধরে রেখেছে ৪৬ জন খেলোয়াড়

রুপির অঙ্কে ধরে রাখা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার ওপরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাইনরিখ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে রেখে দিতে ২৩ কোটি রুপি খরচ করেছে হায়দরাবাদ। আইপিএলে ধরে রাখা (রিটেইনড) খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লাসেনই এখন সবচেয়ে দামি। যৌথভাবে দুইয়ে বিরাট কোহলি ও নিকোলাস পুরান। তাঁদের ধরে রাখতে ২১ কোটি রুপি দিতে হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে।

প্রবল চাপের মধ্যেও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারা, যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারা ক্লাসেনকে ধরে রাখতে হায়দরাবাদকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর উইকেটকিপিং দক্ষতাও দুর্দান্ত।


আইপিএলে ধরে রাখা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দামি

খেলোয়াড়দলদাম
হাইনরিখ ক্লাসেনসানরাইজার্স হায়দরাবাদ২৩ কোটি রুপি
বিরাট কোহলিরয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু২১ কোটি রুপি
নিকোলাস পুরান




লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস




২১ কোটি রুপি






হায়দরাবাদের হয়ে সর্বশেষ দুই মৌসুম ১৭৭ ও ১৭১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন ক্লাসেন। ৪১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬৩টি ছক্কা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতি অন্য দলগুলোর আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণেই ক্লাসেনকে রেখে দিতে ২৩ কোটি রুপি ঢেলেছে হায়দরাবাদ। অথচ ২০১৯ সালে তাঁকে মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল বেঙ্গালুরু। সেই মৌসুমে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯ রান করেন। পরের তিন মৌসুম তাঁর প্রতি কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি।

তবে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য টি–টোয়েন্টি লিগে ভালো করে আবারও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নজর কাড়েন। গত বছর তাঁকে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায় হায়দরাবাদ। এক বছরের ব্যবধানে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি রুপি। অর্থাৎ ক্লাসেনের পারিশ্রমিক বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ!

আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারে। এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন জাতীয় দলে খেলা (ক্যাপড প্লেয়ার) ক্রিকেটার হতে হয়। প্রথম তিনজনকে ধরে রাখতে যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি ও ১১ কোটি খরচ করতে হয়। শেষ দুজনের জন্য বরাদ্দ ১৮ ও ১৪ কোটি রুপি। সব মিলে ৭৫ কোটি রুপি।


ক্লাসেন ছাড়াও হায়দরাবাদ ধরে রেখে প্যাট কামিন্স, অভিষেক শর্মা, ট্রাভিস হেড ও নিতীশ রেড্ডিকে। দলটির ধরে রাখা পাঁচ খেলোয়াড়ের শুরুতেই ক্লাসেনের নাম। সেই হিসেবে ক্লাসেনের ১৮ কোটি রুপি পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলেই ৭৫ কোটি রুপি পাঁচজন ক্যাপড ক্রিকেটারদের মধ্যে নিজেদের মতো করে বণ্টন করতে পারে। হায়দরাবাদ সেটাই করেছে। মানে ক্লাসেনকে আরও ৫ কোটি রুপি বেশি দিয়েছে।

কোহলি ও পুরানের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম। অর্থ বণ্টনের সময় এই দুজনকে ৩ কোটি রুপি করে বেশি দিয়েছে বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ। পুরো আইপিএল ক্যারিয়ারে বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলেছেন কোহলি। শোনা যাচ্ছে, আগামী মৌসুমে তিনি আবারও দলটির নেতৃত্বে ফিরবেন। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। তাঁর আগে ভারতের আর কোনো ক্রিকেটার আইপিএলে ২০ কোটি রুপি দাম পাননি।



আইপিএলের মেগা নিলাম হওয়ার কথা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে। নিলামের ভেন্যু হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা অথবা রিয়াদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ইংল্যান্ডের লন্ডন এমনকি সিঙ্গাপুরের নাম শোনা গেলেও এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।




আইপিএল, না টাকার খেলা; কারও বেতন বেড়েছে ৬৯০০%, কারও ৬৪০০%

 

৬৯০০ শতাংশ! সংখ্যাটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এত বেতনও বাড়তে পারে! পারে আবার কী, বেড়েছেও। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলের পারিশ্রমিক বেড়েছে ৬৯০০ শতাংশ, যা আইপিএলের আগামী মৌসুমে সর্বোচ্চ বেতন বৃদ্ধির নজির।

শুধু কি জুরেল, ৬৪০০ শতাংশ বেতন বেড়েছে লঙ্কান পেসার মাতিশা পাতিরানারও। এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের বেতন গত মৌসুমে ছিল মাত্র ২০ লাখ, তাঁরাই এবার পাবেন কোটি কোটি রুপি।


বেতন বৃদ্ধির তালিকায় জুরেল-পাতিরানার পরের নামটা বেঙ্গালুরুর রজত পাতিদারের। তাঁর বেতন বেড়েছে ৫৪০০ শতাংশ। সমান শতাংশ বেতন বেড়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের পেসার মায়াঙ্ক যাদবেরও। তরুণ ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শনের বেতন বেড়েছে ৪১৫০ শতাংশ। শশাঙ্ক সিংয়ের ২৬৫০ শতাংশ, রিংকু সিংয়ের ২২৬৪ শতাংশ।


গত মৌসুমে জুরেলের পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ২০ লাখ রুপি। সেই জুরেলকে এবার ১৪ কোটি রুপিতে (প্রায় ২০ কোটি টাকা) ধরে রেখেছে তাঁর দল রাজস্থান রয়্যালস। পাতিরানাও গত মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ২০ লাখ রুপি বেতনে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। পাতিরানাকে এবার চেন্নাই ধরে রেখেছে ১৩ কোটি দিয়ে। পাতিদারকে বেঙ্গালুরু দিচ্ছে ১১ কোটি রুপি। গত মৌসুমে তাঁরও বেতন ছিল ২০ লাখ রুপি।

মায়াঙ্কের ঘটনা আরও রোমাঞ্চকর। গত মৌসুমেই প্রথমবার আইপিএল খেলেন মায়াঙ্ক। চোটের কারণে খেলতে পারেন মাত্র ৪ ম্যাচে। এই ৪ ম্যাচেই সামর্থ্য যা দেখানোর দেখিয়ে দিয়েছেন। তাতে ২০ লাখ রুপি থেকে তাঁর বেতন বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি রুপি।



সাই সুদর্শন খেলেন গুজরাট টাইটানসের হয়ে। গত মৌসুমে তাঁর সঙ্গে দলটি চুক্তিবদ্ধ ছিল ২০ লাখ রুপিতে। তবে এবার তিনি পাচ্ছেন ৮ কোটি ৫০ লাখ রুপি। পাঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিং এবার পাবেন ৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি। গত মৌসুমে তিনিও খেলেছেন ২০ লাখ রুপিতে।

অন্যদের চেয়ে গত মৌসুমে একটু বেশিই পেতেন কলকাতার রিংকু সিং। তিনি কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে পেতেন ৫৫ লাখ। আগামী মৌসুমের জন্য তাঁকে ১৩ কোটি রুপি দিয়ে ধরে রেখেছে তাঁর দল।

আইপিএলের পরবর্তী আসরের জন্য খেলোয়াড় ধরে রাখার সর্বশেষ দিন ছিল গত ৩১ অক্টোবর। প্রতিটি দলের জন্য সর্বশেষ আসরের ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ ছিল। কিন্তু ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে মাত্র ২টি ৬ জন রেখেছে। অন্যগুলোর কেউ রেখেছে ৫ জন, কেউবা ৪ জন। দলগুলো বড় বড় তারকাকেও ছেড়ে দিয়েছে। তবে কোটি কোটি রুপি খরচ করে এসব তরুণ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে।